কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে
বাণী
কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে? মোর বুকে মুখ রাখি ঝড়ের পাখি সম কাঁদে ওকে? গভীর নিশীথের কন্ঠ জড়ায়ে শ্রান্ত কেশভার গগনে ছড়ায়ে, হারানো প্রিয়া মোর এলো কি লুকায়ে আমার একা ঘরে ম্লান আলোকে॥ গঙ্গায় তারি চিতা নিভেছে কবে, মোর বুকে সেই চিতা আজো জ্বলে নীরবে; স্মৃতির চিতা তার নিভিবে না বুঝি আর কোন সে জনমে কোন সে লোকে॥
কি নাম ধ'রে ডাকবো তোরে মা
বাণী
কি নাম ধ'রে ডাকবো তোরে মা তুই দে ব'লে ওমা কি নাম ধ'রে কাঁদলে পরে ধ'রে তুলিস কোলে (মাগো)।। বনে খুঁজি মনে খুঁজি পটে দেখি ঘটে পূজি মন্দিরে যাই কেঁদে লুটাই মাগো — পাষাণ প্রতিমা মা তোর একটুও না টলে।। কোল যদি না দিবি মাগো, আনলি কেন ভবে, আমি জনম নিয়ে এসেছি যে তোর কোলেরই লোভে। আমি রইতে নারি মা না পেয়ে, মরণ দে মা তাহার চেয়ে এ-ছার জীবনে কোন প্রয়োজন মাগো আমি কোটি বার মা মরতে পারি মা যদি পাই ম'লে।।
কিছু নাহি যার তোমারে দিবার
বাণী
কিছু নাহি যার তোমারে দিবার কি তার ভিক্ষা লবে! তুমি কেঁদে গেলে আমারে শুধুই নীরবে কাঁদিতে হবে।। হেথা একদিন কিশোর বেলায় বেঁধেছিনু ঘর পুতুল-খেলায়, সে সাথি আমার ফিরিবে না আর নব বসন্ত-উৎসবে।। একদা হেথায় ফুটেছিল হেনা, সে-ফুল আবার ফুটিবে হেথায় সে তো আর আসিবে না ওগো ভিখারি কি দিব তোমায় শূন্য দেউলে কুসুম শুকায়, ক্ষমিও আমার শত অপরাধ, ভিখারিনী আমি ভবে।।
কুসুম ফুলের মালা গেঁথে
বাণী
কুসুম ফুলের মালা গেঁথে দুলিয়ে দিছি গলে। অশ্রু দিয়ে গাঁথা মালা রইলো বুকের তলে।। বন্ধু আমার আস্বে যখন ফিরে’ বিজয় রথে মরা ফুলের সাথে আমি রইবো প’ড়ে পথে, যাবার বেলা চরণ দিয়ে যাবে আমায় দ’লে।। তাহার প্রিয়ার মুখে দেবো আমার হাসি ল’য়ে রইব না গো তাহার সুখে পথের কাঁটা হ’য়ে, তা’র বাসরে আলো দেবো প্রদীপ হ’য়ে জ্ব’লে।।