কা’বার জিয়ারতে তুমি কে যাও
বাণী
কা’বার জিয়ারতে তুমি কে যাও মদিনায়। আমার সালাম পৌঁছে দিও নবীজীর রওজায়।। হাজিদের ঐ যাত্রা-পথে দাঁড়িয়ে আছি সকাল হ’তে, কেঁদে’ বলি, কেউ যদি মোর সালাম নিয়ে যায়।। পঙ্গু আমি, আরব সাগর লঙ্ঘি কেমন ক’রে, তাই নিশিদিন কাবা যাওয়ার পথে থাকি প’ড়ে। বলি, ওরে দরিয়ার ঢেউ মোর সালাম নিয়ে গেল না কেউ, তুই দিস্ মোর সালামখানি মরুর ‘লু’-হাওয়ায়।।
কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘ-বরণ কেশ
বাণী
কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘ-বরণ কেশ। ওরে আমায় নিয়ে যাও রে নদী সেই সে কন্যার দেশ রে।। পরনে তার মেঘ-ডম্বুর উদয়-তারার শাড়ি ওরে রূপ নিয়ে তার চাঁদ-সুরুজে করে কাড়াকাড়ি রে আমি তারি লাগি রে আমি তারি লাগি বিবাগী ভাই আমার চির-পথিক বেশ।। পিছ্লে পড়ে চাঁদের কিরণ নিটোল তারি গায়ে ওরে সন্ধ্যা-সকাল আসে তারি’ আল্তা হতে পায়ে রে। ও সে রয় না ঘরে রে ও সে রয় না ঘরে ঘুরে’ বেড়ায় ময়নামতীর চরে তা’রে দেখ্লে মরা বেঁচে ওঠে জ্যান্ত মানুষ মরে রে ও সে জল-তরঙ্গে বাজে রে তার সোনার চুড়ির রেশ।।
কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে
বাণী
কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে'। এই প্রভাতে তটিনী-কূলে কূলে।। ঐ ঘুমায়ে সকলি, জাগেনি কেউ জল নিতে এখনো আসেনি বউ, শুধু তব নদীতে জেগেছে ঢেউ — মেলেছ নয়ন কানন-ফুলে।। যে সুবাস ঝরে ও-এলোকেশে কমলে তা' দিলে নাহিতে এসে', তব তনু-মন দীঘিতে ভেসে' — মাতাইছে, মধুপ পথ ভুলে। ও শিশির-কপোল-স্বেদ বারি পড়িল ঝরি' নয়নে আমারি, জাগিয়া হেরি রূপ-মনোহারী — দাঁড়ায়ে উষসী তোরণ-মূলে।।