প্রিয়তম এত প্রেম দিও না গো সহিতে পারি না আর
বাণী
প্রিয়তম, এত প্রেম দিও না গো সহিতে পারি না আর তটিনীর বুকে ঝাঁপায়ে পড়িলে কেন মহা- পারাবার।। তোমার প্রেমের বন্যায় বঁধু, হায়! দুই কুল মোর ভাঙিয়া ভাসিয়া যায়; আমি নিজেরে হারাতে চাহিনি, বন্ধু; দিতে চেয়েছিনু হার।। তুমি চাহ বুঝি তুমি ছাড়া আর রহিবে না মোর কেউ, তাই কি পরানে তুফান তোলে গো এত রোদনের ঢেউ। দেহ ও মনের সীমা ছাড়াইয়া মোরে কোথায় নিয়ে যেতে চাও মোর হাত ধরে বলো কোন মধু বনে শেষ হবে বঁধু আমাদের অভিসার।।
প্রিয় মুহরে-নবুয়ত-ধারী হে হজরত
বাণী
প্রিয় মুহরে-নবুয়ত-ধারী হে হজরত (প্রিয়) তারিতে উম্মত এলে ধরায় মোহাম্মদ মোস্তফা, আমহদ মুরতজা নাম জপিতে নয়নে আঁসু ঝরায়।। দিলে মুখে তক্বির, দিলে বুকে তৌহিদ দিলে দুঃখেরই সান্ত্বনা খুশির ঈদ দিলে প্রাণে ঈমান, দিলে হাতে কোরআন শিরে শিরতাজ নাম মুসলিম আমায়।। তব সব নসিহত মোরা গিয়াছি ভুলে শুধু নাম তব আছে জেগে প্রাণের কূলে ও-নামে এ প্রাণ-সিন্ধু তব দুলে আমি ঐ নামে ত’রে যাব, আছি আশায়।।
প্রিয় তব গলে দোলে যে হার কুড়িয়ে পাওয়া
বাণী
প্রিয় তব গলে দোলে যে হার কুড়িয়ে পাওয়া সে যে হার নহে, হৃদয় মোর হারিয়ে যাওয়া।। তোমারি মতন যেন কাহার সনে সেদিন পথে চোখাচোখি হল গোপনে মন চকিতে হরিল যে সেই চকিত চাওয়া।। ছিল চৈতালি সাঁঝ, তাহে পথ নিরালা ছিনু একেলা আমি, চলে একেলা বালা বহে ঝিরিঝিরি ধীরি-ধীরি চিতী হাওয়া চাহিল সে মুখে মোর ঘোমটা তুলে তার নয়নে ও ঘটে জল উঠিল দুলে চেয়ে দেখি মোর আঁখি সলিল ছাওয়া।।
পরজনমে যদি আসি এ ধরায়
বাণী
পরজনমে যদি আসি এ ধরায়। ক্ষণিক বসন্ত যেন না ফুরায়॥ মিলনে নাহি যেন রহে অবসাদ১ ক্ষয় নাহি হয় যেন চৈতালি-চাঁদ, কণ্ঠ-লগ্ন মোর প্রিয়ার বাহু খুলিয়া২ না পড়ে যেন, নিশি না পোহায়॥ বাসি নাহি হয় যেন রাতের মালা, ভরা থাকে যৌবন-রস-পেয়ালা। জীবনে না রহে যেন মরণ-স্মৃতি পুরাতন নাহি হয় প্রেম-প্রীতি, রবে অভিমান রহিবে না বিরহ, ফিরে যেন আসে প্রিয়া মাগিয়া বিদায়॥
১. মিলনে যেন নাহি আসে অবসাদ, ২. ঢলিয়া
পরমাত্মা নহ তুমি মোর
বাণী
পরমাত্মা নহ তুমি মোর (তুমি) পরমাত্মীয় মোর। হে বিপুল বিরাট! মোর কাছে তুমি, প্রিয়তম চিতচোর॥ তোমারে যে ভয় করে হে বিশ্বত্রাতা তার কাছে তুমি রুদ্র দন্ডদাতা, প্রেমময় বলে তোমারে যে বাসে ভালো তার কাছে তুমি মধুর লীলা কিশোর॥ দ্যাখে ভীরু চোখ আষাঢ়ের মেঘে বজ্র তব বিপুল, মোর মালঞ্চে সেই মেঘে হেরি, ফোটায় নবমুকুল। আকাশের নীল অসীম পদ্ম পরে চরণ রেখেছ, হে মহান লীলা ভরে সেই অনন্ত জানি না কেমন ক’রে আমার হৃদয়ে খেল দিবানিশি ভোর॥