বাণী

কৃষ্ণ কৃষ্ণ বল্ রসনা রাধা রাধা বল্,
রাধাকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণ রাধাকৃষ্ণ বল্।।
যোগে খোঁজেন শিব কৃষ্ণ-গোবিন্দে
ব্রহ্মা পূজেন রাধা-চরণারবিন্দে,
অধরা যুগল চাঁদে ধরিল প্রেমের ফাঁদে গোপ গোপীদল।।
(মোর) শ্রীকৃষ্ণে থাকে যেন অটল মতি
সেই মতি দেন্ মোর রাধা শ্রীমতী,
মন-বৃন্দাবনে ফোটে কৃষ্ণ নামের ফুল —
ঝরায়ে সে-ফুল রাই দেন সবে প্রেম-ফল।।
রাধাকৃষ্ণ বল্ ওরে নর-নারী
সংসার বনে তোরা যেন শুক-শারি,
তার, পরানে নিত্য রাস-রসের উল্লাস —
যাহার হৃদয়ে দোলে মূরতি যুগল।।

বাণী

পুরুষ	:	কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও
স্ত্রী	:	বলি, গাই-হারা বাছুরের মতন গোয়াল থেকে কে চ্যাঁচাও॥
পুরুষ	:	(বলি ও শাকচুন্নি, আহাহাহা)
		অমন শ্যাওড়া বৃক্ষ ফেলে, আমার ঘাড়ে কেন এলে গো, ও হো হো
স্ত্রী	:	(বলি ও কালিয়া পেরেত)
		তুমি উনুন-মুখো দেবতা যে তাই
		ছাই-পাঁশের নৈবিদ্যি পাও।
পুরুষ	:	(মরি অরি অরি অরি মরি, কি যে রূপের ছিরি, আহাহাহাহা)
		চন্দ্র-বদন ন্যাপা পোছা
		কুত্‌কুতে চোখ নাকটি বোঁচা গো, ও হো হো
স্ত্রী	:	(বলি ও বেরসো কাট, বলি ও কেলো হুলো)
		তুমি কাঁদলে চোখে কালি বোরোয় কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও
		তুমি কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও।
পুরুষ	:	বলি ও জুজুবুড়ি
স্ত্রী	:	বলি ও ঝাঁকাভূঁড়ি
পুরুষ	:	ও বাবা জুজু
স্ত্রী	:	ও বাবা ঝাঁকা
পুরুষ	:	আহা, চাম্‌চিকে ওই ডানা কাটা
স্ত্রী	:	তুমি যেন পূজোর পাঁঠা
পুরুষ	:	আহা, হার মেনে যায় হাঁড়ি চাঁছা প্রিয়ে যখন খ্যাচ-খ্যাচাও।
স্ত্রী	:	(আ-মরি মরি, কি যে বচন সুধা)
		পিঁপড়ে ধরবে ও প্রাণনাথ তুমি, শিগ্‌গির মুখে ফিনাল দাও॥

বাণী

কোথায় গেলি মাগো আমার খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রেখে
ক্লান্ত আমি খেলে খেলে এ সংসারে ও-মা ধুলা মেখে।।
	বলেছিলি সন্ধ্যা হ'লে
	ধুলা মুছে নিবি কোলে
ও-মা  ছেলেরে তুই গেলি ছ'লে পাইনে সাড়া ডেকে' ডেকে'।।
এ কি খেলার পুতুল মা গো দিয়েছিলি মন ভুলাতে
আধেক তাহার হারিয়ে গেছে আধেক ভেঙে আছে হাতে।
	এ পুতুলও লাগছে মা ভার
	তোর পুতুল তুই নে গো এবার
এখন সন্ধ্যা হলো ও-মা সন্ধ্যা হলো নামলো আঁধার
	ঘুম পাড়া মা আঁচল ঢেকে।।

বাণী

কত কথা ছিল বলিবার, বলা হ’ল না।
বুকে পাষাণ সম রহিল তারি বেদনা।।
	মনে রহিল মনের আশা
	মিটিল না প্রাণের পিপাসা,
বুকে শুকালো বুকের ভাষা — মুখে এলো না।।
	এত চোখের জল, এত গান
	এত আদর সোহাগ অভিমান,
কখন সে হ’ল অবসান — বোঝা গেল না।।
	ঝরিল কুসুম যদি হায়!
কেন স্মৃতির কাঁটাও নাহি যায়,
বুঝিল না কেহ কাহারো মন বিধির ছলনা।।

বাণী

কেন		প্রেম-যমুনা আজি হলো অধীর
দোলে		টলমল রহে না স্থির।।
		মানে না বারণ উথলে বারি
		ভাসালো কুললাজ রুধিতে নারি
সখি		ডাক শুনেছে সে কার মুরলীল।।

নাটকঃ ‘সিরাজদ্দৌলা’

বাণী

কেউ		ভোলে না কেউ ভোলে অতীত দিনের স্মৃতি
কেউ		দুঃখ ল’য়ে কাঁদে কেউ ভুলিতে গায় গীতি।।
কেউ		শীতল জলদে হেরে অশনির জ্বালা
কেউ		মুঞ্জরিয়া তোলে তার শুষ্ক কুঞ্জ–বীথি।।
হেরে		কমল–মৃণালে কেউ কাঁটা কেহ কমল।
কেউ		ফুল দলি’ চলে কেউ মালা গাঁথে নিতি।।
কেউ		জ্বালে না আর আলো তার চির–দুখের রাতে,
কেউ		দ্বার খুলি’ জাগে চায় নব চাঁদের তিথি।।