বাণী

(মা)	ওমা তুই আমারে ছেড়ে আছিস আমি তাই হয়েছি লক্ষ্মীছাড়া
	ও তোর কৃপা বিনা শক্তিময়ী শুকিয়ে গেল ভক্তিচারা॥
	ওমা তুই আশ্রয় দিলি না তাই, আমি যা পাই তা পথে হারাই
	তোর রসময় ভুবন আমার শ্মশান হল ওমা তারা।
	আজ আনন্দ যমুনা ফেলে এসেছি তাই যমের দ্বারে
	ওমা জীবনে যা পেলাম না তা মরণ যদি দিতে পারে।
মাগো	ওমা তত বাড়ে বুকের জ্বালা, পাই যত যশ খ্যাতির মালা
	রাজপ্রসাদে শুয়ে মাগো শান্তি কি পায় মাতৃহারা॥

বাণী

ও কালো ডাগর চোখে বল জল আনিল কে।
কে গো সেই নিঠুর হিয়া না জানি কিসের ঝোঁকে।।
দু আঁখি ছাপিয়ে গেল তিতিল
কপোলখানি উজল নীলাকাশে সহসা ঢাকিল কে।।
পড়েছে ঘোমটা খসে খোঁপাটি গেছে খুলে
ঢেকেছে মুখখানি তার পাগল এলো চুলে।
না জানি কাহার কথা ব্যথিত ভাবছে মনে
সে জনা দেখিল না এ ছবি এমন ক্ষণে
স্বরগে হয়তো মেলে, মেলে না মর্তলোকে।।

বাণী

ও তুই কারে দেখে ঘোমটা দিলি নতুন বউ বল গো
তুই উঠলি রেঙে যেন পাকা কামরাঙ্গার ফল গো।।
তোর মন আইঢাই কি দেখে কে জানে
তুই চুন বলে দিস হলুদ বাটা পানে
তুই লাল নটে শাক ভেবে কুটিস শাড়ির আঁচল গো।।
তুই এ ঘর যেতে ও ঘরে যাস পায়ে বাধে পা
বউ তোর রঙ্গ দেখে হাসছে ননদ জা।
তুই দিন থাকিতে পিদিম জ্বালিস ঘরে
ওলো রাত আসিবে আরো অনেক পরে
কেন ভাতের হাঁড়ি মনে ক'রে উনুনে দিস জল গো।।

বাণী

ওগো অন্তর্যামী, ভক্তের তব শোন শোন নিবেদন
যেন থাকে নিশিদিন তোমারি সেবায় মোর তনু-প্রাণ-মন।।
	নয়নে কেবল দেখি যেন আমি
	তোমারই স্বরূপ ত্রিভুবন-স্বামী
শিরে বহি যেন তোমারি পূজার অর্ঘ্য অনুক্ষণ।।
এ রসনা শুধু জপে তব নাম এই বর দাও নাথ;
তোমারি চরণ সেবায় লাগুক মোর এই দুটি হাত।
	ওঠে তব নাম প্রতি নিঃশ্বাসে
	শ্রবনে কেবল তব নাম ভাসে
তব মন্দির-পথে যেন সদা চলে মোর এ চরণ।।

বাণী

ও সে		বাঁশরি বাজায় হেলে দুলে যায়
		গোঠে শ্যামরায় নওল কিশোর।
		জোছনা পিয়াসে চাঁদ মুখ পাশে।
		ঘোরে গোপিনীর নয়ন-চকোর।।
		নীল উৎপল ভ্রমে মধুকর
		উড়ে চলে সাথে, ছাড়ি’ সরোবর,
		অঙ্গে গোপী-চন্দন বাস
		লুটিয়া পলায় সমীর-চোর।।
		চরণ-কমলে ভ্রমরের প্রায় —
		সোনার নূপুর গুঞ্জরিয়া যায়।
		শ্যামেরে নবীন নীরদ ভাবিয়া
		নাচিছে ময়ূর কলাপ মেলিয়া,
		ঢেউ তুলে যেন চলে রূপের সায়র।।

বাণী

(মা)	ওমা তোর ভুবনে জ্বলে এত আলো
	আমি কেন অন্ধ মাগো দেখি শুধু কালো॥
মা	সর্বলোকে শক্তি ফিরিস নাচি
	ওমা আমি কেন পঙ্গু হয়ে আছি
	ওমা ছেলে কেন মন্দ হল জননী যার ভালো॥
	তুই নিত্য মহা প্রসাদ বিলাস কৃপার দুয়ার খুলি
	চির শুন্য রইল কেন আমার ভিক্ষা ঝুলি।
	বিন্দু বারি পেলাম না মা সিন্ধুজলে রয়ে
মা	ও তোর চোখের কাছে পড়ে আছি চোখের বালি হয়ে
	মোর জীবন্মৃত এই দেহে মা চিতার আগুন জ্বালো॥