কালো পাহাড় আলো করে কে
বাণী
কালো পাহাড় আলো করে কে ও কে কালো শশী, নিতুই এসে লো বাজায় বাঁশি কদম তলায় বসি।। সই লো মানা কর্ না ওকে, ও চায় না যেন অমন চোখে, ওর চাউনি দেখে অলপ বয়সে হলাম দোষী।। গুরুজনের সে ভয় করে না, বাঁকিয়ে ভুরু ডাকে — সে ডাকে, আমারে সে ডাকে। রাতের বেলায় চোরের মত চাহে বেড়ার ফাঁকে। আমি না চাহিলে নূপুর ছুঁড়ে কলসি ভেঙে পালায় দূরে, আমি মরেছি সই প'রে তাহার বনমালার রশি।।
কারার ঐ লৌহকপাট
বাণী
কারার ঐ লৌহ-কপাট ভেঙ্গে ফেল্ কর্ রে লোপাট রক্ত-জমাট শিকল-পূজার পাষাণ-বেদী! ওরে ও তরুণ ঈশান! বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ! ধ্বংস-নিশান উঠুক প্রাচী-র প্রাচীর ভেদি’॥ গাজনের বাজনা বাজা! কে মালিক? কে সে রাজা? কে দেয় সাজা মুক্ত-স্বাধীন সত্য কে রে? হা হা হা পায় যে হাসি, ভগবান প’রবে ফাঁসি? সর্বনাশী — শিখায় এ হীন্ তথ্য কে রে? ওরে ও পাগ্লা ভোলা, দেরে দে প্রলয়-দোলা গারদগুলা জোরসে ধ’রে হ্যাঁচকা টানে। মার্ হাঁক হায়দরী হাঁক্ কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক ডাক ওরে ডাক মৃত্যুকে ডাক জীবন-পানে॥ নাচে ঐ কাল-বোশেখী, কাটাবি কাল ব’সে কি? দে রে দেখি ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি’। লাথি মার, ভাঙ্রে তালা! যত সব বন্দী-শালায় — আগুন জ্বালা, আগুন জ্বালা, ফেল্ উপাড়ি॥
সিনেমাঃ ‘চট্রগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন’