কেন কাঁদে পরান কি বেদনায় কারে কহি
বাণী
কেন কাঁদে পরান কি বেদনায় কারে কহি। সদা কাঁপে ভীরু হিয়া রহি’ রহি’।। সে থাকে নীল নভে আমি নয়ন-জল-সায়রে সাতাশ তারার সতীন-সাথে সে যে ঘুরে মরে কেমনে ধরি সে চাঁদে রাহু নহি।। কাজল করি’ যারে রাখি গো আঁখি-পাতে স্বপনে যায় সে ধুয়ে গোপনে অশ্রু-সাথে। বুকে তায় মালা করি’ রাখিলে যায় সে চুরি বাঁধিলে বলয়-সাথে মলয়ায় যায় সে উড়ি’ কি দিয়ে সে উদাসীর মন মোহি’।।
কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে
বাণী
কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে? মোর বুকে মুখ রাখি ঝড়ের পাখি সম কাঁদে ওকে? গভীর নিশীথের কন্ঠ জড়ায়ে শ্রান্ত কেশভার গগনে ছড়ায়ে, হারানো প্রিয়া মোর এলো কি লুকায়ে আমার একা ঘরে ম্লান আলোকে॥ গঙ্গায় তারি চিতা নিভেছে কবে, মোর বুকে সেই চিতা আজো জ্বলে নীরবে; স্মৃতির চিতা তার নিভিবে না বুঝি আর কোন সে জনমে কোন সে লোকে॥
কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া
বাণী
কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া গো। আমি যত ভুলি ভুলি করি, তত আঁকড়িয়া ধরি শ্যামের সে রূপ ভোলা কি যায়, নিখিল শ্যামল যার শোভায় আকাশে সাগরে বনে কান্তারে লতায় পাতায় সে রূপ ভায়। আমার বঁধুর রূপের ছায়া বুকে ধরি’ আকাশ-আরশি নীল গো বহে ভুবন প্লাবিয়া কালারে ভাবিয়া কালো সাগর-সলিল গো। সখি গো — যদি ফুল হয়ে ফুটি তরু-শাখে, সে যে পল্লব হয়ে ঘিরে থাকে। সখি গো — আমি যেদিকে তাকাই হেরি ও-রূপ কেবল সে যে আমারি মাঝারে রহে করি’ নানা ছল সে যে বেণী হয়ে দোলে পিঠে চপল চতুর। সে যে আঁখির তারায় হাসে কপট নিঠুর। তারে কেমনে ভুলিব, সখি কেমনে ভুলিব। থাকে কবরী-বন্ধে কালো ডোর হয়ে কাল্ফণী কালো কেশে গো থাকে কপালের টিপে, চোখের কাজলে কপোলের তিলে মিশে’ গো! আমার এ-কূল ও-কূল দু’কূল গেল। কূলে সই পড়িল কালি সেও কালো রূপে এলো। রাখি কি দিয়া মন বাঁধিয়া, বাঁধিয়া বাঁধিয়া বাঁধিয়া গো।।