বাণী

ও কালো বউ! জল আনিতে যেয়ো না আর বাজিয়ে মল।
তোমায় দেখে শিউরে ওঠে কাজ্‌লা দীঘির কালো জল।
		ওগো কাজ্‌লা দীঘির কালো জল।।
	দেখে তোমার কালো আঁখি
	কালো কোকিল ওঠে ডাকি’
তোমার চোখের কাজল মাখি’ হয় সজল ঐ মেঘ-দল
		ওগো হয় সজল ঐ মেঘ-দল।।
	তোমার কালো রূপের মায়া
	দুপুর রোদে শীতল ছায়া
কচি অশথ্‌ পাতায় টলে ঐ কালো রূপ টলমল।।
	ভাদর মাসের ভরা ঝিলে
	তোমার রূপের আদর মিলে গো —
তোমার তনুর নিবিড় নীলে আকাশ করে টলমল।
		ঐ আকাশ করে টলমল।।

বাণী

ওগো মুর্শিদ পীর! বলো বলো রসুল কোথায় থাকে।
কোথায় গেলে কেমন ক’রে দেখতে পাব তাঁকে।।
	বেহেশ্‌ত — ’পারে দূর আকাশে
	তাঁহার আসন খোদার পাশে,
সে এতই প্রিয়, আপনি খোদা লুকিয়ে তারে রাখে।।
কোরান পড়ি হাদিস শুনি, সাধ মেটে না তাহে,
আতর পেয়ে মন যে আমার ফুল দেখতে চাহে।
	সবাই খুশি ঈদের চাঁদে
	আমার কেন পরান কাঁদে,
দেখ্‌ব কখন আমার ঈদের চাঁদ — মোস্তফাকে।।

বাণী

ওগো	প্রিয়, তব গান! আকাশ-গাঙের জোয়ারে
		উজান বহিয়া যায়
	মোর কথাগুলি কাঁদিছে বুকের দুয়ারে
		পথ খুঁজে নাহি পায়।।
ওগো	দখিনা বাতাস, ফুলের সুরভি বহ
		ওরি সাথে মোর না-বলা বাণী লহ
ওগো	মেঘ, তুমি মোর হয়ে গিয়ে কহ
	বন্দিনী গিরি ঝরনা পাষাণ-তলে
		যে কথা কহিতে চায়।।
	ওরে ও সুরমা, পদ্মা, কর্ণফুলি তোদের ভাটির স্রোতে
	নিয়ে যা আমার না-বলা কথাগুলি ধুয়ে মোর বুক হ'তে
ওরে	'চোখ গেল' বউ কথা কও' পাখি
	তোদের কণ্ঠে মোর সুর, যাই রাখি' কি?
(ওরে)	মাঠের মুরলী কহিও তাহারে ডাকি,
	আমার গানের কলি না-ফোটা বুলি ঝ'রে গেল নিরাশায়।।

বাণী

ওর নিশীথ-সমাধি ভাঙিও না।
মরা ফুলের সাথে ঝরিল যে ধূলি-পথে —
সে আর জাগিবে না, তারে ডাকিও না।।
তাপসিনী-সম তোমারি ধ্যানে
সে চেয়েছিল তব পথের পানে,
জীবনে যাহার মুছিলে না আঁখি ধার আজি তাহার পাশে কাঁদিও না।।
মরণের কোলে সে গভীর শান্তিতে পড়েছে ঘুমায়ে,
তোমারি তরে গাঁথা শুকানো মালিকা বক্ষে জড়ায়ে
যে মরিয়া জুড়ায়েছে, ঘুমাইতে দাও তারে জাগিও না।।

বাণী

ওহে রসিক রসাল কদলী।
ভাবুকের তুমি ভাবের আধার পেটুকের প্রাণ-পুতলী।।
আহা, তুমি যুগে যুগে বর্তমান
বৃন্দাবনে মোহন বাঁশি বাঙলায় মর্তমান।
বহুরূপী তুমি বহুনামধারী চম্প বীচে কাঁঠালি।।
তোমার কাঁচকলা রূপের উপাসক পেট-রোগা যত ভক্ত,
ঝোলে কি ভাজায় তোমারে সাজায় (তুমি) মজাও পলতা শুক্ত।
নৈবেদ্যে ও আদ্য শ্রাদ্ধে দয়াময়, জগতের যত নর-বানর
তোমার কৃপার কাঙালি।।

কৌতুক নাটিকা : ‘পণ্ডিত মশায়ের ব্যাঘ্র শিকার’

বাণী

ওঁ শঙ্কর হর হর শিব সুন্দর।
কোটি ভাস্কর জ্যোতি শূলপাণি নটবর।।
রজত গিরিনিভ কান্তি মনোহর।
জটা ভূষণ ত্রিনয়ন শশীশেখর।।
বাঘাম্বর যোগীন্দ্র ডমরুধর।
প্রসীদ আশুতোষ রুদ্র মহেশ্বর।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’