কত নিদ্রা যাও রে কন্যা
বাণী
কত নিদ্রা যাও রে কন্যা জাগো একটু খানি যাবার বেলায় শুনিয়া যাই তোমার মুখের বাণী।। নিশীথিনীর ঘুম ভেঙে যায় চন্দ্র যখন হেসে তাকায় গো চাতাকিনী ঘুমায় কি গো দেখলে মেঘের পানি।। ফুলের কুঁড়ি চোখ মেলে চায় যেই না ভ্রমর বোলে (রে কন্যা) বসন্ত আসিলে রে কন্যা বনের লতা দোলে (রে কন্যা) যারা আছে প্রাণে প্রাণে জাগে তারা ঘুম না জানে আমি যখন রইব না গো (তখন) জাগবে তুমি জানি।।
কঠিন ধরায় ফোটাতে ফসল-ফুল
বাণী
কঠিন ধরায় ফোটাতে ফসল-ফুল। কে জানে মহা-সিন্ধু কেন গো হইয়া ওঠে ব্যাকুল।। মেঘ হ’য়ে কেন আকাশ ভরিয়া বারিধারা রূপে পড়ে গো ঝরিয়া, কত লোক ভাবে উৎপাত এলো, কত লোক ভাবে ভুল।। কার বাঁধা-ঘর ভেঙে গেল হায় বোঝে না’ক তাহা মেঘ, কুলে কুলে আনে ফুলের বন্যা তাহার প্রেমের বেগ। জানে না কাহার করিল সে ক্ষতি সে জানে স্নিগ্ধ হ’ল বসুমতী, যে অকূলের পথে টানে, সে বোঝে না ভাসিল কাহার কুল।।
কে নিবি ফুল কে নিবি ফুল
বাণী
কে নিবি ফুল, কে নিবি ফুল — টগর যূথী, বেলা মালতী চাঁপা, গোলাপ, বকুল, নার্গিস ইরানি-গুল।। আমার যৌবন-বাগানে হাওয়া লেগেছে ফুল-জাগানে, চ'লে যেতে ঢ'লে পড়ি, খুলে পড়ে এলো চুল; তনু-মন আকুল আঁখি ঢুলুঢুল্।। (ওগো) ফুটেছে এত ফুল, ফুলমালী কই? গাঁথিবে মালা কবে? সেই আশে রই; এ মালা দেব কা'রে ভেবে সারা হই, সহিতে পারি না এ ফুল-ঝামেলা, চামেলি-পারুল।।
কেন আজ নতুন ক’রে পরান
বাণী
কেন আজ নতুন ক’রে পরান তোমারে পাইতে চায়। এত কাছে আছো তবু কেন বুকে অসহ বিরহ হায়।। রূপ-সরসীতে ফুটালে পদ্মিনী বঁধু দিলে সুরভি রসঘন মধু, তবু শীর্ণা তনু কেন চায় গোধুলি রাঙা-শাড়ি - আল্তা পরিতে কেন সাধ যায়।। বনশ্রী কাঁদে প্রেম কণ্ঠ জড়ায়ে ওলো নিরাভরণা অথই জলে কাঁদে প্রেম ঘন কমল খোঁপায় কেন পর না, কেন তব সুরের কপোতী মুক্তামালা চুড়ি কাঁকন পরায়।।
কল-কল্লোলে ত্রিংশ কোটি-কণ্ঠে উঠেছে গান
বাণী
কল-কল্লোলে ত্রিংশ কোটি-কণ্ঠে উঠেছে গান জয় আর্যাবর্ত, জয় ভারত, জয় হিন্দুস্থান।। শিরে হিমালয় প্রহরী, পদ বন্দে সাগর যাঁর, শ্যাম বনানী কুন্তলা রানী জন্মভূমি আমার। ধূসর কভু উষর মরুতে, কখনো কোমল লতায় তরুতে, কখনো ঈশানে জলদ-মন্দ্রে বাজে-মেঘ বিষাণ।। সকল জাতি সকল ধর্ম পেয়েছে হেথায় টাই এসেছিল যারা শত্রুর রূপে, আজ সে স্বজন ভাই।। বিজয়ীর বেশে আসিল যাহারা, আজি মা’র কোলে সন্তান তারা, (তাই) মা’র কোল নিয়ে করে কাড়াকাড়ি হিন্দু মুসলমান।। জৈন পার্শী বৌদ্ধ শক্তি খ্রিস্টান বৈষ্ণব মা’র মমতায় ভুলিয়া বিরোধ এক হয়ে গেছে সব। ভুলি’ বিভিন্ন ভাষা আর বেশ গাহিছে সকলে আমার স্বদেশ শত দল মিলে’ শতদল হ’য়ে করিছে অর্ঘ্য দান।।