কত ফুল তুমি পথে ফেলে দাও
বাণী
কত ফুল তুমি পথে ফেলে দাও (প্রিয়) মালা গাঁথ অকারনে আমি চয়েছিনু একটি কুসুম সেই কথা পড়ে মনে।। তব ফুলবনে কত ছায়া দোলে জুড়াইতে চেয়েছিনু তারি তলে চাহিলে না ফিরে চলে গেলে ধীরে ছায়া-ঢাকা অঙ্গনে।। অঞ্জলি পাতি' চেয়েছিনু, তব ভরা ঘটে ছিল বারি শুষ্ক-কন্ঠে ফিরিয়া আসিনু পিপাসিত পথচারী। বহুদিন পরে দাঁড়াইনু এসে তোমারি দুয়ারে উদাসীন বেশে শুকানো মালিকা কেন দিলে তুমি তব ভিক্ষার সনে।।
কুনুর নদীর ধারে ঝুনুর ঝুনুর বাজে
বাণী
পুরুষ : কুনুর নদীর ধারে ঝুনুর ঝুনুর বাজে বাজে বাজে লো ঘুঙুর কাহার পায়ে। স্ত্রী : হাতে তল্তা বাঁশের বাঁশি মুখে জংলা হাসি কে ঐ বুনো গো বড়ায় আদুল গায়ে।। পুরুষ : তার ফিঙের মত এলোখোঁপায় ঝিঙেরি ফুল স্ত্রী : যেন কালো ভোম্রার গা কালার ঝামর চুল। দ্বৈত : ও যদি না হতো পর দু’জনের হতো ঘর একই গাঁয়ে গো।। পুরুষ : ওর বাঁকা ভঙ্গিমা দেখে তৃতীয়ার চাঁদ ডেকে, হতে চাহে ওর হাঁসুলি-হার। স্ত্রী : ঝিলের শঙ্খ ঝিনুক বলে কিনুক বিনামূলে আমরা হব কালার কণ্ঠেরই হার। পুরুষ : ও মেয়ে না পাহাড়ি-ঝর্নার সুর স্ত্রী : ও পুরুষ না কষ্টি পাথরের ঠাকুর দ্বৈত : যদি বাসত ভালো, যদি আসত কাছে রাখতাম হিয়ায় লুকায়ে গো।।
কে এলি মা টুকটুকে লাল
বাণী
কে এলি মা টুকটুকে লাল রক্ত-চেলি প’রে। সারা গায়ে আবির মেখে ভুবন আলো ক’রে মা ত্রিভুবন রূপে ভ’রে।। পায়ে লাল জবার ফুল কানে ঝুমকো জবার দুল্, লাল শাপ্লার মালা প’রে দুলিয়ে এলোচুল — শুভ্র-বরণ শিবকে ফাগের রঙে রঙীন ক’রে।। ওমা! যোগমায়া, তোর রঙে রসের ব্রজে এলো হোরি, (তোর) নাচের তালে আনন্দ কুঙ্কুম প’ড়ে ঝরি’। তোর চরণ-অরুণ রাগে মা প্রভাত-রবি রাঙে মণিপুর-কমলে গায়ত্রী জাগে। (সেই) অনুরাগের রঙীন ধারা পড়ুক বুকে ঝ’রে।।
কাহার তরে হায় নিশিদিন কাঁদে মন-প্রাণ
বাণী
কাহার তরে হায় নিশিদিন কাঁদে মন-প্রাণ। জানে শুধু সেই, জানে মোর হৃদি ব্যথা-ম্লান।। কমল-পাতে যেন জল, — প্রণয় তার সই বুলবুলি চপল দ'লে যায় লতিকা বিতান।। জানে শুধু সে নিতে মন, দিতে জানে না ছলিয়া চলে সে-মুকুল, বারণ মানে না। জীবন ল'য়ে সে খেলে মরণ-খেলা, সকালে যারে চাহে তাহে বিকালে হেলা। কুসুম-সমাধি রচে সে নিঠুর পাষাণ।। চাহি শুধু এই, — যেন সে বাসিয়া ভালো এমনি ব্যথা পায় সে ওগো ভগবান।।