ওরে হতভাগী রক্ত-খাগী
বাণী
(ওরে) হতভাগী রক্ত-খাগী, কোথায় ছিলি বল্! (তোর) দেখে ছিরি ভয়ে মরি চোখে আসে জল।। বেণী খুলে এলোকেশে বেড়াস্ এ কোন্ পাগল-বেশে, চাঁদকে ফেলে নীল আকাশে আন্লি কোন্ অনল।। (কপালে জ্বাল্লি কোন্ অনল) (ঐ) সদ্য ফোঁটা পদ্মফুলে কে মাখাল কালি? মা আমরি কপাল মন্দ কারে দিব গালি। রাজ-দুলালী আদর পেয়ে সাজ্লি ছি ছি নাগর মেয়ে, (তোর) চিন্তে পারি, গৌরী দেখে রাঙা পদতল।।
ওরে শুভ্রবসনা রজনীগন্ধ্যা
বাণী
ওরে শুভ্রবসনা রজনীগন্ধ্যা বনের বিধবা মেয়ে, হারানো কাহারে খুঁজিস নিশীথ-আকাশের পানে চেয়ে।। ক্ষীণ তনুলতা বেদনা-মলিন, উদাস মূরতি ভূষণবিহীন, তোরে হেরি ঝরে কুসুম-অশ্রু বনের কপোল বেয়ে।। তুইলুকায়ে কাঁদিস রজনী জাগিস সবাই ঘুমায় যবে, বিধাতারে যেন বলিস — দেবতা আমারে লইবে কবে। করুণ শুভ্র ভালোবাসা তোর সুরভি ছড়ায় সারা নিশি ভোর, প্রভাত বেলায় লুটাস ধূলায় যেন-কারে নাহি পেয়ে।।
ওরে আমার চটি আমার ঠনঠনিয়ার চটি
বাণী
ওরে আমার চটি আমার ঠনঠনিয়ার চটি যাত্রা শুনতে কাহার সাথে গেলি তুই পালটি।। মোর শ্রীচরণ ভরসা গেলি কাহার পায়ে গ'লে তুই দু'বছর পায়ে ছিলি তোরে জানতাম সতী ব'লে তুই কাহার গোদা চরণ দেখে গেলি শেষে পটি'। তোরে নিয়ে গেছেন যিনি তার চটিখানি ফেলে এ চটি তো নয় রামচটিতং আছেন বদন মেলে' সদা আছেন বদন মেলে', যেন অষ্টাবক্র বেঁকে হয়ে গিয়েছেন ঠিক আঁশবঁটি বেঁকে হয়েছেন আঁশবঁটি।। চটি কেন তোরে রাখিনিকো বগল-দাবা ক'রে বুঝি এতক্ষণ সে ফাটিয়ে তোরে ফেলেছে পা' ভ'রে শেষে আস্তাকুড়েঁ দেছে ফেলে সে যে হয়তো চটিমটি'।। আমি ভাবি, এ তার পায়ের জুতো না তার গায়ের নিমা আমারচটির পাশে ইনি ঠিক যেন দিদি মা ওরে চটি রে তোর দিদি হলেও চলতো মোটামুটি তুই চটপটিয়ে আয় চ'লে নয় সত্যি যা'ব চটি'।।
ওরে হুলো রে তুই রাত বিরেতে
বাণী
ওরে হুলো রে তুই রাত বিরেতে ঢুকিস্নে হেঁসেল্। তুই কবে বেঘোরে প্রাণ হারাবি বুঝিস্নে রাস্কেল্।। আমি স্বীকার করি শিকারি তুই তোর গোঁফ দেখেই চিনি, গাছে কাঁঠাল ঝুলতে দেখে দিস্ গোঁফে তুই তেল।। ওরে ছোঁচা ওরে ওঁছা বাড়ি বাড়ি তুই হাঁড়ি খাস, নাদ্নার বাড়ি খেয়ে কোন্দিন ধনে প্রাণে বা মারা যাস্, কেঁদে মিয়াঁও মিয়াঁও ব’লে বিবি বেরালি করবে রে হার্টফেল।। তানপুরারই সুরে যখন তখন গলা সাধিস্, শুনে ভুলো তোরে তেড়ে আসে, ন্যাজ তুলে ছুটিস্, তোরে বস্তা পু’রে কবে কে চালান দিবে ধাপা-মেল।। বৌঝি যখন মাছ কোটে রে, তুমি খোঁজ দাঁও, বিড়াল-তপস্বী আড়নয়নে থালার পানে চাও, তুই উত্তম মধ্যম খা’স এত তবু হ’ল না আক্কেল।।
ওগো মুর্শিদ পীর বলো বলো
বাণী
ওগো মুর্শিদ পীর! বলো বলো রসুল কোথায় থাকে। কোথায় গেলে কেমন ক’রে দেখতে পাব তাঁকে।। বেহেশ্ত — ’পারে দূর আকাশে তাঁহার আসন খোদার পাশে, সে এতই প্রিয়, আপনি খোদা লুকিয়ে তারে রাখে।। কোরান পড়ি হাদিস শুনি, সাধ মেটে না তাহে, আতর পেয়ে মন যে আমার ফুল দেখতে চাহে। সবাই খুশি ঈদের চাঁদে আমার কেন পরান কাঁদে, দেখ্ব কখন আমার ঈদের চাঁদ — মোস্তফাকে।।