কুসুম ফুলের মালা গেঁথে
বাণী
কুসুম ফুলের মালা গেঁথে দুলিয়ে দিছি গলে। অশ্রু দিয়ে গাঁথা মালা রইলো বুকের তলে।। বন্ধু আমার আস্বে যখন ফিরে’ বিজয় রথে মরা ফুলের সাথে আমি রইবো প’ড়ে পথে, যাবার বেলা চরণ দিয়ে যাবে আমায় দ’লে।। তাহার প্রিয়ার মুখে দেবো আমার হাসি ল’য়ে রইব না গো তাহার সুখে পথের কাঁটা হ’য়ে, তা’র বাসরে আলো দেবো প্রদীপ হ’য়ে জ্ব’লে।।
কেঁদো না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো
বাণী
কেঁদো না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো? ইষৎ হাসিতে তোর ত্রিভুবন আলো, কে বলেছে কালো।। কে দিয়েছে গালি তোরে, মন্দ সে মন্দ! যে বলেছে কালি তোরে, অনধ সে অন্ধ! মোর তারায় সে দেখে নাই তার নয়ন-তারা য়নাই আলো! তাই তারায় সে দেখে নাই।। রাখে লুকিয়ে মা তোর নয়ন-কমল (মাগো) কোটি আলোর সহস্র দল তোর রূপ দেখে মা লজ্জায় শিব অঙ্গে ছাই মাখালো।। তোর নীল -কপোলে কোটি তারা, চন্দনেরি ফোটার পারা ঝিকিমিকি করে গো — মা তোর দেহলতায় অতুল কোটি রবি -শশীর মুকুল ফোটে আবার ঝরে গো — তুমি হোমের শিখা বহ্নি- জ্যোতি, তুমি স্বাহা দীপ্তিমতী আঁধার ভুবন ভবনে মা কল্যাণ-দীপ জ্বালো তুমি কল্যাণ-দীপ জ্বালা।।
কত আর এ মন্দির দ্বার হে প্রিয় রাখিব খুলি
বাণী
কত আর এ মন্দির দ্বার, হে প্রিয়, রাখিব খুলি' বয়ে যায় যে লগ্নের ক্ষণ, জীবনে ঘনায় গোধূলি।। নিয়ে যাও বিদায়-আরতি, হ'ল ম্লান আঁখির জ্যোতি; ঝরে যায় শুষ্ক স্মৃতির মালিকা-কুসুমগুলি।। কত চন্দন ক্ষয় হ'ল হায়, কত ধূপ পুড়িল বৃথায়; নিরাশায় সে পুষ্প কত ও পায়ে হইল ধূলি।। ও বেদী-তলে কত প্রাণ — হে পাষাণ নিলে বলিদান; তবু হায় দিলে না দেখা — দেবতা, রহিলে ভুলি'।।
কলহংসিকা বাহনা পদ্মিনী-পাণি
বাণী
কলহংসিকা বাহনা পদ্মিনী-পাণি মণি মঞ্জীরা শোভনা, ছন্দিতা বাণী। বন্দে দামিনী-বর্ণা রাধা বৃন্দা-বন-চন্দে মত্ত-ময়ূর-ছন্দে নাচে কৃষ্ণ প্রেমানন্দে।। পল্লব-ঘন চক্ষে ঝরে অশ্রু-রস-ধারা পূব হাওয়াতে বংশী ডাকে আয় রে পথ-হারা, রুমঝুম ঝুম্ মঞ্জীর বাজে কঙ্কণ মণি বন্ধে।। রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ ঝিম্ কেকা-বন ঘন বর্ষে তৃষ্ণ-তৃপ্ত আত্মা নাচে নন্দালোক হর্ষে, ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর তাল বাজে শূন্যে মেঘ মন্দ্রে।।