কালো জল ঢালিতে সই
বাণী
কালো জল ঢালিতে সই চিকন কালারে পড়ে মনে। কালো মেঘ দেখে শাওনে সই পড়্ল মনে কালো বরণে॥ কালো জলে দীঘির বুকে কালায় দেখি নীল-শালুকে (আমি) চম্কে উঠি, ডাকে যখন কালো কোকিল বনে॥ কল্মিলতার চিকন পাতায় দেখি আমার শ্যামে লো পিয়া ভেবে দাঁড়াই গিয়ে পিয়াল গাছের বামে লো। উড়ে গেলে দোয়েল পাখি ভাবি কালার কালো আঁখি আমি নীল শাড়ি পরিতে নারি কালারি কারণে লো কালারি কারণে॥
কত নিদ্রা যাও রে কন্যা
বাণী
কত নিদ্রা যাও রে কন্যা জাগো একটু খানি যাবার বেলায় শুনিয়া যাই তোমার মুখের বাণী।। নিশীথিনীর ঘুম ভেঙে যায় চন্দ্র যখন হেসে তাকায় গো চাতাকিনী ঘুমায় কি গো দেখলে মেঘের পানি।। ফুলের কুঁড়ি চোখ মেলে চায় যেই না ভ্রমর বোলে (রে কন্যা) বসন্ত আসিলে রে কন্যা বনের লতা দোলে (রে কন্যা) যারা আছে প্রাণে প্রাণে জাগে তারা ঘুম না জানে আমি যখন রইব না গো (তখন) জাগবে তুমি জানি।।
কেমনে রাখি আঁখি–বারি চাপিয়া
বাণী
কেমনে রাখি আঁখি–বারি চাপিয়া প্রাতে কোকিল কাঁদে নিশীথে পাপিয়া।। এ ভরা ভাদরে আমার মরা নদী উথলি’ উথলি’ উঠিছে নিরবধি আমার এ ভাঙা ঘটে, আমার এ হৃদিতটে চাপিতে গেলে ওঠে দু’কূল ছাপিয়া।। নিষেধ নাহি মানে আমার এ পোড়া আঁখি জল লুকাবো কত কাজল মাখি’ মাখি’ ছলনা ক’রে হাসি, অমনি জলে ভাসি ছলিতে গিয়া আসি ভয়েতে কাঁপিয়া।।
কারো ভরসা করিসনে তুই
বাণী
কারো ভরসা করিসনে তুই (ও মন) এক আল্লার ভরসা কর। আল্লা যদি সহায় থাকেন (ও তোর) ভাবনা কিসের, কিসের ডর।। রোগে শোকে দুঃখে ঋণে নাই ভরসা আল্লা বিনে রে তুই মানুষের সহায় মাগিস (তাই) পাস্নে খোদার নেক্-নজর।। রাজার রাজা বাদশাহ্ যিনি গোলাম হ তুই সেই খোদার, বড় লোকের দুয়ারে তুই বৃথাই হাত পাতিস্নে আর। তোর দুখের বোঝা ভারি হ’লে ফেলে প্রিয়জনও যায় রে চ’লে সেদিন ডাক্লে খোদায় তাঁহার রহম (ওরে) ঝরবে রে তোর মাথার ’পর।।
কেন তুমি কাঁদাও মোরে হে মদিনাওয়ালা
বাণী
কেন তুমি কাঁদাও মোরে, হে মদিনাওয়ালা! অবরোধবাসিনী আমি কুলের কুলবালা।। ঈদের চাঁদের ইশারাতে কেন ডাক নিঝুম রাতে, হাসিন ইউসুফ! জুলেখারে কত দিবে জ্বালা।। একি লিপি পাঠালে নাথ কোরানের আয়াতে — পড়তে গিয়ে অশ্রু-বাদল নামে আঁখি-পাতে। বাজিয়ে শাহাদতের বাঁশি কেন ডাক নিত্য আসি'; হাজার বছর আগে তোমায় দিয়েছি তো মালা।।