বাণী

মোর  বেদনার কারাগারে জাগো, জাগো- বেদনাহারী হে মুরারি।
	অসীম দুঃখ ঘেরা কৃষ্ণা তিথিতে এসো এসো হে কৃষ্ণ গিরিধারী।।
	ব‍্যথিত এ চিত দেবকীর সম মূর্ছিত পাষাণেরি ভারে
	ডাকে প্রাণ-যাদব, এসো এসো মাধব উথলিছে প্রেম আঁখিবারি
		মুরারি উথলিছে প্রেম আঁখিবারি।।
	হৃদয়-ব্রজে মম ভক্তি প্রীতি জাগিয়া আছে আশায়,
কদম্ব ফুল সম উঠিছে শিহরি’ মম শ‍্যাম-বরষায়।
ওগো বনশীওয়ালা, তব না শোনা বাঁশি
	শোনে অনুরাগ রাধা প্রণয় পিয়াসি,
গোপন ধ‍্যানের মধুবনে তব নুপুর শুনি, হে কিশোর বনচারী।।

বাণী

মোর শ্যাম সুন্দর এসো।
প্রেমের বৃন্দাবনে এসো হে ব্রজধাম-সুন্দর এসো।।
এসো হৃদয়ে হৃদয়েশ মোর নয়নের আগে এসো হে।
মোর নব-অনুরাগে এসো শ্যাম কোটি-কাম-সুন্দর এসো।।
রস মানস গঙ্গার কূলে রসরাজ এসো এসো হে।
এসো মুরলী বাজায়ে এসো হে, এসো ময়ূর নাচায়ে এসো হে মধাব,
মধু-বনমাঝে, এসো এসো হে।।
মোর মুখের ভাষায় এসো, মোর প্রাণের আশায় এসো।
নবীন নীরদ ঘনশ্যাম রূপে রূপ-পিপাসায় এসো
এসো মদন-মোহন শোভন অভিরাম-সুন্দর এসো।।

বাণী

মাঠে আমার ফল্‌ল ফসল মনের ফসল কই
শূন্য মনে আল্লা তোমার পানে চেয়ে রই।।
আরব মরুভূমে নবীজীরে পাঠাইলে
আমার মনের মরুভূমি বিফল রাখিলে,
গরীব ব’লে আমি কি গো বান্দা তব নই।।
চাই না যশ মান আমি চাহি না দৌলৎ,
আমি চাহি শুধু — তোমার নামেরি সরবত
যে যাহা চায় তুমি নাকি তারে তাহাই দাও
আমার মানত পূর্ণ ক’রে পরান বাঁচাও,
আমি যেন আল্লা নামের তস্‌বি শুধু বই।।

বাণী

মা মেয়েতে খেল্‌ব পুতুল আয় মা আমার খেলাঘরে।
আমি মা হয়ে মা শিখিয়ে দেব পুতুল খেলে কেমন করে।।
কাঙাল অবোধ করবি যারে বুকের কাছে রাখিস্ তারে (মা)
[নইলে কে তার দুখ ভোলাবে
যারে রত্ন মানিক দিবি না মা, উচিত সে তার মাকে পাবে]
আবার কেউ বা ভীষণ দামাল হবে কেউ থাকবে গৃহ কোণে প’ড়ে।।
মৃত্যু সেথায় থাকবে না মা থাকবে লুকোচুরি খেলা
রাত্রি বেলায় কাঁদিয়ে যাবে আসবে ফিরে সকাল বেলা।
কাঁদিয়ে খোকায়, ভয় দেখিয়ে, ভয় ভোলাবি আদর দিয়ে (মা)
[বেশি তারে কাঁদাস না মা, মা ছেড়ে সে পালিয়ে যাবে]
সে খেলে যখন শ্রান্ত হবে ঘুম পাড়াবি বক্ষে ধ’রে।।

বাণী

	মোরা ছিনু একেলা, হইনু দু’জন।
	সুন্দরতর হ’ল নিখিল ভুবন।।
আজি	কপোত-কপোতী শ্রবণে কুহরে,
	বীণা বেণু বাজে বন-মর্মরে।
	নির্ঝর-ধারে সুধা চোখে মুখে ঝরে,
	নূতন জগৎ মোরা করেছি সৃজন।।
	মরিতে চাহি না, পেয়ে জীবন-অমিয়া!
	আসিব এ কুটিরে আবার জনমিয়া।
	আরো চাই আরো চাই অশেষ জীবন।।
আজি	প্রদীপ-বন্দিনী আলোক-কন্যা,
	লক্ষ্মীর শ্রী লয়ে আসিল অরণ্যা,
	মঙ্গল-ঘটে এলো নদীজল-বন্যা,
	পার্বতী পরিয়াছে গৌরী-ভূষণ।।

বাণী

মন দিয়ে যে দেখি তোমায় তাই দেখিনে নয়ন দিয়ে।
পরান আছে বিভোর হয়ে তোমার নামের ধেয়ান নিয়ে॥
	হৃদয় জুড়ে আছ ব’লে,
	এড়িয়ে চলি নানান ছলে।
আছ আমার অন্তরে, তাই অন্তরালে রই লুকিয়ে॥
আমার কথা শুনাই না গো তোমার কথা শোনার আশায়,
ভরে আছে অন্তর মোর বন্ধু তোমার ভালোবাসায়।
	তোমায় ভালো বাসতে পেরে
	পেয়েছি মোর আনন্দেরে
অমর হলাম হে প্রিয় মোর তোমার প্রেমের সুধা পিয়ে॥