কালা এত ভাল কি হে কদম্ব গাছের তলা
বাণী
কালা এত ভাল কি হে কদম্ব গাছের তলা। আমি দেখ্ছি কত দেখ্ব কত তোমার ছলাকলা; আমি নিতুই নিতুই সবই কত, (কালা) তিন সতিনের জ্বালা॥ আমি জল নিতে যাই যমুনাতে তুমি বাজাও বাঁশি হে, মনের ভুলে কলস ফেলে তোমার কাছে আসি হে, শ্যাম দিন-দুপুরে গোকুলপুরে (আমার) দায় হল পথ চলা॥ আমার চারদিকেতে ননদ-সতীন দু’কূল রাখা ভার, আমি সইব কত আর বাঁকা শ্যাম। ওরা বুঝছে সবই নিত্যি-নতুন, (নিতি) মিথ্যে কথা বলা॥
কে হেলে দুলে চলে এলোচুলে
বাণী
কে হেলে দুলে চলে এলোচুলে হেসে নদীকুলে এলো হেলে দুলে! নূপুর রিনিকি ঝিনি বাজে রে পথ-মাঝে রে, বাজে রে।। দূরে মন উদাসি বাজে বাঁশের বাঁশি, বকুল-শাখে পাপিয়া ডাকে — হেরিয়া বুঝি এই বন-বালিকায় রঙিন সাজে রে, বাজে রে।। এ বুঝি নদীর কেউ তাই অধীর হলো জলে ঢেউ। চন্দন-মাখা যেন চাঁদের পুতলি, যত চলে তত রূপ ওঠে উথলি মেঘে লুকালো পরী লাজে রে, বাজে রে পথ-মাঝে রে, বাজে রে।।
কী দশা হয়েছে মোদের দেখ্ মা উমা আনন্দিনী
বাণী
কী দশা হয়েছে মোদের দেখ্ মা উমা আনন্দিনী। তোর বাপ হয়েছে পাষাণ গিরি, মা হয়েছে পাগলিনী।। (মা) এ দেশে আর ফুল ফোটে না গঙ্গাতে আর ঢেউ ওঠে না তোর হাসি-মুখ দেখলে যে মা পোহায় না মোর নিশীথিনী।। আর যাবি না ছেড়ে মোদের বল্ মা আমায় কন্ঠ ধরি সুর যেন তার না থামে আর বাজালি তুই যে বাঁশরি।। (মা) না পেলে তুই শিবের দেখা রইতে যদি নারিস্ একা, আমি শিবকে বেঁধে রাখব মা গো হয়ে শিব-পূজারিণী।।
কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে
বাণী
কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে? মোর বুকে মুখ রাখি ঝড়ের পাখি সম কাঁদে ওকে? গভীর নিশীথের কন্ঠ জড়ায়ে শ্রান্ত কেশভার গগনে ছড়ায়ে, হারানো প্রিয়া মোর এলো কি লুকায়ে আমার একা ঘরে ম্লান আলোকে॥ গঙ্গায় তারি চিতা নিভেছে কবে, মোর বুকে সেই চিতা আজো জ্বলে নীরবে; স্মৃতির চিতা তার নিভিবে না বুঝি আর কোন সে জনমে কোন সে লোকে॥