কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে
বাণী
কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে? মোর বুকে মুখ রাখি ঝড়ের পাখি সম কাঁদে ওকে? গভীর নিশীথের কন্ঠ জড়ায়ে শ্রান্ত কেশভার গগনে ছড়ায়ে, হারানো প্রিয়া মোর এলো কি লুকায়ে আমার একা ঘরে ম্লান আলোকে॥ গঙ্গায় তারি চিতা নিভেছে কবে, মোর বুকে সেই চিতা আজো জ্বলে নীরবে; স্মৃতির চিতা তার নিভিবে না বুঝি আর কোন সে জনমে কোন সে লোকে॥
কেন ঝুলনাতে একেলা দোলে
বাণী
কেন ঝুলনাতে একেলা দোলে রাইকিশোরী। বুঝি মেঘের মাঝে হারিয়ে গেল মেঘ-বরণ হরি।। সই দধির মাঝে ননী থাকে মোরা মথন করে আনি তাকে, মোরা নিঙ্ড়ে মেঘের সাগর, শ্যামে আনব বাহির করি’।। ঐ কালাকে সই ভালো জানি, জানি তাহার ঢং, তার কৃষ্ণ রূপের আঁধার খরা শুধু রাধার রং। যে না থাকিলে রাধার মাঝে দোলনাতে রাই দুলত না যে সই মেঘ যদি না থাকে সই কেন চমকায় বিজরী।।
গীতি-আলেখ্য : ‘হিন্দোলা’
কত কথা ছিল বলিবার
বাণী
কত কথা ছিল বলিবার, বলা হ’ল না। বুকে পাষাণ সম রহিল তারি বেদনা।। মনে রহিল মনের আশা মিটিল না প্রাণের পিপাসা, বুকে শুকালো বুকের ভাষা — মুখে এলো না।। এত চোখের জল, এত গান এত আদর সোহাগ অভিমান, কখন সে হ’ল অবসান — বোঝা গেল না।। ঝরিল কুসুম যদি হায়! কেন স্মৃতির কাঁটাও নাহি যায়, বুঝিল না কেহ কাহারো মন বিধির ছলনা।।
কত যুগ যেন দেখিনি তোমারে
বাণী
কত যুগ যেন দেখিনি তোমারে দেখি নাই কতদিন। তুমি যে জীবন, তোমারে না হেরি’, হয়েছিনু প্রাণহীন।। তুমি যেন বায়ু, বায়ু যবে নাহি বয় আমি ঢুলে পড়ি আয়ু মোর নাহি রয়, তুমি যেন জল, বাঁচিতে পারিনা জল বিনা আমি মীন।। তুমি জানো নাগো তব আশ্রয় বিনা আমি কত অসহায়, তুমি না ধরিলে আমার এ তনু বাতাসে মিশায়ে যায়। তাই মোর দেহ পাগলের প্রায় তোমার অঙ্গ জড়াইতে চায়, তাই উপবাসী তনু মোর হের দিনে দিনে হয় ক্ষীণ।।