কাঁদবো না আর শচীদুলাল তোমায় ডেকে ডেকে
বাণী
কাঁদবো না আর শচীদুলাল তোমায় ডেকে ডেকে মোরা কাঁদবো না — (প্রিয়) তুমি গেছ চলে তোমার প্রেম গিয়েছ রেখে তাই কাঁদব না॥ ত্যাগ যেখানে প্রেম যেখানে তোমার মধু-রূপ সেখানে ওগো জগন্নাথের দেউল তোমায় রাখবে কোথায় ঢেকে॥ হল বৈরাগিনী ধরা তোমার চরণ ধূলি মেখে তোমার মন্ত্র নিল অসীম আকাশ চাঁদের তিলক এঁকে। সুন্দর যা কিছু হেরি ওগো রূপ সে শচী-নন্দনেরি তোমার ডাক শুনি যে আজো হৃদয়পুরীর সাগর থেকে। তোমার ডাক শুনি যে ওহে প্রিয় ডাক শুনি যে আজো হৃদয়পুরীর সাগর থেকে॥
কিশোর গোপ-বেশ মুরলিধারী
বাণী
কিশোর গোপ-বেশ মুরলিধারী শ্রীকৃষ্ণ গোবিন্দ। দ্বিভুজ শ্যাম সুন্দর মূরতি অপরূপ অনিন্দ্য।। পরমাত্মারূপী পরম মনোহর গোলকবিহারী চিন্ময় নটবর, ময়ূর পাখাধারী চিকুর চাঁচর মণি-মঞ্জীর শোভিত শ্রীচরণারবিন্দ।। গলে দোলে নব বিকশিত কদম ফুলের মালা খেলে ঘিরে যাঁরে প্রেমময়ী গোপবালা, শোভিত স্বর্ণবর্ণ পীতবাসে ওঙ্কার বিজড়িত শ্রীরাধার পাশে, পদ্মপলাশ আঁখি মৃদু-হাসে — যেরূপ ধেয়ায় মুনি ঋষি দেববৃন্দ।।
কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি
বাণী
কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি কৃষ্ণজি। যে কৃষ্ণ নাম জপেন ইন্দ্র-ব্রহ্মা-মহেশ্বর যে নাম করে ধ্যান যোগী-ঋষি-সুরাসুর-নর, এই অসীম বিশ্ব সীমা যাঁহার পায় নাকো খুঁজি - আমি জীবনে মরণে যেন সেই নামই ভজি।। যাঁর অনন্ত লীলা যাঁহার অনন্ত প্রকাশ মধু কৈটভ মর কংসে যুগে যুগে করেন নাশ, ন্যায় পাণ্ডবের হলেন সখা সারথি সাজি’ এই পাপ কুরুক্ষেত্রে কাঁদি তাঁহারেই খুঁজি’।। যাঁর মুখে গীতা হাতে বাঁশি নূপুর রাঙা পায় কভু শ্রীকৃষ্ণ গোকুলে কভু গোরা নদীয়ায়, ফেরে প্রেম-যমুনার তীরে চির-রাধিকায় খুঁজি’ মোর মন গোপিনী উন্মাদিনী সেই নামে মজি’।।
কোন রস-যমুনার কূলে বেণু-কুঞ্জে
বাণী
কোন রস-যমুনার কূলে বেণু-কুঞ্জে হে কিশোর বেণুকা বাজাও। মোর অনুরাগ যায় সেথা, তনু যেতে নারে, তুমি সেই ব্রজের পথ দেখাও।। মোর অন্ধ আঁখি কাঁদে চাঁদের তৃষায় তব পানে হাত তুলে রাত কেটে যায়, বঁধু, এই ভিখারিনী সেই মাধুকরী চায় – মধুবনে, গোপীগণে যে মধু দাও।। প্রেমহীন-নীরস জীবন ল’য়ে পথে পথে ফিরি বৈরাগিনী হয়ে, বুঝি আমি চাই তব প্রেম নাহি পাই – কৃপা কর প্রেমময়, তুমি মোরে চাও।।
কেন আসিলে ভালোবাসিলে
বাণী
কেন আসিলে ভালোবাসিলে দিলে না ধরা জীবনে যদি। বিশাল চোখে মিশায়ে মরু চাহিলে কেন গো বে–দরদী।। ছিনু অচেতন আপনা নিয়ে কেন জাগালে আঘাত দিয়ে তব আঁখিজল সে কি শুধু ছল একি মরু হায় নহে জলধি।। ওগো কত জনমের কত সে কাঁদন করে হাহাকার বুকেরি তলায় ওগো কত নিরাশায় কত অভিমান ফেনায়ে ওঠে গভীর ব্যথায়। মিলন হবে কোথায় সে কবে কাঁদিছে সাগর স্মরিয়া নদী।।