ঐ ঘর ভুলানো সুরে
বাণী
ঐ ঘর ভোলানো সুরে কে গান গেয়ে যায় দূরে। তার সুরের সাথে সাথে মোর মন যেতে চায় উড়ে।। তা'র সহজ গলার তানে ১ সে ফুল ফোটাতে জানে, তা'র সুরে ভাটির-টানে নব জোয়ার আসে ঘুরে।। তা'র সুরের অনুরাগে বুকে প্রণয়-বেদন জাগে; বনে ফুলের আগুন লাগে, ফুল সুধায় ওঠে পুরে।। বুঝি সুর-সোহাগে ওরি, পায় যৌবন কিশোরী, হিয়া বুঁদ হয়ে গো নেশায় তার পায়ে পায়ে ঘুরে।।
১. গানে
ঐ শ্যাম মুরলী বাজায়
বাণী
রাধা : ঐ শ্যাম মুরলী বাজায়। কৃষ্ণ : রাধা রাধা বলে ডাকো বাঁশি রাধিকায়।। রাধা : এসেছি রাঙ্গা পায় বড় সাধ মনে বাঁশি শিখিব শ্যামরায়। যে বাঁশির সুরে হরি কুল ভোলে ব্রজনারী বাজাতে তেমনি বাঁশি শিখাও হে রাধিকায়।। কৃষ্ণ : তবে অধরে ধর বাঁশি রাই। রাধা : যে সুরে হে শ্যামরায় যমুনা উজান যায় ভোলে রাধা কুলমান লাজ, শুনি যে মোহন বেণু তৃণ নাহি খায় ধেনু সে সুর শিখাও ব্রজরাজ, কৃষ্ণ : বাঁশি রাধা নামে সাধা ব’লে শুধু রাধা শ্যাম-নাম কহিতে না জানে’ যতই ডাকিবে শ্যামে ততই সে রাধা নামে ফুকারিবে সুমধুর তানে।। রাধা : তাহে নাই নাই হরি বাধা, আজ আমি শ্যাম তুমি রাধা কৃষ্ণ : মুরলী হইল শেখা ঐ ডাকে কুহু কেকা রাই এসো নাচি দুঁহু আনন্দে নূপুর মধুর ছন্দে।।
‘শ্রীমতীর মুরলী শিক্ষা’
ঐ কাজল-কালো চোখ
বাণী
ঐ কাজল-কালো চোখ। আদি কবির আদি রসের যেন দু’টি শ্লোক।। দু’টি কুসুম আছে ফু’টে পুষ্প-লতার পত্র-পুটে, সেই আলোকে১ রেঙে উঠে — বনের গহন লোক।। রূপের সাগর সাঁত্রে বেড়ায় পান কৌড়ি পাখি ঐ কাজল-কালো আঁখি, মদির আঁখির নীল পেয়ালায় শরাব বিলাও নাকি, ওগো কাজল-কালো আঁখি। তোমার দু’টি আঁখি-তারা তারার মত তন্দ্রাহারা, আমার মুখে চেয়ে চেয়ে অশ্রু-সজল হোক।।
১. হাসিতে