বাণী

কে	তোরে কি বলেছে মা ঘুরে বেড়াস কালি মেখে
ওমা	বরাভয়া ভয়ঙ্করী সাজ পেলি তুই কোথা থেকে।।
	তোর এলাকেশে প্রলয় দোলে
	আমি চিনতে নারি গৌরী বলে।
ওমা	চাঁদ লুকাল মেঘের কোলে তোর মুখে না হাসি দেখে।।
ওমা	শঙ্কর কি গঙ্গা নিয়ে,কাঁদায় তোরে দুঃখ দিয়ে
ওমা	শিবানী তোর চরণ তলে এনেছি তাই শিবকে ডেকে।।

বাণী

কেমনে রাখি আঁখি–বারি চাপিয়া
প্রাতে কোকিল কাঁদে নিশীথে পাপিয়া।।
এ ভরা ভাদরে আমার মরা নদী
উথলি’ উথলি’ উঠিছে নিরবধি
আমার এ ভাঙা ঘটে, আমার এ হৃদিতটে
চাপিতে গেলে ওঠে দু’কূল ছাপিয়া।।
নিষেধ নাহি মানে আমার এ পোড়া আঁখি
জল লুকাবো কত কাজল মাখি’ মাখি’
ছলনা ক’রে হাসি, অমনি জলে ভাসি
ছলিতে গিয়া আসি ভয়েতে কাঁপিয়া।।

বাণী

কেন বারে বারে আমি এসে’ ফিরে যাই তাহারি দুয়ারে।
পাষাণ ভাঙ্গিয়া বহিবে গো কবে নির্ঝর শত ধারে।।
পাষাণে গঠিত দেবতা বলিয়া গলে না হিয়া হায়,
বৃথা বেদীতলে কুসুম শুকায় দেউল আঁধারে।।

নাটক : ‘আলেয়া’

বাণী

কত যুগ পাই নাই তোমার দেখা
থাকিতে পারি না আর একা একা।।
	জানি না কোথায় থাকো
	সেথায় আমারে ডাকো
মুছে এলো বুকে বঁধু স্মৃতির রেখা।।
তুমি জলধি, তোমাতে মিশে শতেক নদী
আম রুদ্ধ-সায়র কাঁদি নিরবধি।
	দেখা কি পাব না হায়
	আশা যে ফুরায়ে যায়
শ্রাবণে এলো গো মেঘ, কাঁদিছে কেকা।।

বাণী

পুরুষ	:	কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও
স্ত্রী	:	বলি, গাই-হারা বাছুরের মতন গোয়াল থেকে কে চ্যাঁচাও॥
পুরুষ	:	(বলি ও শাকচুন্নি, আহাহাহা)
		অমন শ্যাওড়া বৃক্ষ ফেলে, আমার ঘাড়ে কেন এলে গো, ও হো হো
স্ত্রী	:	(বলি ও কালিয়া পেরেত)
		তুমি উনুন-মুখো দেবতা যে তাই
		ছাই-পাঁশের নৈবিদ্যি পাও।
পুরুষ	:	(মরি অরি অরি অরি মরি, কি যে রূপের ছিরি, আহাহাহাহা)
		চন্দ্র-বদন ন্যাপা পোছা
		কুত্‌কুতে চোখ নাকটি বোঁচা গো, ও হো হো
স্ত্রী	:	(বলি ও বেরসো কাট, বলি ও কেলো হুলো)
		তুমি কাঁদলে চোখে কালি বোরোয় কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও
		তুমি কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও।
পুরুষ	:	বলি ও জুজুবুড়ি
স্ত্রী	:	বলি ও ঝাঁকাভূঁড়ি
পুরুষ	:	ও বাবা জুজু
স্ত্রী	:	ও বাবা ঝাঁকা
পুরুষ	:	আহা, চাম্‌চিকে ওই ডানা কাটা
স্ত্রী	:	তুমি যেন পূজোর পাঁঠা
পুরুষ	:	আহা, হার মেনে যায় হাঁড়ি চাঁছা প্রিয়ে যখন খ্যাচ-খ্যাচাও।
স্ত্রী	:	(আ-মরি মরি, কি যে বচন সুধা)
		পিঁপড়ে ধরবে ও প্রাণনাথ তুমি, শিগ্‌গির মুখে ফিনাল দাও॥

বাণী

কবে সে মদিনার পথে, গিয়াছে সুজন।
বহায়ে নয়ন বারি, ভিজিল বসন।।
	রমজানের ঐ চাঁদ নবী,
	পাঠাইলেন নূরের খুবী,
পাগল করে আমার হিয়া করেছে হরণ।।
	পশুপাখি তরুলতা,
	তারা শুধায় পারের কথা,
আমি একলা বসে ভাবছি হেথা নবীজীর কারণ।।
	বেড়াই আমি পথে পথে,
	খুঁজে না পাই মদিনাতে,
কোথায় গেলেন পাক মোস্তফা অমূল্য রতন।।
[দুখুমিয়ার লেটোগান, সংগ্রহ ও সম্পাদনা : মুহম্মদ আয়ুব হোসেন, বিশ্বকোষ পরিষদ, কলকাতা, ২০০৩]

রেকর্ড

কবে সে মদিনা পথে গিয়াছে সুজন।
বহায়ে নয়ন-বারি (আমার) ভিজায়ে বদন।।
	রমজানের চাঁদে নবী, 
	পাঠায় সদা নূরের ছবি, 
পাগল করে আমার মন করেছে হরণ।।
	পশুপাখি তরুলতা, 
	তাদের শুধাই পথের কথা, 
কেমনে পাবো সে চাঁদে জীবন-শরণ।।
	খুঁজে সে মদিনা-নাথে, 
	কেঁদে ফিরি পথে পথে, 
কোথা গেলে পাবো আমি ও রাঙা চরণ।।