বাণী

ক্ষ্যাপা হাওয়াতে মোর আঁচল উড়ে যায়।
খুলে পড়ে গো বাজুবন্দ ধরিতে আঁচল
কোন ঘূর্ণি বাতাস এলো ছন্দ-পাগল
লাগে নাচের ছোঁয়া দেহের কাঁচ মহলায়
হয়ে পায়েলা উতলা সাধে ধরিয়া পায়।।
খুলিয়া পড়ে খোঁপায়, কবরীর ফুলহার
হাওয়ার এই রূপে গো এলো কি বঁধু আমার
এমনি দুরন্ত আদর সোহাগ তার
একি পুলক-শিহরেণে পরান মূরছায়।।

বাণী

ক্ষমা সুন্দর আল্লা, মোদের ভয় দেখিও না আর।
দোজখের ভয়ে হতে পারিনা হে প্রিয়তম, বেড়াপার।।
		কেন দুনিয়ায় পাঠাইলে
		কেন গুনাহের বোঝা দিলে,
তুমি তো জানিতে দুনিয়ায় পুড়ে মরিব যে তিলে তিলে।
		হেথা পদে পদে করি অপরাধ
		তোমারে পাওয়ার তবু জাগে সাধ,
অপরাধ শুধু দেখ কি গো তুমি, রোদন দেখনা তার।।
হে পরম প্রিয়, তোমারে খুঁজিতে গিয়া মোরা কত ভুল পথে চলি
তুমি ভেবে খেলি সুন্দর মায়া নিয়া পরে বিষের দাহনে জ্বলি।।
তুমি জান স্বামী তব পথে কত কণ্টক, কত বাধা,
যে পথে যাই সেই পথে লাগে দুনিয়ার ধুলো-কাদা।
		জন্ম-অন্ধ জানি না কাহারে
		তুমি ভেবে হাত জড়াইয়া ধরে,
দু’চোখে নূরের তৃষ্ণা ল’য়ে কি পাব দোজখের নীর।।

বাণী

ক্ষীণ তনু যৌবন ভার বইতে নারি
ধীরে চল গোরী ধীরে ধীরে
টলে চিকন কাঁখে ভরা গাগরি
	ভরে তায় ঘাঘরি।
দেহ টুটে না যায় যেন নাগরি
	নীল চোলি ভিজিয়া না যায় নীরে।।
কঠিন ধরা হানে বেদনা কোমল পায়ে
মুছায়ে দিব ব্যথা ব’স এ বকুল ছায়ে
‘না’বলি মুচকিয়া হেসো না ফিরে ফিরে।।
দাঁড়ায়ে কত পথিক বহিতে সই ভার তব
যদি চাহ গো সখি ভার তব আমি লব
দাও আমারে ঠাঁই, তব ঐ তনুর তীরে।।