কোন্ সে-সুদূর অশোক-কাননে
বাণী
কোন্ সে-সুদূর অশোক-কাননে বন্দিনী তুমি সীতা। আর কতকাল জ্বলিবে আমার বুকে বিরহের চিতা।। সীতা — সীতা!! বিরহে তোমার অরণ্যচারী কাঁদিব রঘুবীর বল্কলধারী, ঝরা চামেলির অশ্রু ঝরায়ে ঝুরিছে বন-দুহিতা।। সীতা — সীতা!! তোমার আমার এই অনন্ত অসীম বিরহ নিয়া, কত আদি কবি কত রামায়ন রচিবে, কে জানে প্রিয়া! বেদনার সুর-সাগর তীরে দয়িতা আমার এসো এসো ফিরে, আবার আঁধার হৃদি-অযোধ্যা হইবে দীপান্বিতা।। সীতা — সীতা!!
নাটকঃ ‘বন্দিনী বিরহিনী সীতা’
কালো জল ঢালিতে সই
বাণী
কালো জল ঢালিতে সই চিকন কালারে পড়ে মনে। কালো মেঘ দেখে শাওনে সই পড়্ল মনে কালো বরণে॥ কালো জলে দীঘির বুকে কালায় দেখি নীল-শালুকে (আমি) চম্কে উঠি, ডাকে যখন কালো কোকিল বনে॥ কল্মিলতার চিকন পাতায় দেখি আমার শ্যামে লো পিয়া ভেবে দাঁড়াই গিয়ে পিয়াল গাছের বামে লো। উড়ে গেলে দোয়েল পাখি ভাবি কালার কালো আঁখি আমি নীল শাড়ি পরিতে নারি কালারি কারণে লো কালারি কারণে॥
কা’বার জিয়ারতে তুমি কে যাও মদিনায়
বাণী
কা’বার জিয়ারতে তুমি কে যাও মদিনায়। আমার সালাম পৌঁছে দিও নবীজীর রওজায়।। হাজীদের ঐ যাত্রা–পথে দাঁড়িয়ে আছি সকাল হ’তে, কেঁদে’ বলি, কেউ যদি মোর সালাম নিয়ে যায়।। পঙ্গু আমি, আরব সাগর লঙ্ঘি কেমন ক’রে, তাই নিশিদিন কাবা যাওয়ার পথে থাকি প’ড়ে। বলি, ওরে দরিয়ার ঢেউ মোর সালাম নিয়ে গেল না কেউ, তুই দিস্ মোর সালামখানি মরুর ‘লু’–হাওয়ায়।।