মহাকালের কোলে এসে
বাণী
মহাকালের কোলে এসে গৌরী হ’ল মহাকালী, শ্মশান–চিতার ভস্ম মেখে ম্লান হ’ল মার রূপের ডালি।। তবু মায়ের রূপ কি হারায় সে যেছড়িয়ে আছে চন্দ্র তারায়, মায়ের রূপের আরতি হয় নিত্য সূর্য–প্রদীপ জ্বালি’ ।। উমা হ’ল ভৈরবী হায় বরণ ক’রে ভৈরবেরে, হেরি’ শিবের শিরে জাহ্নবী রে শ্মশানে মশানে ফেরে। অন্ন দিয়ে ত্রি–জগতে অন্নদা মোর বেড়ায় পথে, ভিক্ষু শিবের অনুরাগে ভিক্ষা মাগে রাজদুলালী।।
মুক্তি আমায় দিলে হে নাথ মোর যে প্রিয়
বাণী
মুক্তি আমায় দিলে হে নাথ মোর যে প্রিয় তারে নিয়ে। আমি কিছু রাখতে নারি দেখ্লে বারে বারে দিয়ে॥ যত্ন আদর পায়নি হেথা স’য়ে গেল শত ব্যথা। তোমার দান সইলো না মোর গেল বুঝি তাই হারিয়ে॥ তোমার প্রিয় এসেছিল অতীত হয়ে আমার দ্বারে, ফিরে গেল অভিমানে বুঝি আমার অনাদরে। যে ছিল নাথ মোর প্রাণাধিক সে যে তোমার বুকের মানিক (প্রভু) এবার সে আর হারাবে না বাঁচ্ল তোমার কাছে গিয়ে॥
মুখে তোমার মধুর হাসি হাতে কুটিল ফাঁসি
বাণী
মুখে তোমার মধুর হাসি হাতে কুটিল ফাঁসি। সুন্দর চোর, চিনি তোমায় তবু ভালোবাসি।। শত ব্রজে কেঁদে মরে শত রাধা তোমার তরে, কত গোকুল ডুবলো অকূল আঁখির নীরে ভাসি'।। কত নারীর মন গেঁথে, নাথ, পরলে বন-মালা, যমুনাতে ডুবালে শ্যাম কত কুলের বালা। দেখাও আসল হাত দু'খানি- করাল গদার চক্রপাণি, তব এ দু'টি হাত ছলনা, নাথ, বাজাও যে হাতে বাঁশি।।
মরুর ধুলি উঠলো রেঙে রঙিন গোলাপ রাগে
বাণী
মরুর ধুলি উঠলো রেঙে রঙিন গোলাপ রাগে বুলবুলিরা উঠলো গেয়ে মক্কার গুলবাগে।। খোদার প্রেমের কোন দিওয়ানা দ্বারে দ্বারে দেয় রে হানা, নবীন আশার আলোক পেয়ে, ঘুমন্ত সব জাগে।। এ কোন তরণ প্রেমিক এলো কা'বার অঙ্গনে সবুজ পাতার নিশান দোলায় শুকনো খেজুর বনে। এলো নব দীনের নকীব চির-চাওয়া খোদার হাবীব নিখিল পাপী-তাপী যাঁহার পায়ের পরশ মাগে।।