কবি সবার কথা কইলে এবার
বাণী
কবি, সবার কথা কইলে, এবার নিজের কথা কহ।১ (কেন) নিখিল ভুবন অভিমানের আগুন দিয়ে দহ।। কে তোমারে হান্ল হেলা, কবি! (হায়!) সুরে সুরে আঁক কি গো সেই বেদনার ছবি? কা’র বিরহ রক্ত ঝরায় বক্ষে অহরহ।। কোন্ ছন্দময়ীর ছন্দ দোলে আমার গানে গানে, তোমার সুরের স্রোত ব’য়ে যায় কাহার প্রেমের টানে গো — কাহার চরণ পানে? কাহার গলায় ঠাঁই পেল না ব’লে (তব) কথার মালা ব্যথার মত প্রতি হিয়ায় দোলে, (তোমার) হাসিতে যে বাঁশি বাজে, সে ত’ তুমি নহ।।
১. সবার কথা কইলে কবি নিজের কথা কহ।
কোন্ ফুলেরি মালা দিই তোমার গলে
বাণী
পুরুষ : কোন্ ফুলেরি মালা দিই তোমার গলে লো প্রিয়া বুলবুল গাহিয়া উঠে তব ফুলেল পরশ নিয়া॥ স্ত্রী : হাতে দিও হেনার গুছি কেশে শিরিন ফুল। কর্ণে দিও টগর কুঁড়ি অপ্রাজিতার দুল। বুন্দকলির মালা দিও নাই পেলে বকুল ফুলের সাথে হৃদয় দিতে হয় না যেন ভুল॥ পুরুষ : কোন ভূষণে রানী ও রূপের করি আরতি হয় সোনার বরণ মলিন হেরি তোমার রূপের জ্যোতি। স্ত্রী : তোমার বাহুর বাঁধন প্রিয় সেই তো গলার হার হাতে দিও মিলন রাখি খুলবে না যা আর। কানে দিও কানে কানে কথার দু’টি দুল নিত্য নূতন ভূষণ দিও প্রেমের কামনার॥ পুরুষ : কোন নামেতে ডাকি সাধ না মেটে কোনো নামে তব নাম-গানে সব কবি হার মানে ধরাধামে। স্ত্রী : সুখের দিনে সখি ব’লো সেই তো মধুর নাম দুখের দিনে বন্ধু ব’লে ডেকো অবিরাম। নিরালাতে রানী বলো শ্রবণ অভিরাম বুকে চেপে প্রিয়া ব’লো সেই তো আমার নাম॥
নাটিকাঃ ‘বিয়ে বাড়ি’
কে এলি মা টুকটুকে লাল
বাণী
কে এলি মা টুকটুকে লাল রক্ত-চেলি প’রে। সারা গায়ে আবির মেখে ভুবন আলো ক’রে মা ত্রিভুবন রূপে ভ’রে।। পায়ে লাল জবার ফুল কানে ঝুমকো জবার দুল্, লাল শাপ্লার মালা প’রে দুলিয়ে এলোচুল — শুভ্র-বরণ শিবকে ফাগের রঙে রঙীন ক’রে।। ওমা! যোগমায়া, তোর রঙে রসের ব্রজে এলো হোরি, (তোর) নাচের তালে আনন্দ কুঙ্কুম প’ড়ে ঝরি’। তোর চরণ-অরুণ রাগে মা প্রভাত-রবি রাঙে মণিপুর-কমলে গায়ত্রী জাগে। (সেই) অনুরাগের রঙীন ধারা পড়ুক বুকে ঝ’রে।।
কে বলে মোর মাকে কালো
বাণী
কে বলে মোর মাকে কালো, মা যে আমার জ্যোতির্মতী। কোটি চন্দ্র সূর্য তারা নিত্য করে যার আরতি।। কালো রূপের মায়া দিয়ে মহামায়া রয় লুকিয়ে, মায়ের শুভ্ররূপ দেখেছে শুভ্র শুচি যার ভকতি।। যোগীন্দ্র যাঁর চরণ-তলে ধ্যান করে রে যাঁর মহিমা, দু’টি নয়ন-প্রদীপ জ্বেলে খুঁজি সেই অসীমার সীমা। সাজিয়ে কালী গৌরী মাকে পূজা করি তমসাকে, মায়ের শুভ্ররূপ দেখেছে শুভ্র শুচি যার ভকতি।।
কত কথা ছিল বলিবার
বাণী
কত কথা ছিল বলিবার, বলা হ’ল না। বুকে পাষাণ সম রহিল তারি বেদনা।। মনে রহিল মনের আশা মিটিল না প্রাণের পিপাসা, বুকে শুকালো বুকের ভাষা — মুখে এলো না।। এত চোখের জল, এত গান এত আদর সোহাগ অভিমান, কখন সে হ’ল অবসান — বোঝা গেল না।। ঝরিল কুসুম যদি হায়! কেন স্মৃতির কাঁটাও নাহি যায়, বুঝিল না কেহ কাহারো মন বিধির ছলনা।।