বাণী

কুসুম-সুকুমার শ্যামল তনু হে ফুল-দেবতা লহ প্রণাম।
বিটপী লতায় চিকন পাতায় ছিটাও হাসি কিশোর শ্যাম।।
পূজার থালা এ অর্ঘ্য-ডালা এনেছি দিতে তোমার পায়
দেহ শুভ বর কুসুম-সুন্দর হোক নিখিল নয়নাভিরাম
এ বিশ্ব বিপুল কুসুম-দেউল হোক তোমার ফুল কিশোর
মুরলী করে এসো গোলক-বিহারী হোক ভূ-লোক আনন্দ-ধাম।।

নাটকঃ‘সাবিত্রী’

বাণী

কেন বারে বারে আমি এসে’ ফিরে যাই তাহারি দুয়ারে।
পাষাণ ভাঙ্গিয়া বহিবে গো কবে নির্ঝর শত ধারে।।
পাষাণে গঠিত দেবতা বলিয়া গলে না হিয়া হায়,
বৃথা বেদীতলে কুসুম শুকায় দেউল আঁধারে।।

নাটক : ‘আলেয়া’

বাণী

কানন গিরি সিন্ধু–পার ফির্‌নু পথিক দেশ–বিদেশ।
ভ্রমিনু কতই রূপে এই সৃজন ভুবন অশেষ।।
তীর্থ–পথিক এই পথের ফিরিয়া এলো না কেউ,
আজ এ পথে যাত্রা যার, কা’ল নাহি তার চিহ্ন লেশ।।
রাত্রি দিবার রঙমহল চিত্রিত এ চন্দ্রতাপ
দু’দিনের এ পান্থবাস এই ভুবন – এ সুখ–আবেশ।।
ভোগ–বিলাসী ‘জমশেদের জল্‌সা ছিল এই সে দেশ,
আজ শ্মশান, ছিল যেথায় “বাহ্‌রামের” আরাম আয়েশ।।

বাণী

কানে আজো বাজে আমার তোমার গানের রেশ
নয়নে মোর জাগে তোমার নয়নের আবেশ।।
	তোমার বাণী অনাহত
	দুলে কানে দুলের মত
ও গান যদি কুসুম হত সাজাতাম মোর কেশ।।
নদীর ধারে যেতে নারি শুনে তোমার সুর
মনে আনে তোমার গান করুণ বিধুর।
	শুনি বুনো পাখির গীতি
	জাগে তোমার গানের স্মৃতি
পরান আমার যায় যে ভেসে তোমার সুরের দেশ।।

বাণী

কেন মরিতে আসিলাম যমুনায়, ললিতা কেন বিপরীত হেরিলাম।
কৃষ্ণ-যমুনা-জলে কারে ল’য়ে কুতুহলে জল-খেলা করে ঘনশ্যাম।।
কালো মেঘের যেন খেলে বিজলি
সোনার-প্রতিমার প্রতিবিম্ব কালো জলে
কালো মেঘে যেন খেলে বিজলি।
হিরন্ময়ী জ্যোতির্ময়ী সতিনীর রূপ আমি যত দেখি গো তত মজি সখি গো!
অতি জ্যোতি গর্বিতা যেন পতি সোহাগিনী সতীসম কে এ সতিনী, ললিতে,
মোর শ্যাম অঙ্গে অপরূপ ভঙ্গে আমারই সমুখে করে খেলা, মোরে ছলিতে।
ও কি কায়া না ছায়া!
ও কি কৃষ্ণ রূপের চঞ্চল জল-তরঙ্গ মায়া?
সখি মান ভাঙাতে মোর এসেছিল গোপনে শ্যাম আজি প্রভাতে (সখি),
শ্যাম-তনুমুকুরে হেরিলাম বিরাজে গৌর-বর্ণা নারী অপরূপ শোভাতে।
এলো অভিমান মনে, তাই
মনে হলে যমুনায় ডুবিয়া ললিতা শান্তি যদি পাই।
এখানেও দেখি সেই গৌরী কিশোরী আছে শ্যামে জড়ায়ে।
(ও কি কায়া না মায়া ও কি কৃষ্ণেরই রঙ্গ না আমারই ছায়া কায়া না মায়া।)
কোন্ দেশে যাব সখি কোন্ খানে পাব শ্যামে একাকী।
আন-নারীরে ছেড়ে কেবল রাধার হয়ে দেবে না দেখা কি (সখী গো)।।

গীতিচিত্র : ‘অভিমানিনী’

বাণী

কত যুগ পাই নাই তোমার দেখা
থাকিতে পারি না আর একা একা।।
	জানি না কোথায় থাকো
	সেথায় আমারে ডাকো
মুছে এলো বুকে বঁধু স্মৃতির রেখা।।
তুমি জলধি, তোমাতে মিশে শতেক নদী
আম রুদ্ধ-সায়র কাঁদি নিরবধি।
	দেখা কি পাব না হায়
	আশা যে ফুরায়ে যায়
শ্রাবণে এলো গো মেঘ, কাঁদিছে কেকা।।