বাণী

দ্বৈত	:	ওগো নন্দ দুলাল নাচে ছন্দতালে
স্ত্রী	:	মধু মঞ্জির বোলে মণি কুন্তল দোলে
পুরুষ	:	চন্দন লেখা শোভে চারুভালে॥
স্ত্রী	:	রস যমুনায় জাগে ঢেউ উতরোল
পুরুষ	:	ব্রজগোপিকার প্রাণে লাগে তারি হিল্লোল
দ্বৈত	:	রাস পূর্ণিমা রাতে শিখী নাচে সাথে সাথে
		ফুল দোলে কুঞ্জেরই বকুল ডালে॥
স্ত্রী	:	নাচে নন্দ দুলাল বাজে মোহন বেণূ
পুরুষ	:	অঙ্গের লাবনিতে আলো করে অবনিতে
দ্বৈত	:	হাসিতে ঝরায় ফুল পরাগ রেণু।
স্ত্রী	:	রাঙা পায়ে রুমুঝুমু বাজে মধুর
পুরুষ	:	জীবন মরণ তার যুগল নূপুর
দ্বৈত	:	মুগ্ধ তারকা শশী রাতের দেউলে বসি
		আরতি প্রদীপ শিখা নিত্য জ্বালে॥

বাণী

ওরে	যোগ-সাধনা পরে হবে নাম জপ্ তুই আগে।
	সকল কাজে সকাল সাঁঝে গভীর অনুরাগে।।
	ওরে	যে ঠাকুরে পরান যাচে
	সে	নামের মাঝে লুকিয়ে আছে,
যেমন	বীজের মাঝে মহাতরু সঙ্গোপনে জাগে।।
	বীজ না বুনে আগে ভাগেই ফসল খুঁজিস্ তুই,
	তাই চিরকাল পোড়ো জমি রইল মনের ভুঁই।
তোর	কোন্ পথ নাম জপের শেষে
	দেখিয়ে দেবেন তিনিই এসে,
তোর	জীবন হবে প্রেমে রঙীন রঙ যদি রে লাগে।
	তাঁর মধুর নামের রঙ যদি রে লাগে।।

বাণী

		ও কালো শশী রে, বাজায়ো না আর বাঁশী রে।
		বাঁশী শুনিতে আসি না আমি, জল নিতে আসি হে।।
		আঁচল দিয়ে মুছি বন্ধু কাজলেরই কালি,
		যায় না মোছা তোমার কালি লাগলে বনমালী;
তোমার	বাঁশী শুনে ভেসে গেল কত রাধার মুখের হাসি রে।।
		কাল নাগিনীর ফণায় নাচো, বুঝবে তুমি কিসে,
		কত কুল-বধূ মরে ঐ বাঁশরীর বিষে (বন্ধু)
		ঘরে ফেরার পথ হারায়ে ফিরি তোমার পায়ে পায়ে,
		জলের কল্‌সি জলে ডোবে, আমি আঁখি জলে ভাসি রে।।

বাণী

ওরে	তরু তমাল শাখা।
আছে	পল্লবে তোর মোর বল্লভ কৃষ্ণ কান্তি মাখা।
আমি	তাইতো তমাল কুঞ্জে আসি
	তাইতো তমাল ভালোবাসি,
তোর	পথ-ছায়ায় আছে যে তার (কৃষ্ণ) চরণ-চিহ্ন আঁকা।।
	তোর চূড়ায় ময়ূর নাচে,
যেন	কৃষ্ণ-ময়ূর পাখা তাই দেখে পরান বাঁচে —
	কৃষ্ণহারা পরান আমার বাঁচে।
	তোর শাখাতে স্বর্ণ-লতা দোলে
	আমি ভাবি শ্যামের পীত বসন বলে,
মোর	অঙ্গ যেন থাকে রে তোর কালো ছায়ায় ঢাকা
তোর	ছায়া নয় রে শ্যামের ছোঁওয়া, যেন শ্যামের শীতল ছোঁওয়া।।

বাণী

ওলো ননদিনী বল্
কপট নিপট কালা, নিঠুর খল্॥
তার নাই ভয় নাই লজ্জা শরম
লইয়া যুবতীর ধরম গো
খেলে সে নিঠুর খেলা, চতুর চপল্॥
না শুনে লো তোদের গালি
মাখলাম কুলে কালার কালি গো
সে মুখে সরল বনমালী, অন্তরে গরল॥
তার শত জনে মন বাঁধা, রাতে চন্দ্রা দিনে রাধা
(তারে) কঠিন কথা শুনাইব চল্‌লো গোঠে চল্॥
কৃষ্ণ ব’লে অবিরত দে লো গালি পারিস যত
ননদী কয় বুঝেছি বউ (কৃষ্ণ) নাম শোনারই ছল
ও বউ কৃষ্ণ নাম তোর ভাল লাগে
তাই কৃষ্ণ (ও তোর) নাম শোনারই ছল॥

বাণী

ওঁ শঙ্কর হর হর শিব সুন্দর।
কোটি ভাস্কর জ্যোতি শূলপাণি নটবর।।
রজত গিরিনিভ কান্তি মনোহর।
জটা ভূষণ ত্রিনয়ন শশীশেখর।।
বাঘাম্বর যোগীন্দ্র ডমরুধর।
প্রসীদ আশুতোষ রুদ্র মহেশ্বর।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’