কেঁদো না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো
বাণী
কেঁদো না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো? ইষৎ হাসিতে তোর ত্রিভুবন আলো, কে বলেছে কালো।। কে দিয়েছে গালি তোরে, মন্দ সে মন্দ! যে বলেছে কালি তোরে, অনধ সে অন্ধ! মোর তারায় সে দেখে নাই তার নয়ন-তারা য়নাই আলো! তাই তারায় সে দেখে নাই।। রাখে লুকিয়ে মা তোর নয়ন-কমল (মাগো) কোটি আলোর সহস্র দল তোর রূপ দেখে মা লজ্জায় শিব অঙ্গে ছাই মাখালো।। তোর নীল -কপোলে কোটি তারা, চন্দনেরি ফোটার পারা ঝিকিমিকি করে গো — মা তোর দেহলতায় অতুল কোটি রবি -শশীর মুকুল ফোটে আবার ঝরে গো — তুমি হোমের শিখা বহ্নি- জ্যোতি, তুমি স্বাহা দীপ্তিমতী আঁধার ভুবন ভবনে মা কল্যাণ-দীপ জ্বালো তুমি কল্যাণ-দীপ জ্বালা।।
কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে
বাণী
কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে'। এই প্রভাতে তটিনী-কূলে কূলে।। ঐ ঘুমায়ে সকলি, জাগেনি কেউ জল নিতে এখনো আসেনি বউ, শুধু তব নদীতে জেগেছে ঢেউ — মেলেছ নয়ন কানন-ফুলে।। যে সুবাস ঝরে ও-এলোকেশে কমলে তা' দিলে নাহিতে এসে', তব তনু-মন দীঘিতে ভেসে' — মাতাইছে, মধুপ পথ ভুলে। ও শিশির-কপোল-স্বেদ বারি পড়িল ঝরি' নয়নে আমারি, জাগিয়া হেরি রূপ-মনোহারী — দাঁড়ায়ে উষসী তোরণ-মূলে।।
কলঙ্কে মোর সকল দেহ হলো কৃষ্ণময়
বাণী
কলঙ্কে মোর সকল দেহ হলো কৃষ্ণময় শ্যামের নামে হউক এবার আমার পরিচয়।। কলঙ্কিনীর তিলক এঁকে কলঙ্ক-চন্দন মেখে' আমি শোনাব গো ডেকে ডেকে কলঙ্কেরি জয়, কৃষ্ণ-কলঙ্কেরি জয়।। ভুবনে মোর ঠাঁই পেয়েছি ভবন হতে নেমে' হয়ে বৈরাগিনী আমার কৃষ্ণ-প্রিয়তমের প্রেমে। যারে কৃষ্ণ টানে বিপুল টানে সে কি কুলের বাধা মানে এই বিশ্ববৃজে ভাগ্যবতী সেই শ্রীমতী হয়।।
কালো মেয়ের পায়ের তলায়
বাণী
কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন। (তার) রূপ দেখে দেয় বুক পেতে শিব যার হাতে মরণ বাঁচন।। কালো মায়ের আঁধার কোলে শিশু রবি শশী দোলে (মায়ের) একটুখানি রূপের ঝলক স্নিগ্ধ বিরাট নীল–গগন।। পাগলী মেয়ে এলোকেশী নিশীথিনীর দুলিয়ে কেশ নেচে বেড়ায় দিনের চিতায় লীলার রে তার নাই কো শেষ। সিন্ধুতে মা’র বিন্দুখানিক ঠিকরে পড়ে রূপের মানিক বিশ্বে মায়ের রূপ ধরে না মা আমার তাই দিগ্–বসন।।