ঝিলের জলে কে ভাসালো নীল শালুকের ভেলা
বাণী
ঝিলের জলে কে ভাসালো নীল শালুকের ভেলা মেঘলা সকাল বেলা। বেণু বনে কে খেলে রে পাতা ঝরার খেলা। মেঘলা সকাল বেলা।। কাজল বরণ পল্লী মেয়ে বৃষ্টি ধারায় বেড়ায় নেয়ে, ব'সে দিঘীর ধারে মেঘের পানে রয় চেয়ে একেলা।। দুলিয়ে কেয়া ফুলের বেনী শাপলা মালা প'রে খেলতে এলো মেঘ পরীরা ঘুমতী নদীর চরে। বিজলিতে কে দূর বিমানে, সোনার চুড়ির ঝিলিক হানে, বনে বনে কে বসালো যুঁই-চামেলির মেলা।।
ঝাঁপিয়া অঞ্চলে কেন বিধুবদন অবনত
বাণী
ঝাঁপিয়া অঞ্চলে কেন বিধুবদন অবনত কাঁদে নয়ান। অভিমান পরিহর হরি-হৃদি বিহারিণী প্রেম দিয়া জুড়াও এ প্রাণ। তুয়া বিনা নয়নে অন্যে না হেরি একই রাধা আছে ত্রিভুবন ঘেরি’ (আমি রাধা ছাড়া জানি’ না অনন্ত বিশ্বে রাধারই রূপধারা, রাধা ছাড়া দেখি না) ভৃঙ্গার ভরি’ তুমি শৃঙ্গার রস করাও পান, তাই হই যে অবশ।। তুমি রাধা হয়ে মধু দিলে মাধব হই, তুমি ধারা হয়ে নামিলে সৃষ্টিতে রই রাধা, সকলি তোমার খেলা তবে কেন কর অভিমান, কেন কর হেলা। প্রতি দেহ-বিম্বে তোরি পদতলে হর হয়ে রহি তাই ছবি। হরিরত হর-জ্ঞান মহামায়া হরিলী (এ যে) তোমারই ইচ্ছা, আমি নিজে নিজে রূপ ধরিণী। ভোল মানের খেলা দূরে থেকোনা, দাও চরণ ভেলা আমি তরে’ যাই, তরে’ যাই রাধা-প্রেম যমুনায় ডুবিয়া মরে’ যাই।।
পাঠান্তর : রেকর্ডের জন্য কবি এই গানটির বহু অংশ বর্জন করেন।বর্জিত অংশগুলো এই:
গলে দিয়া পীতধড়া গো, পদতলে দিয়া শিখী-চূড়া গো
পদযুগ ধরিয়া চাহি ক্ষমা, ক্ষম অপরাধ প্রিয়তমা!
হরি-মনোরমা ক্ষমা কর গো।।
তব প্রেমে অবগাহন করি সব দাহন চিরতরে জুড়াব
কল্প-কদম-তরু-তলে চিরদিন তোমার প্রেম-কণা কেশর কুড়াব।।
ঝর্ল যে-ফুল ফোটার আগেই
বাণী
ঝর্ল যে-ফুল ফোটার আগেই তারি তরে কাঁদি, হায়! মুকুলে যার মুখের হাসি চোখের জলে নিভে যায়।। হায় যে-বুলবুল গুল্বাগিচায় গোলাপ কুঁড়ির গাইত গান, আকুল ঝড়ে আজ সে প'ড়ে পথের ধূলায় মূরছায়।। সুখ-নদীর উপকূলে বাঁধিল যে সোনার ঘর, আজ কাঁদে সে গৃহ-হারা বালুচরে নিরাশায়।। যাবার যারা, যায় না তারা — থাকে কাঁটা, ঝরে ফুল। শুকায় নদী মরুর বুকে, প্রভাত আলো মেঘে ছায়।।
ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা
বাণী
ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা। ভবনে এলো মোর কে পথহারা।। বিরহ রজনী একেলা যাপি সঘনে বহে ঝড় সভয়ে কাঁপি, উথলি’ উঠে ঢেউ কুটীরে নাহি কেউ — গগনে নাহি মোর চন্দ্রতারা।। নিভেছে গৃহদীপ নয়নে বারি, আঁধারে তব মুখ নাহি নেহারি। তোমার আকুল কুন্তল বাসে চেনা দিনের স্মৃতি স্মরণে আসে, আজি কি এলে মোর প্রলয়-সুন্দর — ঝলকে বিদ্যুতে আঁখি-ইশারা।।
ঝুমঝুম ঝুমরা নাচ নেচে কে এলো
বাণী
ঝুমঝুম ঝুমরা নাচ নেচে কে এলো গো সই লো দেখে আয়। বৈঁচি বনে বিরহে বাউরি বাতাস বহে এলোমেলো গো।। আঁড়বাঁশি বাজায় আড়চোখে তাকায় তীর হানার ভঙ্গিতে ধনুক বাঁকায় নন্দন পাহাড়ে তাহারে দেখে চাঁদ আঁউরে গেল গো।। ঝাঁকড়া চুলের পাশে টুলটুলে চোখ হাসে কতই ছলে মোরলা মাছ যেন খেলে বেড়ায় গো কালো জলে। মৌটুসির মো ফেলে ভোমরা রয় তাকিয়ে গুরুজনের মত বটের তরু দাঁড়িয়ে জট পাকিয়ে আমলকি গাছের আড়ালে লুকিয়ে দেখি, দেখতে কি তা পেল গো (সে)।।
নাটিকাঃ‘অর্জুন বিজয়’
- শুরু
- পূর্ববর্তী
- 1
- 2
- 3
- 4
- পরবর্তী
- শেষ