কারো ভরসা করিসনে তুই
বাণী
কারো ভরসা করিসনে তুই (ও মন) এক আল্লার ভরসা কর। আল্লা যদি সহায় থাকেন (ও তোর) ভাবনা কিসের, কিসের ডর।। রোগে শোকে দুঃখে ঋণে নাই ভরসা আল্লা বিনে রে তুই মানুষের সহায় মাগিস (তাই) পাস্নে খোদার নেক্-নজর।। রাজার রাজা বাদশাহ্ যিনি গোলাম হ তুই সেই খোদার, বড় লোকের দুয়ারে তুই বৃথাই হাত পাতিস্নে আর। তোর দুখের বোঝা ভারি হ’লে ফেলে প্রিয়জনও যায় রে চ’লে সেদিন ডাক্লে খোদায় তাঁহার রহম (ওরে) ঝরবে রে তোর মাথার ’পর।।
কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও
বাণী
পুরুষ : কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও স্ত্রী : বলি, গাই-হারা বাছুরের মতন গোয়াল থেকে কে চ্যাঁচাও॥ পুরুষ : (বলি ও শাকচুন্নি, আহাহাহা) অমন শ্যাওড়া বৃক্ষ ফেলে, আমার ঘাড়ে কেন এলে গো, ও হো হো স্ত্রী : (বলি ও কালিয়া পেরেত) তুমি উনুন-মুখো দেবতা যে তাই ছাই-পাঁশের নৈবিদ্যি পাও। পুরুষ : (মরি অরি অরি অরি মরি, কি যে রূপের ছিরি, আহাহাহাহা) চন্দ্র-বদন ন্যাপা পোছা কুত্কুতে চোখ নাকটি বোঁচা গো, ও হো হো স্ত্রী : (বলি ও বেরসো কাট, বলি ও কেলো হুলো) তুমি কাঁদলে চোখে কালি বোরোয় কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও তুমি কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও। পুরুষ : বলি ও জুজুবুড়ি স্ত্রী : বলি ও ঝাঁকাভূঁড়ি পুরুষ : ও বাবা জুজু স্ত্রী : ও বাবা ঝাঁকা পুরুষ : আহা, চাম্চিকে ওই ডানা কাটা স্ত্রী : তুমি যেন পূজোর পাঁঠা পুরুষ : আহা, হার মেনে যায় হাঁড়ি চাঁছা প্রিয়ে যখন খ্যাচ-খ্যাচাও। স্ত্রী : (আ-মরি মরি, কি যে বচন সুধা) পিঁপড়ে ধরবে ও প্রাণনাথ তুমি, শিগ্গির মুখে ফিনাল দাও॥
কেন হেরিলাম নব ঘনশ্যাম কালারে
বাণী
কেন হেরিলাম নব ঘনশ্যাম কালারে কাল্ কালিন্দী-কূলে। (সে যে) বাঁশরির তানে সকরুণ গানে ডাকিল প্রেম-কদম্ব মূলে।। কেন কলস ভরিতে গেনু যমুনা-তীরে, মোর কলস সাথে গেল ভাসি, লাজ-কূল-মান আকুল নীরে। কলসির জল মোর নয়নে ভরিয়া সই আসিনু ফিরে।। সখি হে তোদের সে রাই নাই, গোকুলের রাই গোকুলে নাই। সে যে হারাইয়া গেছে শ্যামের রূপে লো নবীন নীরদে বিজলি প্রায়। সে রবি-শশী সম ডুবিয়া গেছে লো সুনীল রূপের গগন-গায়।। হরি-চন্দন-পঙ্কে লো সখি শীতল ক’রে দে জ্বালা, দুলায়ে দে গলে বল্লভ-রূপী শ্যাম পল্লব মালা। নীল কমল আর অপরাজিতার, শেজ্ পেতে দে লো কোমর বিথার পেতে দে শয্যা পেতে দে, নীল শয্যা পেতে দে পেতে দে! পরাইয়া দে লো সখি অঙ্গে নীলাম্বরী, জড়াইয়া কালো বরণ আমি যেন মরি।।
কলহংসিকা বাহনা পদ্মিনী-পাণি
বাণী
কলহংসিকা বাহনা পদ্মিনী-পাণি মণি মঞ্জীরা শোভনা, ছন্দিতা বাণী। বন্দে দামিনী-বর্ণা রাধা বৃন্দা-বন-চন্দে মত্ত-ময়ূর-ছন্দে নাচে কৃষ্ণ প্রেমানন্দে।। পল্লব-ঘন চক্ষে ঝরে অশ্রু-রস-ধারা পূব হাওয়াতে বংশী ডাকে আয় রে পথ-হারা, রুমঝুম ঝুম্ মঞ্জীর বাজে কঙ্কণ মণি বন্ধে।। রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ ঝিম্ কেকা-বন ঘন বর্ষে তৃষ্ণ-তৃপ্ত আত্মা নাচে নন্দালোক হর্ষে, ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর তাল বাজে শূন্যে মেঘ মন্দ্রে।।