কোন্ দূরে ও-কে যায় চ’লে যায়
বাণী
কোন্ দূরে ও-কে যায় চ’লে যায়, সে ফিরে ফিরে চায় করুণ চোখে। তার স্মৃতি মেশা হায়, চেনা-অচেনায় তারে দেখেছি কোথায় যেন সে-কোন্ লোকে।। শুনি স্বপ্নে তারি যেন বাঁশি মন-উদাসী তারি বার্তা আসে নব মধু-মাসে, পলাশ আশোকে।। কৃষ্ণচূড়া তার মালা লুটায় — চৈত্র-শেষে বনের ধূলায় কান্না-বিধুর তার ভৈরবী সুর প্রভাতী তারায় অশ্রু ঘনায়, চির-বিরহী চিনি ওকে।।
কিশোরী বাসন্তী ডাকিছে
বাণী
পুরুষ : কিশোরী বাসন্তী ডাকিছে তোমায় ফুলবন। স্ত্রী : ডাকে হে শ্যাম, তোমায় তাল ও তমাল বন শন্ শন্।। পুরুষ : তুমি ফুলের বারতা স্ত্রী : তুমি বন-দেবতা, উভয়ে : আমরা আভাস ফাল্গুনের, দূর স্বর্গের পরশন।। পুরুষ : কল্প-লোকের তুমি রূপ-রানী গো প্রিয়া, অপাঙ্গে ফোটাও যুঁই-চম্পা-টগর-মোতিয়া। স্ত্রী : নিঠুর পরশ তব (হায়) যাচিয়া জাগে বনভূমি ফুলদল পড়ে ঝরি’ তব চারু পদ চুমি’, উভয়ে : আমরা ফুলশর-ঊর্বশী দেব-সভার মোরা হরষণ।।
কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও
বাণী
পুরুষ : কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও স্ত্রী : বলি, গাই-হারা বাছুরের মতন গোয়াল থেকে কে চ্যাঁচাও॥ পুরুষ : (বলি ও শাকচুন্নি, আহাহাহা) অমন শ্যাওড়া বৃক্ষ ফেলে, আমার ঘাড়ে কেন এলে গো, ও হো হো স্ত্রী : (বলি ও কালিয়া পেরেত) তুমি উনুন-মুখো দেবতা যে তাই ছাই-পাঁশের নৈবিদ্যি পাও। পুরুষ : (মরি অরি অরি অরি মরি, কি যে রূপের ছিরি, আহাহাহাহা) চন্দ্র-বদন ন্যাপা পোছা কুত্কুতে চোখ নাকটি বোঁচা গো, ও হো হো স্ত্রী : (বলি ও বেরসো কাট, বলি ও কেলো হুলো) তুমি কাঁদলে চোখে কালি বোরোয় কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও তুমি কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও। পুরুষ : বলি ও জুজুবুড়ি স্ত্রী : বলি ও ঝাঁকাভূঁড়ি পুরুষ : ও বাবা জুজু স্ত্রী : ও বাবা ঝাঁকা পুরুষ : আহা, চাম্চিকে ওই ডানা কাটা স্ত্রী : তুমি যেন পূজোর পাঁঠা পুরুষ : আহা, হার মেনে যায় হাঁড়ি চাঁছা প্রিয়ে যখন খ্যাচ-খ্যাচাও। স্ত্রী : (আ-মরি মরি, কি যে বচন সুধা) পিঁপড়ে ধরবে ও প্রাণনাথ তুমি, শিগ্গির মুখে ফিনাল দাও॥