বাণী

কেন বারে বারে আমি এসে’ ফিরে যাই তাহারি দুয়ারে।
পাষাণ ভাঙ্গিয়া বহিবে গো কবে নির্ঝর শত ধারে।।
পাষাণে গঠিত দেবতা বলিয়া গলে না হিয়া হায়,
বৃথা বেদীতলে কুসুম শুকায় দেউল আঁধারে।।

নাটক : ‘আলেয়া’

বাণী

কা’বার জিয়ারতে তুমি কে যাও মদিনায়।
আমার সালাম পৌঁছে দিও নবীজীর রওজায়।।
	হাজিদের ঐ যাত্রা-পথে
	দাঁড়িয়ে আছি সকাল হ’তে,
কেঁদে’ বলি, কেউ যদি মোর সালাম নিয়ে যায়।।
পঙ্গু আমি, আরব সাগর লঙ্ঘি কেমন ক’রে,
তাই নিশিদিন কাবা যাওয়ার পথে থাকি প’ড়ে।
	বলি, ওরে দরিয়ার ঢেউ
	মোর সালাম নিয়ে গেল না কেউ,
তুই দিস্ মোর সালামখানি মরুর ‘লু’-হাওয়ায়।।

বাণী

কে	তোরে কি বলেছে মা ঘুরে বেড়াস কালি মেখে
ওমা	বরাভয়া ভয়ঙ্করী সাজ পেলি তুই কোথা থেকে।।
	তোর এলাকেশে প্রলয় দোলে
	আমি চিনতে নারি গৌরী বলে।
ওমা	চাঁদ লুকাল মেঘের কোলে তোর মুখে না হাসি দেখে।।
ওমা	শঙ্কর কি গঙ্গা নিয়ে,কাঁদায় তোরে দুঃখ দিয়ে
ওমা	শিবানী তোর চরণ তলে এনেছি তাই শিবকে ডেকে।।

বাণী

কে এলে মোর ব্যথার গানে গোপন-লোকের বন্ধু গোপন
নাইতে আমার গানের ধারায় এলে সুরের মানসী কোন।।
	গান গেয়ে যাই আপন মনে
	সুরের পাখি গহন-বনে
সে সুর বেঁধে কার নয়নে জানে শুধু তারি নয়ন।।
	সুরের গোপন বাসর-ঘরে
	গানের মালা বদল ক'রে
সকল আঁখির অগোচরে না দেখাতেই মোদের মিলন।।

বাণী

		কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘ-বরণ কেশ।
ওরে		আমায় নিয়ে যাও রে নদী সেই সে কন্যার দেশ রে।।
		পরনে তার মেঘ-ডম্বুর উদয়-তারার শাড়ি
ওরে		রূপ নিয়ে তার চাঁদ-সুরুজে করে কাড়াকাড়ি রে
আমি		তারি লাগি রে
		আমি তারি লাগি বিবাগী ভাই আমার চির-পথিক বেশ।।
		পিছ্‌লে পড়ে চাঁদের কিরণ নিটোল তারি গায়ে
ওরে		সন্ধ্যা-সকাল আসে তারি’ আল্‌তা হতে পায়ে রে।
ও সে		রয় না ঘরে রে
ও সে		রয় না ঘরে ঘুরে’ বেড়ায় ময়নামতীর চরে
তা’রে		দেখ্‌লে মরা বেঁচে ওঠে জ্যান্ত মানুষ মরে রে
ও সে		জল-তরঙ্গে বাজে রে তার সোনার চুড়ির রেশ।।

বাণী

কে	ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে'।
	এই প্রভাতে তটিনী-কূলে কূলে।।
ঐ	ঘুমায়ে সকলি, জাগেনি কেউ 
	জল নিতে এখনো আসেনি বউ, 
	শুধু তব নদীতে জেগেছে ঢেউ — 
	মেলেছ নয়ন কানন-ফুলে।।
	যে সুবাস ঝরে ও-এলোকেশে 
	কমলে তা' দিলে নাহিতে এসে', 
	তব তনু-মন দীঘিতে ভেসে' —
	মাতাইছে, মধুপ পথ ভুলে।
ও	শিশির-কপোল-স্বেদ বারি 
	পড়িল ঝরি' নয়নে আমারি, 
	জাগিয়া হেরি রূপ-মনোহারী —
	দাঁড়ায়ে উষসী তোরণ-মূলে।।