পরি জাফরানি ঘাগরি চলে শিরাজের পরী
বাণী
পরি’ জাফরানি ঘাগরি চলে শিরাজের পরী ইরানি কিশোরী হেসে’ হেসে’।। চপল চটুল রঙ্গে রঙ্গিলা নৃত্য বিভঙ্গে চলিছে সহেলি এলোকেশে।। পাপিয়া পিয়া পিয়া ডকে শাখে — পিয়া পিয়া পিয়া পিয়া কাহারে ভালোবেসে।। মনে সে শিরাজির নেশা লাগায় আঁখি-ইঙ্গিতে গোলাপ ফোটায়। তারি সুরে রহি’ রহি’ বিরহীর রবাব ঝুরে বুলবুলি পথ ভুলি’ ইহারি লাগি’ এলো এ দেশে।।
পথিক বন্ধু এসো এসো পাপড়ি ছাওয়া পথ বেয়ে
বাণী
পথিক বন্ধু এসো এসো পাপড়ি ছাওয়া পথ বেয়ে। মন হয়েছে উতলা গো তোমার আসার পথ চেয়ে।। আকাশ জুড়ে আলোর খেলা বসুন্ধরায় ফুলের মেলা রঙিন মেঘের ভাসলো ভেলা তোমারই আসার আভাস পেয়ে।। সাধ জাগে ঐ পথে তোমার পেতে রাখি মন প্রাণ চলতে গিয়ে দলবে তা’রে চরণ ছোঁয়া করিবে দান। তোমার ধ্যানে, হে রাজাধিরাজ সাজ ভুলেছি ভুলেছি কাজ আসবে তুমি সেই খুশিতে আছে আমার মন ছেয়ে।।
পান্সে জোছ্নাতে কে চল গো
বাণী
পান্সে জোছ্নাতে কে চল গো পানসি বেয়ে’। ঢেউ-এর তালে তালে বাঁশিতে গজল গেয়ে’।। মেঘের ফাঁকে ফোটে বাঁকা শশীর চিকন হাসি, উজান বেয়ে চল তুমি কি তার চোখে চেয়ে।। ও-পারে লুকায়ে আঁধার গভীর ঘন বন-ছায়, আকাশে হেলান দিয়ে আলসে পাহাড় ঘুমায়। ঘুমায়ে দূরে সে কোন গ্রাম বাসরে পল্লী-বধূর প্রায় এ-পারে ধূ-ধূ বালুচর যেন নদীর আঁচল লুটায়। ছাড়ি’ এ সুখ-বাস চলেছ কোথায় গো নেয়ে।। নদীর দু’তীরে টানে বেতস-লতা উত্তরীয়, চমকি’ উঠি’ চখি ডাকে মুহু মুহু ‘কিও!’ চকোরী চাঁদে ভুলি’ চাহে তব মুখপানে, কেঁদে পাপিয়া শুধায়, ‘পিউ কাঁহা, কাঁহা পিও।’ তুমি যাও আপন-বিভোল স্বপনে নয়ন ছেয়ে’।।
প্রভু তোমাতে যে করে প্রাণ নিবেদন
বাণী
প্রভু তোমাতে যে করে প্রাণ নিবেদন ভয় নাহি আর তার শত সে বিপদে আপদে তাহার হাত ধরে কর পার॥ তার দুঃখে শোকে ভাবনায় ভয়ে তব নাম রাজে সান্ত্বনা হয়ে পার হয়ে যায় তব নাম লয়ে দুস্তর পারাবার॥ ঝড় ঝঞ্ঝায় প্রাণ শিখা তার শান্ত অচঞ্চল টলমল করে রূপে রসে তার জীবনের শতদল। যেমন পরম র্ভিরতায় শিশু তার মার বক্ষে ঘুমায় তোমারে যে পায় সে জন তেমনি ডরে নাহি সংসার॥