বাণী

পিয়াল ফুলের পিয়ালায় বঁধু অন্তর-মধু ঢেলে পিয়াব তোমায়।
রচিব হৃদয়ে মাধবী-কুঞ্জ বাহিরে ফাগুন যদি যেতে চায়।।
		বেল-ফুল যায় যদি ঝুরে
		প্রেম-ফুল দিব ডালি ভ’রে,
নিশি জেগে আমি গান শোনাব বনের বিহগ যদি মাগে বিদায়।।
		আর যদি নাহি বহে দখিনা বাতাস
	(বঁধু)	অঞ্চল আছে মোর, আছে কেশ-পাশ,
যায় যদি যাক্ ডুবে চৈতালী চাঁদ আমার চাঁদ যেন চ’লে নাহি যায়।

বাণী

পতিত উধারণ জয় নারায়ণ
কমলাপতে জয় ভ্যত্ত্‌ব-ভ্যয়-হ্যর‍্যণ
জয় জ্যগদীশ হ্যরে।।

নাটিকাঃ ‘জন্মাষ্টমী’

বাণী

		পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া
		যাও রে বইয়া এই গরিবের সালামখানি লইয়া।।
		কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই
		সারা জনম সাধ ছিল যে মদিনাতে যাই (রে ভাই)
		মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।।
(তোমার)	পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি
		লইয়া যাও রে এই নিরাশের, দীর্ঘ নিশাসখানি।
		নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।।
		মা ফাতেমা হজরত আলীর মাজার যথায় আছে
আমার	সালাম দিয়া আইস তাদের পায়ের কাছে (রে ভাই!)
		কাবায় মোনাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।

বাণী

পলাশ ফুলের গেলাস ভরি’ পিয়াব অমিয়া তোমারে প্রিয়া
চাঁদিনী রাতের চাঁদোয়া তলে বুকের আঁচল দিব পাতিয়া।।
নয়ন-মণির মুকুরে তোমার দুলিবে আমার সজল ছবি
সবুজ ঘাসের শিশির ছানি মুকুতা মালিকা দিব গাঁথিয়া।।
		ফিরোজা আকাশ আবেশে ঝিমায়
		দীঘির বুকে কমল ঘুমায়
নীরব যখন পাখির কূজন আমরা দু’জন রব জাগিয়া।।

বাণী

পরজনমে যদি আসি এ ধরায়।
ক্ষণিক বসন্ত যেন না ফুরায়॥
মিলনে নাহি যেন রহে অবসাদ১
ক্ষয় নাহি হয় যেন চৈতালি-চাঁদ,
কণ্ঠ-লগ্ন মোর প্রিয়ার বাহু
খুলিয়া২ না পড়ে যেন, নিশি না পোহায়॥
বাসি নাহি হয় যেন রাতের মালা,
ভরা থাকে যৌবন-রস-পেয়ালা।
জীবনে না রহে যেন মরণ-স্মৃতি
পুরাতন নাহি হয় প্রেম-প্রীতি,
রবে অভিমান রহিবে না বিরহ,
ফিরে যেন আসে প্রিয়া মাগিয়া বিদায়॥

১. মিলনে যেন নাহি আসে অবসাদ, ২. ঢলিয়া

বাণী

প্রিয় যাই যাই ব’লো না, না না না
আর ক’রো না ছলনা, না না না॥
আজো মুকুলিকা মোর হিয়া মাঝে
না-বলা কত কথা বাজে,
অভিমানে লাজে বলা যে হ’ল না॥
কেন শরমে বাধিল কে জানে
আঁখি তুলিতে নারিনু আঁখি পানে।
প্রথম প্রণয়-ভীরু কিশোরী
যত অনুরাগ তত লাজে মরি,
এত আশা সাধ চরণে দ’লো না॥