ঐ জল্কে চলে লো কার ঝিয়ারি
বাণী
ঐ জল্কে চলে লো কার ঝিয়ারি। রূপ চাপে না তার নীল শাড়ি।। এমন মিঠি বিজলি দিঠি শেখালে তায় কে গো? রূপে ডুবু ডুবু রবির রঙ-ভরা ছবির, ছোঁয়াচ লেগেছে গো। মন মানে না, আর কি করি ! চলে পিছনে ছুটে’ তারি।। নাচে বুলবুলি ফিঙে ঢেউয়ে নাচে ডিঙে মাঠে নাচে খঞ্জন; তার দু’টি আঁখি-তারা নেচে হতো সারা — দেখেছে বল কোন জন? আঁখি নিল যে মোর মন্ কাড়ি’ — ঘরে থাকিতে আর নারি লো।। গোলাপ বেলী যুঁই-চামেলি - কোন্ ফুল তারি তুল্ গো তার যৌবন-নদী বয় নিরবধি ভাসায়ে দু’ কূল গো নিল ভাসায়ে প্রাণ আমারি রূপে দু’কূল–ছাপা গাঙ্ তারি।।
ঐ ঘর ভুলানো সুরে
বাণী
ঐ ঘর ভোলানো সুরে কে গান গেয়ে যায় দূরে। তার সুরের সাথে সাথে মোর মন যেতে চায় উড়ে।। তা'র সহজ গলার তানে ১ সে ফুল ফোটাতে জানে, তা'র সুরে ভাটির-টানে নব জোয়ার আসে ঘুরে।। তা'র সুরের অনুরাগে বুকে প্রণয়-বেদন জাগে; বনে ফুলের আগুন লাগে, ফুল সুধায় ওঠে পুরে।। বুঝি সুর-সোহাগে ওরি, পায় যৌবন কিশোরী, হিয়া বুঁদ হয়ে গো নেশায় তার পায়ে পায়ে ঘুরে।।
১. গানে
ঐ সর্ষে ফুলে লুটালো কার
বাণী
ঐ সর্ষে ফুলে লুটালো কার হলুদ-রাঙা উত্তরী। উত্তরী-বায় গো — ঐ আকাশ-গাঙে পাল তুলে যায় নীল সে পরীর দূর-তরী।। তা’র অবুঝ বীণার সবুজ সুরে মাঠের নাটে পুলক পুরে, ঐ গহন বনের পথটি ঘু’রে — আস্ছে দূরে কচিপাতা দূত্ ওরি।। মাঠ-ঘাট তার উদাস চাওয়ায় হুতাশ কাঁদে গগন মগন বেণুর বনে কাঁপ্চে গো তার দীঘল শ্বাসের রেশটি সঘন।। তার বেতস-লতায় লুটায় তনু দিগ্বিলয়ে ভুরুর ধনু, সে পাকা ধানের হীরক-রেণু নীল নলিনীর নীলিম-অণু — মেখেছে মুখ-বুক্-ভরি।।
ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা চির-আনন্দিতা
বাণী
ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা, চির-আনন্দিতা। যেন প্রথম কবির প্রথম লেখা কবিতা ॥ তব চরণের নূপুরধ্বনি মধুকর গুঞ্জর তোলে যে রণি, মন মোর ভোলে হেরি তোমারে যে গো ঐ যে যৌবন-গর্বিতা ॥ দোলায় দোদুল দুল তব নৃত্য আবেশে আকুল হয় মোর চিত্ত, নৃত্যশেষে তব পায়ের নূপুর গ্রহ তারকায় রয় আকাশের সুদূর, সুরলোক উর্বশী তুমি যে আমার রও চির-অনিন্দিতা ॥