বাণী
রাধা : ঐ শ্যাম মুরলী বাজায়। কৃষ্ণ : রাধা রাধা বলে ডাকো বাঁশি রাধিকায়।। রাধা : এসেছি রাঙ্গা পায় বড় সাধ মনে বাঁশি শিখিব শ্যামরায়। যে বাঁশির সুরে হরি কুল ভোলে ব্রজনারী বাজাতে তেমনি বাঁশি শিখাও হে রাধিকায়।। কৃষ্ণ : তবে অধরে ধর বাঁশি রাই। রাধা : যে সুরে হে শ্যামরায় যমুনা উজান যায় ভোলে রাধা কুলমান লাজ, শুনি যে মোহন বেণু তৃণ নাহি খায় ধেনু সে সুর শিখাও ব্রজরাজ, কৃষ্ণ : বাঁশি রাধা নামে সাধা ব’লে শুধু রাধা শ্যাম-নাম কহিতে না জানে’ যতই ডাকিবে শ্যামে ততই সে রাধা নামে ফুকারিবে সুমধুর তানে।। রাধা : তাহে নাই নাই হরি বাধা, আজ আমি শ্যাম তুমি রাধা কৃষ্ণ : মুরলী হইল শেখা ঐ ডাকে কুহু কেকা রাই এসো নাচি দুঁহু আনন্দে নূপুর মধুর ছন্দে।।
‘শ্রীমতীর মুরলী শিক্ষা’