ও শাপ্লা ফুল নেবো না
বাণী
মেয়েঃ ও শাপ্লা ফুল নেবো না বাবলা ফুল এনে দে নইলে দেবো না বাঁশি ফিরিয়ে। ছেলেঃ খুলে বেণীর বিনুনী, খোঁপার চিরুনি হাতে দে, যাব খানিক জিরিয়ে। মেয়েঃ বন-পায়রার পালক দে কুড়িয়ে, ছেলেঃ তোর চোখের চাওয়া পায়রা দিল উড়িয়ে, দুজনেঃ মোদের ঝগড়া দেখে হালকা হাওয়া বহে ঝিরঝিরিয়ে। ছেলেঃ তোর জোড়া ভুরু-ধনুক মোর নাসিকা বাঁশি লো মেয়েঃ চাঁদের চেয়ে ভালো লাগে কালো রূপের হাসি রে তোর কালো রূপের হাসি ছেলেঃ ওই কালো চোখের হাসি। মেয়েঃ তুই যাদু করে মন দিলি দুলিয়ে দুজনেঃ মোদের কথা শুনে শিরিষ পাতা ওঠে শিরশিরিয়ে॥
সিনেমাঃ ‘অভিনয় নয়’
ও গিন্নী বদন তোল
বাণী
ও গিন্নী বদন তোল একটু হানো নয়না। আমি জুয়েলারীর দোকান হব গায়ে হব গয়না।। (তোমার) সিঁথের হব সিঁথিপাটি কেশে হেয়ার পিন চিরুনি হয়ে খোপায় বিঁধে রইব চিরদিন। টায়রা ঝাপটা লেসপিন তাহলে মন্দ হয় না।। টানা টিকলি কাঁটা হব ফুলের নয় গো চুলের টাপ মাকড়ি দুল হব গো একটু বেশি ঝুলের। কানের উপর কান হব গো নাকছাবি ঐ নাকের, কাঁচ পোকা আর খয়েরি টিপ হব ভুরূর ফাঁকে, নোলক বেসর তাও হব যা আজকাল লোক ছোঁয় না।। গলার হব হার নেকলেস গজমতির মালা, হাতে হব বাজু বন্দ, পৈঁচী চুড়ি বালা। তাগা, কেয়ুর, রুলি, শাঁখা, জসম, আংটি, খাড়ু তাবিজ হব নোয়া হব অনন্ত সূচারু। ভুলে গেছি — নথ নৈলে গিন্নীর মান রয় না।। নূপুর তোড়া হ্যাদে দেখো ভুলেই দেছি দেখি ঝুমকো ঢেঁড়ি চিকের কথা মাদুলাও বাকি, জাল পাটরি কি হই আর কী ফেলে রাখি বাদ কি গেল দাও লিস্টি মুখ ভার আর সয় না।।
‘গিন্নীর কাছে গয়নার ফর্দ’
ওরে হতভাগী রক্ত-খাগী
বাণী
(ওরে) হতভাগী রক্ত-খাগী, কোথায় ছিলি বল্! (তোর) দেখে ছিরি ভয়ে মরি চোখে আসে জল।। বেণী খুলে এলোকেশে বেড়াস্ এ কোন্ পাগল-বেশে, চাঁদকে ফেলে নীল আকাশে আন্লি কোন্ অনল।। (কপালে জ্বাল্লি কোন্ অনল) (ঐ) সদ্য ফোঁটা পদ্মফুলে কে মাখাল কালি? মা আমরি কপাল মন্দ কারে দিব গালি। রাজ-দুলালী আদর পেয়ে সাজ্লি ছি ছি নাগর মেয়ে, (তোর) চিন্তে পারি, গৌরী দেখে রাঙা পদতল।।
ওগো দেবতা তোমার পায়ে গিয়াছিনু ফুল দিতে
বাণী
ওগো দেবতা তোমার পায়ে গিয়াছিনু ফুল দিতে মোর মন চুরি ক’রে নিলে কেন তুমি অলখিতে।। আজি ফুল দিতে শ্রীচরণে মম হাত কাঁপে ক্ষণে; কেন প্রণাম করিতে গিয়া- প্রিয় সাধ জাগে পরশিতে।। তুমি দেবতা যে মন্দিরে- কাছে এলে যাই ভুলে বঁধু আমি দীন দেবদাসী কেন তুমি মোরে ছুঁলে। তুমি কাছে এলে যাই ভুলে। আমি হাতে আনি হেমঝারি’, তুমি কেন চাহ আঁখি-বারি; আমি পূজা-অঞ্জলি আনি, তুমি কেন চাহ মালা নিতে।।
ওরে সর্বনাশী মেখে এলি
বাণী
ওরে সর্বনাশী! মেখে এলি এ কোন চুলোর ছাই! শ্মশান ছাড়া খেলার তোর জায়গা কি আর নাই॥ মুক্তকেশী, কেশ এলিয়ে ওমা বেড়াস কখন কোথায় গিয়ে আমি এক নিমেষ তোকে নিয়ে (আমি) শান্তি নাহি পাই॥ ওরে হাড়-জ্বালানী মেয়ে, হাড়ের মালা কোথায় পেলি, ভুবন-মোহন গৌরী রূপে কালি মেখে এলি! তোর গায়ের কালি চোখের জলে আমি ধুইয়ে দেব আয় মা কোলে; তোরে বুকে ধরেও মরি জ্ব’লে, আমি দিই মা গালি তাই॥