মাগো আমি তান্ত্রিক নই
বাণী
মাগো আমি তান্ত্রিক নই তন্ত্র মন্ত্র জানি না মা। আমার মন্ত্র যোগ-সাধনা ডাকি শুধু শ্যামা শ্যামা।। যাই না আমি শ্মশান মশান দিই না পায়ে জীব বলিদান, খুঁজতে তোকে খুজি না মা অমাবস্যা ঘোর ত্রিযামা।। ঝিল্লী যেমন নিশীথ রাতে একটানা সুর গায় অবিরাম তেমনি করে নিত্য আমি জপি শ্যামা তোমারি নাম। শিশু যেমন অনায়াসে জননীরে ভালোবাসে, তেমনি সহজ সাধনা মোর তাতেই পাব তোর দেখা মা।।
মাগো তোরি পায়ের নূপুর বাজে
বাণী
মাগো তোরি পায়ের নূপুর বাজে এই বিশ্বের সকল ধ্বনির মাঝে।। জীবের ভাষায় পাখির মধুর গানে, সাগর রোলে নদীর কলতানে সমীরণের মরমরে শুনি সকাল সাঁঝে।। আমার প্রতি নিঃশ্বাসে মা রক্তধরার মাঝে প্রাণের অনুরণনে তোর চরণধ্বনি বাজে। গভীর প্রণব ওঙ্কারে তোর কালি (মা গো মহাকালী) সেই নৃত্যলীলার স্তবগাথা গান চরণতলে নটরাজে।।
মোরা ছিনু একেলা হইনু দু’জন
বাণী
মোরা ছিনু একেলা, হইনু দু’জন। সুন্দরতর হ’ল নিখিল ভুবন।। আজি কপোত-কপোতী শ্রবণে কুহরে, বীণা বেণু বাজে বন-মর্মরে। নির্ঝর-ধারে সুধা চোখে মুখে ঝরে, নূতন জগৎ মোরা করেছি সৃজন।। মরিতে চাহি না, পেয়ে জীবন-অমিয়া! আসিব এ কুটিরে আবার জনমিয়া। আরো চাই আরো চাই অশেষ জীবন।। আজি প্রদীপ-বন্দিনী আলোক-কন্যা, লক্ষ্মীর শ্রী লয়ে আসিল অরণ্যা, মঙ্গল-ঘটে এলো নদীজল-বন্যা, পার্বতী পরিয়াছে গৌরী-ভূষণ।।
মাতৃ নামের হোমের শিখা
বাণী
মাতৃ নামের হোমের শিখা আমার বুকে কে জ্বালালো সেই শিখা আজ হরবে যেন মা ত্রিজগতের আঁধার কালো।। আজ মনে হয় দিবস যামী অমৃতেরই পুত্র আমি মা আনন্দময় হল ত্রিলোক যেদিকে চাই কেবল আলো।। সূর্য যেমন জানে না, তার আলোয় কত জগৎ জাগে, বিকার-বিহীন তেমনি আমি, জ্বলি নামের অনুরাগে। হয়তো আমার আলো লেগে নতুন সৃষ্টি উঠবে জেগে, তাই কি বিপুল আকর্ষণে সবারে চাই বাস্তে ভালো।।