মা আমি আর কি ভুলি
বাণী
মা আমি আর কি ভুলি মাগো আমি আর কি ভুলি। চরণ যখন ধরেছি তোর মাগো আমি আর কি ভুলি। আমায় বহু জনম ঘুরিয়েছিস্ মা পরিয়ে চোখে মায়ার ঠুলি॥ তোর পা ছেড়ে যে মোক্ষ যাচে, তুই বর্ নিয়ে যা তাহার কাছে ওমা আমি যেন যুগে যুগে পাই মা প্রসাদ চরণ-ধূলি॥ মোরে শিশু পেয়ে খেল্না দিয়ে, রেখেছিলি মা ভুলিয়ে এখন খেল্না ফেলে কোলে নিতে মাকে ডাকি দু’হাত তুলি। তোর ঐশ্বর্য যা কিছু মা দে ভক্তগণে বিলিয়ে উমা, তোর ভিখারি এই সন্তানে দিস্ মাতৃনামের ভিক্ষাঝুলি॥
ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল
বাণী
ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল। ভূষণহীনা বনদেবী কার হ'রি তুই দুল।। হার হ'বি কার কবরীতে সন্ধ্যারানী দূর নিভৃতে, ব'সে আছে অভিমানে ছড়িয়ে এলোচুল।। মাটির ধরার ফুলদানিতে তোর হবে কি ঠাঁই, আদর কে আর করবে তোরে, বসন্ত যে নাই হায় বসন্ত নাই। গোলক-চাঁপা খুঁজিস কারে — সে দেবতা নাই রে হেথা শূন্য যে আজি গোকুল।।
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা
বাণী
মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা। কে দুলিবি এ-দোলায় আয় আয় ওরে কাজ-ভোলা॥ মেঘ-নটীর নূপুর ঐ বাজে ঝুমুর ঝুমুর, শীর্ণা-তনু ঝর্না তরঙ্গ-উতরোলা॥ ফুল-পসারিণী ঐ দুলিছে বনানী বিনিমূলে বিলায় সে সুরভি, ফুল ছানি। আজ ঘরে ঘরে ফুল-দোল্ সব বন্ধ দুয়ার খোলা॥ জলদ-মৃদঙ বাজে গভীর ঘন আওয়াজে, বাদলা-নিশীথ দুলে ঐ তিমির-কুন্তলা॥
মাগো চিন্ময়ী রূপ ধরে আয়
বাণী
মাগো চিন্ময়ী রূপ ধ’রে আয়। মৃন্ময়ী রূপ তোর পূজি শ্রী দুর্গা তাই দুর্গতি কাটিল না হায়।। যে মহা-শক্তির হয় না বিসর্জন অন্তরে বাহিরে প্রকাশ যার অনুখন মন্দিরে দুর্গে রহে না যে বন্দী সেই দুর্গারে দেশ চায়।। আমাদের দ্বিভুজে দশভুজা-শক্তি দে পরম ব্রহ্মময়ী। শক্তিপূজার ফল ভক্তি কি পাব শুধু হব না কি বিশ্বজয়ী? এই পূজা-বিলাস সংহার কর্ যদি, পুত্র শক্তি নাহি পায়।।