ঝরে ঝরঝর কোন্ গভীর গোপন ধারা
বাণী
ঝরে ঝরঝর কোন্ গভীর গোপন ধারা এ শাঙনে। আজি রহিয়া রহিয়া গুমরায় হিয়া একা এ আঙনে ঘনিমা ঘনায় ঝাউ-বীথিকায় বেণু-বন-ছায় রে — ডাহুকীরে খুঁজি’ ডাহুক কাঁদে আঁধার-গহনে।। কেয়া-বনে দেয়া তুণীর বাঁধিয়া, গগনে গগনে ফেরে গো কাঁদিয়া। বেতস-বিতানে নীপ-তরুতলে শিখী নাচ ভোলে পুছ-পাখা টলে, মালতী-লতায় এলাইয়া বেণী কাঁদে বিষাদিনী রে — কাজল-আঁখি কে নয়ন মোছে তমাল-কাননে।।
নাটক : ‘ঝিলিমিলি’
ঝলমল জরীণ বেণী দুলায়ে
বাণী
ঝলমল জরীণ বেণী দুলায়ে প্রিয়া কি এলে সজল শাওন-মেঘে কাজল নয়ন মেলে।। কেয়া ফুলের পরিমল, ঝুরে মরে তব পথে, হেরি দীঘল তব তনু তাল পিয়াল তরু পড়ে হেলে’।। পরিবে বলিয়া খোঁপায় ঝরিছে বকুল চাঁপা তোমায় খুঁজিছে আকাশ তারার প্রদীপ জ্বেলে।। তোমারি লাবনি প্রিয়া ঝরিছে শ্যামল মেঘে, ফুটালে ফুল মরুভূমে চঞ্চল চরণ ফেলে।।
ঝুমঝুম ঝুমরা নাচ নেচে কে এলো
বাণী
ঝুমঝুম ঝুমরা নাচ নেচে কে এলো গো সই লো দেখে আয়। বৈঁচি বনে বিরহে বাউরি বাতাস বহে এলোমেলো গো।। আঁড়বাঁশি বাজায় আড়চোখে তাকায় তীর হানার ভঙ্গিতে ধনুক বাঁকায় নন্দন পাহাড়ে তাহারে দেখে চাঁদ আঁউরে গেল গো।। ঝাঁকড়া চুলের পাশে টুলটুলে চোখ হাসে কতই ছলে মোরলা মাছ যেন খেলে বেড়ায় গো কালো জলে। মৌটুসির মো ফেলে ভোমরা রয় তাকিয়ে গুরুজনের মত বটের তরু দাঁড়িয়ে জট পাকিয়ে আমলকি গাছের আড়ালে লুকিয়ে দেখি, দেখতে কি তা পেল গো (সে)।।
নাটিকাঃ‘অর্জুন বিজয়’