কালা এত ভাল কি হে কদম্ব গাছের তলা
বাণী
কালা এত ভাল কি হে কদম্ব গাছের তলা। আমি দেখ্ছি কত দেখ্ব কত তোমার ছলাকলা; আমি নিতুই নিতুই সবই কত, (কালা) তিন সতিনের জ্বালা॥ আমি জল নিতে যাই যমুনাতে তুমি বাজাও বাঁশি হে, মনের ভুলে কলস ফেলে তোমার কাছে আসি হে, শ্যাম দিন-দুপুরে গোকুলপুরে (আমার) দায় হল পথ চলা॥ আমার চারদিকেতে ননদ-সতীন দু’কূল রাখা ভার, আমি সইব কত আর বাঁকা শ্যাম। ওরা বুঝছে সবই নিত্যি-নতুন, (নিতি) মিথ্যে কথা বলা॥
কথা কও কও কথা থাকিও না চুপ ক'রে
বাণী
কথা কও, কও কথা, থাকিও না চুপ ক'রে। মৌন গগনে হের কথার বৃষ্টি ঝরে।। ধীর সমীরণ নাহি যদি কহে কথা ফোটে না কুসুম, নাহি দোলে বনলতা। কমল মেলে না দল, যদি ভ্রমর না গুঞ্জরে।। শোন কপোতীর কাছে কপোত কি কথা কহে, পাহাড়ের ধ্যান ভাঙি মুখর ঝর্ণা বহে। আমার কথার লঘু মেঘগুলি হায়! জ'মে হিম হয়ে যায় তোমার নীরবতায়; এসো আরো কাছে এসো কথার নূপুর প'রে।।
গীতিচিত্রঃ অতনুর দেশ
কেন কাঁদে পরান কি বেদনায় কারে কহি
বাণী
কেন কাঁদে পরান কি বেদনায় কারে কহি। সদা কাঁপে ভীরু হিয়া রহি’ রহি’।। সে থাকে নীল নভে আমি নয়ন-জল-সায়রে সাতাশ তারার সতীন-সাথে সে যে ঘুরে মরে কেমনে ধরি সে চাঁদে রাহু নহি।। কাজল করি’ যারে রাখি গো আঁখি-পাতে স্বপনে যায় সে ধুয়ে গোপনে অশ্রু-সাথে। বুকে তায় মালা করি’ রাখিলে যায় সে চুরি বাঁধিলে বলয়-সাথে মলয়ায় যায় সে উড়ি’ কি দিয়ে সে উদাসীর মন মোহি’।।
কত সে-জনম কত সে-লোক
বাণী
কত সে-জনম কত সে-লোক পার হয়ে এলে, হে প্রিয় মোর। নিভে গেছে কত তপন-চাঁদ তোমারে খুঁজিয়া, হে মন চোর।। কত গ্রহে, প্রিয়, কত তারায় তোমারে খুঁজিয়া ফিরেছি, হায়! চাহ এ নয়নে হেরিবে তায়, সে-দূর স্মৃতির স্বপন-ঘোর।। আজো অপূর্ণ কত সে-সাধ অভিমানী তাহে সেধো না বাদ! না মিটিতে সাধ, স্বপন-চাঁদ, মিলনের নিশি ক’রো না ভোর।।
কুসুম ফুলের মালা গেঁথে
বাণী
কুসুম ফুলের মালা গেঁথে দুলিয়ে দিছি গলে। অশ্রু দিয়ে গাঁথা মালা রইলো বুকের তলে।। বন্ধু আমার আস্বে যখন ফিরে’ বিজয় রথে মরা ফুলের সাথে আমি রইবো প’ড়ে পথে, যাবার বেলা চরণ দিয়ে যাবে আমায় দ’লে।। তাহার প্রিয়ার মুখে দেবো আমার হাসি ল’য়ে রইব না গো তাহার সুখে পথের কাঁটা হ’য়ে, তা’র বাসরে আলো দেবো প্রদীপ হ’য়ে জ্ব’লে।।