ওগো পূজার থালায় আছে আমার ব্যথার শতদল
বাণী
ওগো পূজার থালায় আছে আমার ব্যথার শতদল। হে দেবতা রাখ সেথা তোমার পদতল।। নিবেদনের কুসুম সহ লহ হে নাথ, আমায় লহ যে আগুনে আমায় দহ সেই আগুনে আরতি-দীপ জ্বেলেছি উজল।। যে নয়নের জ্যোতি নিলে কাঁদিয়ে পলে পলে, মঙ্গল-ঘট ভরেছি নাথ, সেই নয়নের জলে। যে চরণে করো আঘাত প্রণাম লহ সেই পায়ে নাথ রিক্ত তুমি করলে যে হাত, হে দেবতা! লও সে হাতে অর্ঘ্য-সুমঙ্গল।।
ওকে নাচের ঠমকে দাঁড়ালো থমকে সহসা চমকে পথে
বাণী
ও কে নাচের ঠমকে দাঁড়ালো থমকে সহসা চমকে পথে যেন তার নাম ধ'রে ডাকিল কে বাঁশের বাঁশিতে মাঠে ওপার হতে। তার হঠাৎ থেমে যাওয়া দেহ দোদুল নাচের তালে যেন ছন্দের ভুল সে রহে চাহি' অনিমেষে পটে আঁকা ছবিতুল গেছে হারায়ে সে যেন কোন জগতে।। তার ঘুম জড়িত চোখে জাগালো কী নতুন ঘোর অকরুণ বাঁশির কিশোর; উদাসী মুরতি প্রভাতী রাগিণী কাননে যেন এলো নামিয়া অরুণ-কিরণ রথে।।
ওরে ব্যাকুল বেণুবন
বাণী
ওরে ব্যাকুল বেণুবন! তোকে দিয়েই হতো শ্যামের মুরলি মোহন।। তোর শাখাতে লেগে আছে শ্যামের হাতের ছোঁওয়া। আজো কি তার পরশ-লোভে ডালগুলি তার নোওয়া। আমার পড়লো মনে তোরে দেখে ও-বেণুবন পড়লো মনে, বৃন্দাবনে যে সাতটি সুর বাজাত শ্যাম বাঁশির সনে।। তার প্রথম সুরে আয় আয় ব’লে গোপিকায় ডাকে দূরে, তার দ্বিতীয় সুরে বহে যমুনা উজান ব্রজকুমারী ঝুরে। তার তৃতীয় সুরে সেই সুরে বাজে তার পায়ের নূপুর সেই সুর শুনে নাচে বনের ময়ূর। শুনি চতুর্থ সুর গুরু-গম্ভীর রোল, মেঘে মৃদঙ্গ বাজে লাগে ঝুলনায় দোল্। পঞ্চম সুরে তার কোয়েলা বোলে ব্রজ-বসন্ত আসে মাতে হোরির রোলে। ষষ্ঠ সুরে কেঁদে ডাকে সে রাধায় সপ্তমে নিষাদ সে ভুবন কাঁদায়। আখর : [নিষাদ সে তাই সাধ মিটিল না ডাকিয়া বাঁশির সুরে বধে হরিণীরে — নিষাদ সে তারে ভালোবেসে সাধ মেটে না — নিষাদ সে।।]
ওলো ননদিনী বল্
বাণী
ওলো ননদিনী বল্ কপট নিপট কালা, নিঠুর খল্॥ তার নাই ভয় নাই লজ্জা শরম লইয়া যুবতীর ধরম গো খেলে সে নিঠুর খেলা, চতুর চপল্॥ না শুনে লো তোদের গালি মাখলাম কুলে কালার কালি গো সে মুখে সরল বনমালী, অন্তরে গরল॥ তার শত জনে মন বাঁধা, রাতে চন্দ্রা দিনে রাধা (তারে) কঠিন কথা শুনাইব চল্লো গোঠে চল্॥ কৃষ্ণ ব’লে অবিরত দে লো গালি পারিস যত ননদী কয় বুঝেছি বউ (কৃষ্ণ) নাম শোনারই ছল ও বউ কৃষ্ণ নাম তোর ভাল লাগে তাই কৃষ্ণ (ও তোর) নাম শোনারই ছল॥