ওমা যা কিছু তুই দিয়েছিলি
বাণী
ওমা যা কিছু তুই দিয়েছিলি ফিরিয়ে দিলাম তোকে। তুই ছাড়া আর বলতে আপন (কেউ) রইল না ত্রিলোকে।। তুই কোলে নেবার দায় এড়িয়ে রেখেছিলি মন ভুলিয়ে খেলনা দিয়ে, তুই পালিয়েছিলি ঘুম পাড়িয়ে (মায়ার) কাজল দিয়ে চোখে।। কোটি জনম কাট্ল কেঁদে মাগো তোকে ভুলে, (মা) তোরে মনে পড়েছে আজ, (এবার) নে মা কোলে তু’লে। এই পুত্র জায়া মায়ার ছবি তুই ছাড়া মা মিথ্যা সবই, ভুলব না আর এবার আমি জড়াব না দুঃখ-শোকে।।
ওরে শুভ্রবসনা রজনীগন্ধ্যা
বাণী
ওরে শুভ্রবসনা রজনীগন্ধ্যা বনের বিধবা মেয়ে, হারানো কাহারে খুঁজিস নিশীথ-আকাশের পানে চেয়ে।। ক্ষীণ তনুলতা বেদনা-মলিন, উদাস মূরতি ভূষণবিহীন, তোরে হেরি ঝরে কুসুম-অশ্রু বনের কপোল বেয়ে।। তুইলুকায়ে কাঁদিস রজনী জাগিস সবাই ঘুমায় যবে, বিধাতারে যেন বলিস — দেবতা আমারে লইবে কবে। করুণ শুভ্র ভালোবাসা তোর সুরভি ছড়ায় সারা নিশি ভোর, প্রভাত বেলায় লুটাস ধূলায় যেন-কারে নাহি পেয়ে।।
ওমা ফিরে এলে কানাই মোদের
বাণী
ওমা ফিরে এলে কানাই মোদের এবার ছেড়ে দিস্নে তায়। তোর সাথে সব রাখাল মিলে বাঁধ্ব সে-ননী চোরায়।। তা’রে তুই যখন মা রাখতিস্ বেঁধে ছাড়ায়েছি কেঁদে কেঁদে’, তখন জান্তো কে, যে খুললে বাঁধন পালিয়ে যাবে মথুরায়।। এবার আমরা এসে ডাকলে শ্যামে গোঠে যেতে দিস্নে তায়, ঐ পথে অক্রুর মুনির সাথে পালিয়ে যাবে শ্যামরায়।। মোরা কেউ যাব না বনে মা আর খেল্ব তার এই আঙিনায়, শুধু খেলব লুকোচুরি লো আগ্লাতে চোরের রাজায়।।
ও শাপ্লা ফুল নেবো না
বাণী
মেয়েঃ ও শাপ্লা ফুল নেবো না বাবলা ফুল এনে দে নইলে দেবো না বাঁশি ফিরিয়ে। ছেলেঃ খুলে বেণীর বিনুনী, খোঁপার চিরুনি হাতে দে, যাব খানিক জিরিয়ে। মেয়েঃ বন-পায়রার পালক দে কুড়িয়ে, ছেলেঃ তোর চোখের চাওয়া পায়রা দিল উড়িয়ে, দুজনেঃ মোদের ঝগড়া দেখে হালকা হাওয়া বহে ঝিরঝিরিয়ে। ছেলেঃ তোর জোড়া ভুরু-ধনুক মোর নাসিকা বাঁশি লো মেয়েঃ চাঁদের চেয়ে ভালো লাগে কালো রূপের হাসি রে তোর কালো রূপের হাসি ছেলেঃ ওই কালো চোখের হাসি। মেয়েঃ তুই যাদু করে মন দিলি দুলিয়ে দুজনেঃ মোদের কথা শুনে শিরিষ পাতা ওঠে শিরশিরিয়ে॥
সিনেমাঃ ‘অভিনয় নয়’
ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে
বাণী
ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে। (ওসে) কোন্ অভাগা অঙ্ক-লক্ষ্মী নাম দিল এই শঙ্খ-চিলে।। দিন রাত্তির অঙ্ক কষে পান্ হতে চুন কখন্ খসে, স্ত্রী ব’লে আন্নু ঘরে শাড়ি পরা কোন্ উকিলে।। প্রাণ-পাখি মোর খাঁচা-ছাড়া, (এই) ঝুল্তি বেণীর গুল্তি ঢিলে’ মাতঙ্গিনী মহিষিণী গুঁতিয়ে ফাটায় পেটের পিলে। যেমন বাঘ দেখে ছাগ ছুটেরে ভাই তেমনি কাছা খুলে পালিয়ে বেড়াই ওগো মাগো এসে রক্ষা কর হালুম-বাঘায় ফেল্ল গিলে।।