বাণী

ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।
গেলেন মদিনা যবে হিজরতে হজরত
মদিনা হলো যেন খুশিতে জিন্নত,
ছুটিয়া আসিল পথে মর্দ ও আওরত
লুটায়ে পায়ে নবীর, গাহে সব উম্মত
ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।।
হাজার সে কাফের সেনা বদরে,
তিন শত তের মমিন এধারে;
হজরতে দেখিল যেই, কাঁপিয়া ডরে
কহিল কাফের সব তাজিমের স্বরে
ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।।
কাঁদিয়া কেয়ামতে গুনাহগার সব,
নবীর কাছে শাফায়তী করিবেন তলব,
আসিবেন কাঁদন শুনি সেই শাহে আরব
অমনি উঠিবে সেথা খুশির কলরব
ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।

বাণী

ঐ অভ্র-ভেদী তোমার ধ্বজা উড়্‌লে আকাশ-পথে।
মাগো, তোমার রথ আনা ঐ রক্ত-সেনার রথে।।
ললাট-ভরা জয়ের টীকা অঙ্গে নাচে অগ্নি-শিখা,
রক্তে জ্বলে বহ্নি-লিখা,
মা! ঐ বাজে তোর বিজয়-ভেরি,
নাই দেরি আর নাই মা দেরি, মুক্ত তোমার হ’তে।।
আনো তোমার বরণ-ডালা, আনো তোমার শঙ্খ, নারী!
ঐ দ্বারে মা’র মুক্তি-সেনা, বিজয়-বাজা উঠ্‌ছে তারি। ওরে ভীরু!
ওরে মরা! মরার ভয়ে যাস্‌নি তোরা;
তোদেরও আজ ডাক্‌ছি মোরা – ভাই!
ঐ খোলে রে মুক্তি-তোরণ,
আজ একাকার জীবন-মরণ মুক্ত এ ভারতে।।

বাণী

ঐ ঘর ভোলানো সুরে কে গান গেয়ে যায় দূরে। 
তার সুরের সাথে সাথে মোর মন যেতে চায় উড়ে।। 
তা'র সহজ গলার তানে ১
সে ফুল ফোটাতে জানে, 
তা'র সুরে ভাটির-টানে নব জোয়ার আসে ঘুরে।। 
তা'র সুরের অনুরাগে 
বুকে প্রণয়-বেদন জাগে; 
বনে ফুলের আগুন লাগে, ফুল সুধায় ওঠে পুরে।। 
বুঝি সুর-সোহাগে ওরি, 
পায় যৌবন কিশোরী, 
হিয়া বুঁদ হয়ে গো নেশায় তার পায়ে পায়ে ঘুরে।।

১. গানে

বাণী

ঐ, ঐ, ঐ আসে কর্ণ কৌরব সেনানী।
মহাবীর ভীষ্ম গেছে, দ্রোণ গেছে জানি।
কর্ণে বধিতে হবে, কুরুক্ষেত্র রণে।
তারপর বধিব মোরা নীচ দুযোর্ধনে।।

লেটো গান: ‘কর্ণ বধ’

বাণী

রাধা	:	ঐ শ্যাম মুরলী বাজায়।
কৃষ্ণ	:	রাধা রাধা বলে ডাকো বাঁশি রাধিকায়।।
রাধা	:	এসেছি রাঙ্গা পায় বড় সাধ মনে বাঁশি শিখিব শ্যামরায়।
		যে বাঁশির সুরে হরি কুল ভোলে ব্রজনারী
		বাজাতে তেমনি বাঁশি শিখাও হে রাধিকায়।।
কৃষ্ণ	:	তবে অধরে ধর বাঁশি রাই।
রাধা	:	যে সুরে হে শ্যামরায় যমুনা উজান যায় ভোলে রাধা কুলমান লাজ,
		শুনি যে মোহন বেণু তৃণ নাহি খায় ধেনু সে সুর শিখাও ব্রজরাজ,
কৃষ্ণ	:	বাঁশি রাধা নামে সাধা ব’লে শুধু রাধা শ্যাম-নাম কহিতে না জানে’
		যতই ডাকিবে শ্যামে ততই সে রাধা নামে ফুকারিবে সুমধুর তানে।।
রাধা	:	তাহে নাই নাই হরি বাধা, আজ আমি শ্যাম তুমি রাধা
কৃষ্ণ	:	মুরলী হইল শেখা ঐ ডাকে কুহু কেকা
		রাই এসো নাচি দুঁহু আনন্দে নূপুর মধুর ছন্দে।।

‘শ্রীমতীর মুরলী শিক্ষা’