বাণী

ওগো	প্রিয়তম তুমি চ’লে গেছ আজ আমার পাওয়ার বহু দূরে।
তবু	মনের মাঝে বেণু বাজে সেই পুরানো সুরে সুরে॥
	বাজে মনের মাঝে বেণু বাজে
	প্রিয় বাজাতে যে বেণু বনের মাঝে আজো তার রেশ মনে বাজে॥
	তব কদম-মালার কেশরগুলি
	আজি ছেয়ে আছে ওগো পথের ধূলি,
	ওগো আজিকে করুণ রোদন তুলি’ বয় যমুনা ভাটি সুরে॥
	(আর উজান বয় না,)
	ওগো আজিকে আঁধার তমাল বনে, বসে আছি উদাস মনে
	ওগো তোমার দেশে চাঁদ উঠেছে আমার দেশে বাদল ঝুরে॥
	সেথা চাঁদ উঠেছে —
	ওগো শুল্কা তিথির চতুর্দশীর চাঁদ উঠেছে
	সেথা শুল্কা তিথির চতুর্দশীর চাঁদ উঠেছে
	সখি তাদের দেশে আকাশে আজ আমার দেশের চাঁদ উঠেছে।
	ওগো মোর গগনে কৃষ্ণা তিথি আমার দেশে বাদল ঝুরে॥

বাণী

ওলো ননদিনী বল্
কপট নিপট কালা, নিঠুর খল্॥
তার নাই ভয় নাই লজ্জা শরম
লইয়া যুবতীর ধরম গো
খেলে সে নিঠুর খেলা, চতুর চপল্॥
না শুনে লো তোদের গালি
মাখলাম কুলে কালার কালি গো
সে মুখে সরল বনমালী, অন্তরে গরল॥
তার শত জনে মন বাঁধা, রাতে চন্দ্রা দিনে রাধা
(তারে) কঠিন কথা শুনাইব চল্‌লো গোঠে চল্॥
কৃষ্ণ ব’লে অবিরত দে লো গালি পারিস যত
ননদী কয় বুঝেছি বউ (কৃষ্ণ) নাম শোনারই ছল
ও বউ কৃষ্ণ নাম তোর ভাল লাগে
তাই কৃষ্ণ (ও তোর) নাম শোনারই ছল॥

বাণী

ওমা	একলা ঘরে ডাকব না আর দুয়ার বন্ধ ক’রে। 
তুই	সকল ছেলের মা যেখানে ডাকব মা সেই ঘরে।।
	রুদ্ধ আমার একলা এ মন্দিরে,
	পথ না পেয়ে যাস্ বুঝি মা ফিরে,
মোরে	জ্যোতির্লোকে ঘুম্ পাড়িয়ে তাপিত সন্তানে নিয়ে
	মাগো কাঁদিস্ বুকে ধ’রে।।
আমি	একলা মানুষ হ’তে গিয়ে হারাই মা তোর স্নেহ,
আমি	যে ঘর যেতে ঘৃণা করি মা,-সেবি তোর গেহ।
	দুর্বল মোর ভাই বোনদের তুলে,
আমি	দাঁড়াব মা যেদিন, চরণ মূলে।
	সেদিন মা তুই আপনি এসে
	কোলেতুলে নিবি হেসে,
আর	হারাব না তোরে।।

বাণী

ওরে দেখে যা তোরা নদীয়ায়
গোরার রূপে এলো ব্রজের শ্যামরায়॥
	মুখে হরি হরি বলে
	হেলে দুলে নেচে চলে
নরনারী প্রেমে গলে ঢলে পড়ে রাঙা পায়॥
ব্রজে নূপুর পরি নাচিত এমনি হরি
কূল ভুলিয়া সবে ছুটিত এমন করি
শচীমাতার রূপে কাঁদিছে মা যশোদা
বিষ্ণু প্রিয়ার চোখে কাঁদে কিশোরী রাধা
নহে নিমাই নিতাই ও যে কানাই বলাই
শ্রীদাম সুদাম এলো জগাই মাধাই-এ হায়॥
আজ এসেছে ভূবন ভুলাতে অসি নাই বাঁশি নাই
ও ভাই এবারে শূন্য হাতে এসেছে ভুবন ভুলাতে।
ও ভাই লীলা পাগল এলো প্রেমে মাতাতে
ডুবু ডুবু নদীয়া বিশ্ব ভাসিয়া যায়॥

বাণী

ও	বৌদি তোর কি হয়েছে চোখে কেন জল
	দাদার তরে মন বুঝি তোর হয়েছে উতল।।
তোর	দিব্যি দেখেছি স্বপনে
যেন	দাদা কথা কইতেছে তোর সনে
	দেখিস তোরা আমার স্বপন হবে না বিফল।।
তোর	কান্নার সাগরে যখন উঠেছে জোয়ার
	বৌদি লো তোর চাঁদ উঠিবার নাই রে দেরি আর।
ও	বৌদি তোর চোখের জলের টানে
	আমার দাদার সোনার তরী  আসতেছে উজানে
দেখ	বাটনা ফেলে হাসছে দিদি চল ও ঘরে চল।।

বাণী

	ও মন চল অকুল পানে, মাতি হরিপ্রেম-গুণগানে।
	নদী যেমন ধায় অকূলে কূল যত তায় টানে।।
তুই	কোন্ পাহাড়ে ঠেক্‌লি এসে কোন্‌ পাথারের জল
	হরির প্রেমে গ’লে এবার সেই অসীমে চল্,
তুই	স্রোতের বেগে দুল্‌বি রে কূল-বাধা যদি হানে।।
	এ পারের সব যাত্রী যাবে তোর বুকে ওপারে
	তোর কূলে শ্যাম বাজিয়ে বাঁশি আস্‌বে অভিসারে,
	শ্যামের ছবি ধর্‌বি বুকে মাত্‌বি প্রেম-তুফানে।।