ওমা দনুজ-দলনী মহাশক্তি
বাণী
ওমা দনুজ-দলনী মহাশক্তি নমো অনন্ত কল্যাণ-দাত্রী (নমো)। পরমেশ্বরী মহিষ-মর্দিনী চরাচর-বিশ্ব-বিধাত্রী (নমো নমঃ)।। সর্বদেব-দেবী তেজোময়ী অশিব-অকল্যাণ-অসুর-জয়ী, দশভুজা তুমি মা, ভীতজন-তারিণী জননী জগৎ-ধাত্রী।। দীনতা ভীরুতা লাজ গ্লানি ঘুচাও, দলন কর মা লোভ দানবে; রূপ দাও, জয় দাও, যশ দাও, মান দাও, দেবতা কর ভীরু মানবে। শক্তি বিভব দাও, দাও মা আলোক দুঃখ-দারিদ্র্য অপগত হোক্, জীবে জীবে হিংসা, এই সংশয় (মাগো) দূর হোক পোহাক এ দুর্যোগ রাত্রি।।
ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে
বাণী
ওরে গো-রাখা রাখাল তুই কোথা হতে এলিরে আষাঢ় মাসের মেঘের বরণ কেমন ক'রে পেলি রে।। কে দিয়েছে আলতা মেখে পা'য় চলতে গেলে নূপুর বেজে যায় রে; নূপুর বেজে' যায়। তোর আদুল গায়ে বাঁধা কেন গাঁদা রঙের চেলি রে।। তোর ঢলঢলে দুই চোখে যেন নীল শালুকের কুঁড়ি রে তোরে দেখে কেন হাসে যত গোপ-কিশোরী রে। তোর গলার মালার গন্ধে আমার মন গুনগুনিয়ে বেড়ায় রে মৌমাছি যেমন রে; তুই ঘর-সংসার ভুলালি কোন মায়াতে ফেলি' রে।।
ওর নিশীথ-সমাধি ভাঙিও না
বাণী
ওর নিশীথ-সমাধি ভাঙিও না। মরা ফুলের সাথে ঝরিল যে ধূলি-পথে — সে আর জাগিবে না, তারে ডাকিও না।। তাপসিনী-সম তোমারি ধ্যানে সে চেয়েছিল তব পথের পানে, জীবনে যাহার মুছিলে না আঁখি ধার আজি তাহার পাশে কাঁদিও না।। মরণের কোলে সে গভীর শান্তিতে পড়েছে ঘুমায়ে, তোমারি তরে গাঁথা শুকানো মালিকা বক্ষে জড়ায়ে যে মরিয়া জুড়ায়েছে, ঘুমাইতে দাও তারে জাগিও না।।
ওহে রসিক রসাল কদলী
বাণী
ওহে রসিক রসাল কদলী। ভাবুকের তুমি ভাবের আধার পেটুকের প্রাণ-পুতলী।। আহা, তুমি যুগে যুগে বর্তমান বৃন্দাবনে মোহন বাঁশি বাঙলায় মর্তমান। বহুরূপী তুমি বহুনামধারী চম্প বীচে কাঁঠালি।। তোমার কাঁচকলা রূপের উপাসক পেট-রোগা যত ভক্ত, ঝোলে কি ভাজায় তোমারে সাজায় (তুমি) মজাও পলতা শুক্ত। নৈবেদ্যে ও আদ্য শ্রাদ্ধে দয়াময়, জগতের যত নর-বানর তোমার কৃপার কাঙালি।।
কৌতুক নাটিকা : ‘পণ্ডিত মশায়ের ব্যাঘ্র শিকার’
ওরে আলয়ে আজ মহালয়া
বাণী
ওরে আলয়ে আজ মহালয়া মা এসেছে ঘর। তোরা উলু দে রে, শঙ্খ বাজা, প্রদীপ তুলে ধর্।। (এলো মা, আমার মা) মাকে ভুলে ছিলাম ওরে কাজের মাঝে মায়ার ঘোরে, আজ বরষ পরে মাকে ডাকার মিলল অবসর।। মা ছিল না ব’লে সবাই গেছে পায়ে দ’লে, মার খেয়েছি যত তত ডেকেছি মা ব’লে। মা এসেছে ছুটে রে তাই ভয় নাইরে আর ভয় নাই, মা অভয়া এনেছে রে দশ হাতে তাঁর বর।।