বাণী

মায়ের আমার রূপ দেখে যা মা যে আমার কেবল জ্যোতি।
(মার) কৌশিকি রূপ দেখ্ রে চেয়ে, মা, শুদ্ধা মহা স্বরস্বতী।।
	পরম শুভ্র জ্যোতির্ধারায়
	নিখিল বিশ্ব যায় ডুবে যায়।
কোটি শ্বেতশতদলে বিরাজে মা বেদবতী।।
সপ্তসর্গ সপ্ত পাতাল শুদ্ধ হয়ে উঠল নেয়ে
সাত্ত্বিকি মোর জগন্মাতার জ্যোতির্সুধার প্রসাদ পেয়ে।
	নৃত্যময়ী শব্দময়ী কালী
	এলো শান্ত কল্যাণ-দীপ জ্বালি’
দেখ রে পরমাত্মায় সব জননী সে জ্যোতিষ্মতী।।

বাণী

মাতৃ নামের হোমের শিখা আমার বুকে কে জ্বালালো
সেই শিখা আজ হরবে যেন মা ত্রিজগতের আঁধার কালো।।
	আজ মনে হয় দিবস যামী
	অমৃতেরই পুত্র আমি মা
আনন্দময় হল ত্রিলোক যেদিকে চাই কেবল আলো।।
সূর্য যেমন জানে না, তার আলোয় কত জগৎ জাগে,
বিকার-বিহীন তেমনি আমি, জ্বলি নামের অনুরাগে।
	হয়তো আমার আলো লেগে
	নতুন সৃষ্টি উঠবে জেগে,
তাই কি বিপুল আকর্ষণে সবারে চাই বাস্‌তে ভালো।।

বাণী

মোরা আর জনমে হংস–মিথুন ছিলাম নদীর চরে
যুগলরূপে এসেছি গো আবার মাটির ঘরে।।
তমাল তরু চাঁপা–লতার মত
জড়িয়ে কত জনম হ’ল গত,
সেই বাঁধনের চিহ্ন আজো জাগে হিয়ার থরে থরে।।
বাহুর ডোরে বেঁধে আজো ঘুমের ঘোরে যেন
ঝড়ের বন–লতার মত লুটিয়ে কাঁদ কেন।
বনের কপোত কপোতাক্ষীর তীরে
পাখায় পাখায় বাঁধা ছিলাম নীড়ে
চিরতরে হ’ল ছাড়াছাড়ি নিঠুর ব্যাধের শরে।।

বাণী

মাধব গোবিন্দ শ্রীকৃষ্ণ মুরারি॥
কহ নাম মুখে গাহ সুখে দুখে
মণিহারই করে গেঁথে রাখ বুকে
	গোলকে হরি তার সখা সাথী প্যারী॥
পেল না ব্রহ্মা শিব ধেয়ানে যাহারে
বাঁধিল গোকুলে গোয়ালিনী তারে
	যুগে যুগে সে যে প্রেমের ভিখারি॥
লীলা রসে তাহার ডুবে রও অবিরাম
এ সংসার হবে রে সুমধুর ব্রজধাম
	ধরিবেন হৃদয়ে তোরে গিরিধারী॥

বাণী

মালা যদি মোর ধূলায় মলিন হয়
ব'সে আছি তাই অঞ্চলে নিয়ে কুসুমেরি সঞ্চয়।।
	ফুলহার যদি কর অবহেলা
	তাই ভাবি আর ব'য়ে যায় বেলা
হৃদয়ে থাকুক লুকানো আমার হৃদয়ের পরিচয়।।
বিফল যদি গো হয় পূজা নিবেদন
মন্দির-দ্বারে দাঁড়াইয়া তাই পাষাণেরই নারায়ণ।।
	কেন কাছে আসি, এসে ফিরে যাই
	যদি ফেল জেনে ভয় মানি তাই
সকলি সহিব, সহিতে নারিব হৃদয়ের পরাজয়।।

বাণী

	মা তোর কালো রূপের মাঝে রসের সাগর লুকিয়ে আছে,
তোর	কৃষ্ণ জ্যোতির আড়াল টেনে মোর প্রেমময় কৃষ্ণ নাচে।।
			(নাচে, নাচে, নাচে গো)
আমি	যাঁহার পরম তৃষ্ণা লয়ে কাঁদি (মা),
ওমা	কৃষ্ণা কেন রাখলি তারে বাঁধি,
ওমা	যোগমায়া সে যে বাজায় বাঁশি তোরই রূপের কদম গাছে।।
	আমার অভয় সুন্দরেরে কেন ভয়ের আবরণে
	রাখলি ঢেকে মাগো, আমি কাঁদব কত এই বিরহের বৃন্দাবনে।
ওমা	তোর শক্তি যমুনারি তীরে
	নাম লয়ে মোর শ্যাম যে কেঁদে ফিরে।
তুই	কোলে করে মেয়েরে তোর নিয়ে যা তাঁর পায়ের কাছে।।