কোথায় তুই খুঁজিস ভগবান্
বাণী
কোথায় তুই খুঁজিস ভগবান্, সে যে রে তোরই মাঝে রয়, চেয়ে দেখ সে তোরই মাঝে রয়। সাজিয়া যোগী ও দরবেশ খুঁজিস্ যায় পাহাড় জঙ্গলময়।। আঁখি খোল্ ইচ্ছা-অন্ধের দল নিজেরে দেখ্ রে আয়নাতে, দেখিবি তোরই এই দেহে নিরাকার তাঁহার পরিচয়।। ভাবিস্ তুই ক্ষুদ্র কলেবর, ইহাতেই অসীম নীলাম্বর, এ দেহের আধারে গোপন রহে সে বিশ্ব-চরাচর। প্রাণে তোর প্রাণের ঠাকুর বেহেশ্তে স্বর্গে কোথাও নয়।। এই তোর মন্দির-মসজিদ এই তোর কাশী-বৃন্দাবন, আপনার পানে ফিরে চল কোথা তুই তীর্থে যাবি, মন! এই তোর মক্কা-মদিনা, জগন্নাথ-ক্ষেত্র এই হৃদয়।।
কাঁদিছে তিমির-কুন্তলা সাঁঝ
বাণী
কাঁদিছে তিমির-কুন্তলা সাঁঝ আমার হৃদয় গগনে। এসো প্রিয়া এসো বঁধূ-বেশে এই বিদায়-গোধূলি-লগনে।। দিনের চিতার রক্ত-আলোকে শুভ-দৃষ্টি গো হবে চোখে চোখে, আমার মরণ-উৎসব-ক্ষণে শঙ্খ বাজুক সঘনে।। চাঁদের প্রদীপ জ্বালাইয়া হের খুঁজিছে মোদেরে তারাদল, সজল-বসনা বাদল-পরীর নয়ন করিছে ছল ছল।। মরণে তোমারে পাইব বলিয়া জীবনে করেছি আরাধনা প্রিয়া, এসো মায়ালোক-বিহারিণী মোর কুহেলি-আঁধার-স্বপনে।।
কে বলে মোর মাকে কালো
বাণী
কে বলে মোর মাকে কালো, মা যে আমার জ্যোতির্মতী। কোটি চন্দ্র সূর্য তারা নিত্য করে যার আরতি।। কালো রূপের মায়া দিয়ে মহামায়া রয় লুকিয়ে, মায়ের শুভ্ররূপ দেখেছে শুভ্র শুচি যার ভকতি।। যোগীন্দ্র যাঁর চরণ-তলে ধ্যান করে রে যাঁর মহিমা, দু’টি নয়ন-প্রদীপ জ্বেলে খুঁজি সেই অসীমার সীমা। সাজিয়ে কালী গৌরী মাকে পূজা করি তমসাকে, মায়ের শুভ্ররূপ দেখেছে শুভ্র শুচি যার ভকতি।।