বাণী

(ওমা)	দুঃখ-অভাব-ঋণ যত মোর (শ্যামা) রাখলাম তোর পায়ে।
(এবার)	তুই দিবি মা, ভক্তের তোর সকল ঋণ মিটায়ে।।
		মাগো		সমন হাতে মোর মহাজন
				ধরতে যদি আসে এখন,
		তোরই পায়ে পড়বে বাঁধন ছেলের ঋণের দায়ে।।
ওমা		সুদ আসলে এ সংসারের বেড়েই চলে দেনা,
এবার		ঋণ মুক্তির তুই নে মা ভার, রইব তোরই কেনা।
				আমি আমার আর নহি ত
		(আমি)	তোর পায়ে যে নিবেদিত,
এখন		তুই হয়েছিস্ জামিন আমার দে ওদের বুঝায়ে।।

বাণী

ওগো	চৈতী রাতের চাঁদ, যেয়ো না
	সাধ না মিটিতে যেতে চেয়ো না।।
হের	তরুলতায় কত আশার মুকুল,
ওগো	মাধবী-চাঁদ আজো ফোটেনি ফুল,
তুমি	যেয়ো না, প্রিয় যেয়ো না —
ঝরা	মুকুলে বনবীথি ছেয়ো না
তুমি	যেয়ো না, প্রিয় যেয়ো না, ওগো যেয়ো না।।
আজো	ফুলের নেশায় পাগল দখিন হাওয়া
আজো	বোলেনি পাপিয়া 'পিয়া পিয়া' গাওয়া
তুমি	এখনি বিদায়-গীতি গেয়ো না
তুমি	যেয়ো না, প্রিয় যেয়ো না।।

বাণী

		ওলো বিশাখা, ওলো ললিতে, দে এই পথের ধূলি দে।
		যে পথে শ্যামের রথ চ’লে গেছে, দে সেই পথের ধূলি দে।।
আখর	:	[ধুলি নয় ধুলি নয়, এ যে হরি-চন্দন ধূলি নয়,
		এ যে হরি-চন্দন, অঙ্গ শীতল করা।
		ওর ভাগ্য ভালো, রাধার চেয়ে ওর ভাগ্য ভালো —
		ঐ, ধূলি মাথায় তুলে দে লো।]
		ঐ পথের বুকে গেছে কৃষ্ণের রথ, সখী আমি কেন হই নাই ঐ ধূলি-পথ।
আখর	:	[বধূ, চ’লে যে যেত গো আমার, হিয়ার উপর দিয়া চ’লে যে যেত
		আমার, সকল জনম সফল হ’ত, চ’লে যে যেত গো]
		অনুরাগের রজ্জু দিয়া বাঁধিতাম সে-রথে
		নিয়ে যেতাম সে-রথ প্রেমপথে (ওলো ললিতে)
আখর	:	[নিয়ে যেতাম, অনুরাগ-রজ্জুতে বেঁধে,
		প্রেমের পথে, অনুরাগ-রজ্জুতে বেঁধে।

বাণী

	ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে।
(ওসে)	কোন্ অভাগা অঙ্ক-লক্ষ্মী নাম দিল এই শঙ্খ-চিলে।।
		দিন রাত্তির অঙ্ক কষে
		পান্ হতে চুন কখন্ খসে,
	স্ত্রী ব’লে আন্‌নু ঘরে শাড়ি পরা কোন্ উকিলে।।
	প্রাণ-পাখি মোর খাঁচা-ছাড়া, (এই) ঝুল্‌তি বেণীর গুল্‌তি ঢিলে’
	মাতঙ্গিনী মহিষিণী গুঁতিয়ে ফাটায় পেটের পিলে।
		যেমন বাঘ দেখে ছাগ ছুটেরে ভাই
		তেমনি কাছা খুলে পালিয়ে বেড়াই
	ওগো মাগো এসে রক্ষা কর হালুম-বাঘায় ফেল্‌ল গিলে।।

বাণী

		ও কালো শশী রে, বাজায়ো না আর বাঁশী রে।
		বাঁশী শুনিতে আসি না আমি, জল নিতে আসি হে।।
		আঁচল দিয়ে মুছি বন্ধু কাজলেরই কালি,
		যায় না মোছা তোমার কালি লাগলে বনমালী;
তোমার	বাঁশী শুনে ভেসে গেল কত রাধার মুখের হাসি রে।।
		কাল নাগিনীর ফণায় নাচো, বুঝবে তুমি কিসে,
		কত কুল-বধূ মরে ঐ বাঁশরীর বিষে (বন্ধু)
		ঘরে ফেরার পথ হারায়ে ফিরি তোমার পায়ে পায়ে,
		জলের কল্‌সি জলে ডোবে, আমি আঁখি জলে ভাসি রে।।

বাণী

ওমা	তোর চরণে কি ফুল দিলে পূজা হবে বল।
	রক্ত-জবা অঞ্জলি মোর হ’লো যে বিফল।।
		বিশ্বে যাহা আছে মাগো
		তাতেও পূজা হবে নাকো,
	তাই তো দুঃখে নয়নে মোর শুধুই আসে জল।।
	মনের কোণে অর্ঘ্য রচি’ আঁধার ঘরে একা,
	ডাকলে তোরে সকল ভুলে দিবি না তুই দেখা।
		তখন কি মা দুঃখ-হরা
		শেষ হবে না অশ্রুধারা,
	কি ফুলে তোর পূজা হবে বল — কেন করিস্ ছল।।