বাণী

		ওলো বিশাখা, ওলো ললিতে, দে এই পথের ধূলি দে।
		যে পথে শ্যামের রথ চ’লে গেছে, দে সেই পথের ধূলি দে।।
আখর	:	[ধুলি নয় ধুলি নয়, এ যে হরি-চন্দন ধূলি নয়,
		এ যে হরি-চন্দন, অঙ্গ শীতল করা।
		ওর ভাগ্য ভালো, রাধার চেয়ে ওর ভাগ্য ভালো —
		ঐ, ধূলি মাথায় তুলে দে লো।]
		ঐ পথের বুকে গেছে কৃষ্ণের রথ, সখী আমি কেন হই নাই ঐ ধূলি-পথ।
আখর	:	[বধূ, চ’লে যে যেত গো আমার, হিয়ার উপর দিয়া চ’লে যে যেত
		আমার, সকল জনম সফল হ’ত, চ’লে যে যেত গো]
		অনুরাগের রজ্জু দিয়া বাঁধিতাম সে-রথে
		নিয়ে যেতাম সে-রথ প্রেমপথে (ওলো ললিতে)
আখর	:	[নিয়ে যেতাম, অনুরাগ-রজ্জুতে বেঁধে,
		প্রেমের পথে, অনুরাগ-রজ্জুতে বেঁধে।

বাণী

ওরে এ কোন্ স্নেহ-সুরধুনী নামলো আমার সাহারায়।
বক্ষে কাঁদার বান ডেকেছে, আজ হিয়া কূল না হারায়।।
কণ্ঠে চেপে শুষ্ক তৃষা
মরুর সে-পথ তপ্ত সীসা,
চ’লতে একা পাইনি দিশা ভাই,
বন্ধ নিঃশ্বাস — একটু বাতাস্!
এক ফোঁটা জল জহর-মিশা! মিথ্যা আশা, নাই সে নিশানা’ই
হঠাৎ ও-কার ছায়ার মায়া রে —
যেন ডাক-নাম আজ গাল্-ভরা ডাক ডাকছে কে ঐ মা-হারায়।।
লক্ষ যুগের বক্ষ-ছায়া তুহিন্ হ’য়ে যে ব্যথা আর কথা ছিল ঘুমা,
কে সে ব্যথায় বুলায় পরশ রে?
ওরে গলায় তুহিন্ কাহার কিরণ-তপ্ত সোহাগ-চুমা?
ওরে ও-ভূত, লক্ষ্মী-ছাড়া
হতভাগা বাঁধন-হারা,
কোথায় ছুটিস্! একটু দাঁড়া, হায়!
ঐ ত তোরে ডাক্‌ছে স্নেহ
হাতছানি দেয় ঐ ত গেহ,
কাঁদিস্ কেন পাগল-পারা তায়?
এত ডুক্‌রে’ কিসের তিক্ত কাঁদন তোর?
অভিমানী! মুখ ফেরা দেখ্ যা পেয়েছিস্ তা’ও হারায়!
হায়, বুঝ্‌বে কে যে স্নেহের ছোঁওয়ায় আমার বাণী রা’ হারায়।।

বাণী

ওঁ শঙ্কর হর হর শিব সুন্দর।
কোটি ভাস্কর জ্যোতি শূলপাণি নটবর।।
রজত গিরিনিভ কান্তি মনোহর।
জটা ভূষণ ত্রিনয়ন শশীশেখর।।
বাঘাম্বর যোগীন্দ্র ডমরুধর।
প্রসীদ আশুতোষ রুদ্র মহেশ্বর।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’

বাণী

ওলো	এক চাঁদকে সৃষ্টি ক’রে বিধির পুঁজি শেষ।
এই	চাঁদের পাশে চাঁদ শোভা পায় আছে সে-কোন্ দেশ।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (ঘুমপরীর গান)

বাণী

ওগো পিয়া তব অকরুণ ভালোবাসা।
অন্তরে দিল বিপুল বিরহ, কবিতায় দিল ভাষা।।
	মোর গানে দিল সুর
	করুণ ব্যথা বিধুর,
বাণীতে দিল সুদূর স্বর্গের পিপাসা।।
তুমি ভালো করিয়াছ ভালোবাস নাই মোরে,
রাখ নাই ধ’রে আমারে তোমার ক’রে।
	মম বিরহের বেদনাতে
	তাই ত্রিভুবন কাঁদে সাথে,
ভুলেছি সবারে চেয়ে তোমারে পাবার আশা।।

বাণী

ওমা দনুজ-দলনী মহাশক্তি নমো অনন্ত কল্যাণ-দাত্রী (নমো)।
পরমেশ্বরী মহিষ-মর্দিনী চরাচর-বিশ্ব-বিধাত্রী (নমো নমঃ)।।
		সর্বদেব-দেবী তেজোময়ী
		অশিব-অকল্যাণ-অসুর-জয়ী,
দশভুজা তুমি মা, ভীতজন-তারিণী জননী জগৎ-ধাত্রী।।
দীনতা ভীরুতা লাজ গ্লানি ঘুচাও, দলন কর মা লোভ দানবে;
রূপ দাও, জয় দাও, যশ দাও, মান দাও, দেবতা কর ভীরু মানবে।
		শক্তি বিভব দাও, দাও মা আলোক
		দুঃখ-দারিদ্র্য অপগত হোক্‌,
জীবে জীবে হিংসা, এই সংশয় (মাগো) দূর হোক পোহাক এ দুর্যোগ রাত্রি।।