বাণী

ঝর ঝর বারি ঝরে অম্বর ব্যাপিয়া
এসো এসো মেঘমালা প্রিয়া প্রিয়া।।
দূরে থেকো না এই শ্রাবণ নিশীথে
কাঁদে তব তরে পিয়াসি হিয়া।।
বিজলি খুঁজে ফেরে সুদূর আকাশে
হৃদয়ে কাঁদে প্রেম পাপিয়া পিয়া।।

বাণী

ঝিল্লি-নূপুর বাজে।
বিভাবরী নাচে বন-শবরী সাজে।।
তিমির কুন্তলে তারার ফুল দোলে
চাঁদের চন্দন-ফোঁটা ললাট-মাঝে।।
দোলে নদী-জল অঞ্চল ধীরে
বন-বেণী দোলে চঞ্চল-সমীরে।
জাগে দুরন্ত নিশীথ-বসন্ত
ঘুমন্ত নববধূ রেঙে ওঠে লাজে।।

বাণী

ঝড় এসেছে ঝড় এসেছে কাহারা যেন ডাকে।
বেরিয়ে এলো নতুন পাতা পল্লবহীন শাখে।।
	ক্ষুদ্র আমার শুকনো ডালে
	দুঃসাহসের রুদ্র ভালে
কচি পাতার লাগলো নাচন ভীষণ ঘূর্ণিপাকে।
স্তবির আমার ভয় টুটেছে গভীর শঙ্খ-রবে,
মন মেতেছে আজ  নতুনের ঝড়ের মহোৎসবে।
	কিশলয়ের জয়-পতাকা
	অন্তরে আজ মেললো পাখা
প্রণাম জানাই ভয়-ভাঙানো অভয়-মহাত্মাকে।।

বাণী

ঝুলে কদমকে ডারকে ঝুলনা পে কিশোরী কিশোর।
দেখে দোউ এক এককে মুখকো চন্দ্রমা চকোর,
য্যায়সে চন্দ্রমা চকোর হোকে প্রেম নেশা বিভোর।।
মেঘ মৃদং বাজে ওহি ঝুলনাকে ছন্দ্‌ মে
রিম্‌ঝিম্‌ বাদর বরসে আনন্দ্‌ মে,
দেখনে যুগল শ্রীমুখ চন্দকো গগন ঘেরি ঘনঘটা ঘোর।।
নব নীর বরসনে কো চাতকিনী চায়
ওয়সে গোপী ঘনশ্যাম দেখ তৃষ্ণা মিটায়,
সব দেবদেবী বন্দনা গীত গায় — 
ঝরে বরসামে ত্রিভুবনকি প্রেমাশ্রুলোর।।

বাণী

ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা।
ভবনে এলো মোর কে পথহারা।।
বিরহ রজনী একেলা যাপি
সঘনে বহে ঝড় সভয়ে কাঁপি,
উথলি’ উঠে ঢেউ কুটীরে নাহি কেউ —
গগনে নাহি মোর চন্দ্রতারা।।
নিভেছে গৃহদীপ নয়নে বারি,
আঁধারে তব মুখ নাহি নেহারি।
তোমার আকুল কুন্তল বাসে
চেনা দিনের স্মৃতি স্মরণে আসে,
আজি কি এলে মোর প্রলয়-সুন্দর —
	ঝলকে বিদ্যুতে আঁখি-ইশারা।।

বাণী

দ্বৈত	:	ঝুমুর নাচে ডুমুর গাছে ঘুঙুর বেঁধে গায় (লো)।
		নাচন দুজন মাদল, বাঁশি, নূপুর নিয়ে আয় (লো)।।
স্ত্রী	:	আর জনমে চোরকাঁটা তুই ছিলি (রে)
		এই জনমে আঁচল ছিঁড়ে হৃদয়ে বিঁধিলি।
পুরুষ	:	চোরকাঁটা নয় ছিলাম পানের খিলি লো
		গয়না ছিলাম গায় (লো)।।
স্ত্রী	:	ঝিলমিলয়ে ঝিলের জল নাচায় শালুক ফুল —
পুরুষ	:	শালুক যেন মুখাখানি তোর লো ঝিলের ঢেউ যেন এলোচুল।
স্ত্রী	:	কুহু কুহু ডেকে কোকিল কাহার কথা কহে
পুরুষ	:	সেই কথা কয় কোয়েলা আর জনমে করেছি যা তোরই বিরহে।
দ্বৈত	:	সে জনমের দু’টি হৃদয় এ জনমে হায়
		এক হতে যে চায় লো এক হতে যে চায়।।