কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে
বাণী
কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে'। এই প্রভাতে তটিনী-কূলে কূলে।। ঐ ঘুমায়ে সকলি, জাগেনি কেউ জল নিতে এখনো আসেনি বউ, শুধু তব নদীতে জেগেছে ঢেউ — মেলেছ নয়ন কানন-ফুলে।। যে সুবাস ঝরে ও-এলোকেশে কমলে তা' দিলে নাহিতে এসে', তব তনু-মন দীঘিতে ভেসে' — মাতাইছে, মধুপ পথ ভুলে। ও শিশির-কপোল-স্বেদ বারি পড়িল ঝরি' নয়নে আমারি, জাগিয়া হেরি রূপ-মনোহারী — দাঁড়ায়ে উষসী তোরণ-মূলে।।
কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে
বাণী
কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে? মোর বুকে মুখ রাখি ঝড়ের পাখি সম কাঁদে ওকে? গভীর নিশীথের কন্ঠ জড়ায়ে শ্রান্ত কেশভার গগনে ছড়ায়ে, হারানো প্রিয়া মোর এলো কি লুকায়ে আমার একা ঘরে ম্লান আলোকে॥ গঙ্গায় তারি চিতা নিভেছে কবে, মোর বুকে সেই চিতা আজো জ্বলে নীরবে; স্মৃতির চিতা তার নিভিবে না বুঝি আর কোন সে জনমে কোন সে লোকে॥
কাঁদিতে এসেছি আপনার ল’য়ে
বাণী
কাঁদিতে এসেছি আপনার ল’য়ে কাঁদাতে আসিনি হে প্রিয়, তোমারে। এ মম আঁখি-জল১ আমরি নয়নের২, ঝরিবে না এ জল তোমার দুয়ারে।। ভালো যদি বাসি একাকী বাসিব বিরহ-পাথারে একাকী ভাসিব, কভু যদি ভুলে আসি তব কূলে, চমকি’ চলিয়া যাব দূর পারে।। কাঁটার বনে মোর ক্ষণেকের তরে ফুটেছে রাঙা ফুল শুধু লীলা-ভরে, মালা হয়ে কবে৩ দুলিবে গলে কা’র। জাগিব একাকী ল’য়ে স্মৃতি কাঁটার কেহ জানিবে না, শুকাল কে কোথা কা’র ফুলে কা’রে সাজালে দেবতা, নিশীথ-অশ্রু মোর ঝরিবে বিরলে তব সুখ-দিনে হসির মাঝারে।।
১. মম আঁখি-বারি, ২. থাকুক আমারি, ৩. গলে