বাণী

কুহু কুহু কুহু কুহু কোয়েলিয়া
কুহরিল মহুয়া-বনে
চমকি জাগিনু নিশীথ শয়নে।।
শূন্য ভবনে মৃদুল সমীরে
প্রদীপের শিখা কাঁপে ধীরে ধীরে
চরণ-চিহ্ন রাখি দলিত কুসুমে
	চলিয়া গেছ তুমি দূর-বিজনে।।
বাহিরে ঝরে ফুল আমি ঝুরি ঘরে
বেণু-বনে সমীরণ হাহাকার করে
ব’লে যাও কেন গেলে এমন ক’রে
	কিছু নাহি ব’লে সহসা গোপনে।।

বাণী

কুল্ মখলুক গাহে হজরত বালাগাল উলা বেকামালিহি।
আঁধার ধরায় এলে আফতাব কাশাফাদ্দুজা বেজামালিহি।।
	রৌশনীতে আজো ধরা মশ্‌গুল
	তাই তো ওফাতে করি না কবুল,
হাসনাতে আজো উজালা জাহান সাল্লু আলায়হি ওয়া আলিহি।।
	নাস্তিরে করি’ নিতি নাজেহাল্
	জাগে তৌহীদ দ্বীন্-ই-কামাল,
খুশ্‌বুতে খুশি দুনিয়া বেহেশ্‌ত সাল্লু আলায়হি ওয়া আলিহি।।

বাণী

কেন		প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া
		কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া গো।
আমি		যত ভুলি ভুলি করি, তত আঁকড়িয়া ধরি
		শ্যামের সে রূপ ভোলা কি যায়, নিখিল শ্যামল যার শোভায়
		আকাশে সাগরে বনে কান্তারে লতায় পাতায় সে রূপ ভায়।
আমার		বঁধুর রূপের ছায়া বুকে ধরি’ আকাশ-আরশি নীল গো
বহে		ভুবন প্লাবিয়া কালারে ভাবিয়া কালো সাগর-সলিল গো। সখি গো —
		যদি ফুল হয়ে ফুটি তরু-শাখে, সে যে পল্লব হয়ে ঘিরে থাকে। সখি গো —
আমি		যেদিকে তাকাই হেরি ও-রূপ কেবল
সে যে		আমারি মাঝারে রহে করি’ নানা ছল
সে যে		বেণী হয়ে দোলে পিঠে চপল চতুর।
সে যে		আঁখির তারায় হাসে কপট নিঠুর।
		তারে কেমনে ভুলিব, সখি কেমনে ভুলিব।
থাকে		কবরী-বন্ধে কালো ডোর হয়ে কাল্‌ফণী কালো কেশে গো
থাকে		কপালের টিপে, চোখের কাজলে কপোলের তিলে মিশে’ গো!
আমার 	এ-কূল ও-কূল দু’কূল গেল।
		কূলে সই পড়িল কালি সেও কালো রূপে এলো।
রাখি		কি দিয়া মন বাঁধিয়া, বাঁধিয়া বাঁধিয়া বাঁধিয়া গো।।

বাণী

		কারো ভরসা করিসনে তুই (ও মন) এক আল্লার ভরসা কর।
		আল্লা যদি সহায় থাকেন (ও তোর) ভাবনা কিসের, কিসের ডর।।
		রোগে শোকে দুঃখে ঋণে নাই ভরসা আল্লা বিনে রে
তুই		মানুষের সহায় মাগিস (তাই) পাস্‌নে খোদার নেক্‌-নজর।।
		রাজার রাজা বাদশাহ্‌ যিনি গোলাম হ তুই সেই খোদার,
		বড় লোকের দুয়ারে তুই বৃথাই হাত পাতিস্‌নে আর।
		তোর দুখের বোঝা ভারি হ’লে ফেলে প্রিয়জনও যায় রে চ’লে
সেদিন	ডাক্‌লে খোদায় তাঁহার রহম (ওরে) ঝরবে রে তোর মাথার ’পর।।

বাণী

কী হবে জানিয়া কে তুমি বঁধু, কি তব পরিচয়?
আমি জানি তুমি মোর প্রিয়তম, সুন্দর প্রেমময়।।
	জগৎ তোমার পায়ে প’ড়ে আছে
	তুমি এসে কাঁদ’ এ দাসীর কাছে,
	হে বিজয়ী! আমার বিজয়ী!
আমি শুধু জানি, তুমি হার মানি’ আমারে করেছ জয়।।
কত যে বিপুল মহিমা তোমার জানতে দিয়ো না প্রিয়,
জনমে জনমে প্রিয়া ব’লে মোরে বক্ষে টানিয়া নিয়ো।
	প্রভাত-সূর্য ভাবি নারায়ণ
	বিশ্ব-প্রণাম করে গো যখন,
একমুঠো কমলিনী হেসে বলে, ‘আমি চিনি
ও-যে মোর প্রিয়, ও-তোর নারায়ণ নয়’।।

গীতি-চিত্র : ‘সে কি তুমি’

বাণী

কোথায় গেলি মাগো আমার খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রেখে
ক্লান্ত আমি খেলে খেলে এ সংসারে ও-মা ধুলা মেখে।।
	বলেছিলি সন্ধ্যা হ'লে
	ধুলা মুছে নিবি কোলে
ও-মা  ছেলেরে তুই গেলি ছ'লে পাইনে সাড়া ডেকে' ডেকে'।।
এ কি খেলার পুতুল মা গো দিয়েছিলি মন ভুলাতে
আধেক তাহার হারিয়ে গেছে আধেক ভেঙে আছে হাতে।
	এ পুতুলও লাগছে মা ভার
	তোর পুতুল তুই নে গো এবার
এখন সন্ধ্যা হলো ও-মা সন্ধ্যা হলো নামলো আঁধার
	ঘুম পাড়া মা আঁচল ঢেকে।।