বাণী

প্রাণে জাগে হিন্দোল গানে জাগে হিল্লোল,
প্রেমের চামেলি বনে জাগিল মুকুল্।
মনের গোপন রাগে রঙিন স্বপন জাগে,
ফুল-ভরা গুল্‌বাগে বুলে বুল্‌বুল্‌।।
রূপে ধরা ঝলমল্ রসে ভরা টলমল্,
ঢলো ঢলো অনুরাগে আঁখি ঢুলুঢুল্।
পাপিয়ার কলগানে কোকিলের কুহুতানে,
যৌবনে মৌবনে দিল্ মস্‌গুল।।

রেকর্ড নাটিকাঃ কাফন-চোরা

বাণী

পথিক ওগো চল্‌তে পথে
	তোমায় আমায় পথের দেখা।
ঐ দেখাতে দুইটি হিয়ায়
	জাগ্‌ল প্রেমের গভীর রেখা।।
এই যে দেখা শরৎ-শেষে
পথের মাঝে অচিন্‌ দেশে,
কে জানে ভাই কখন কে সে
	চল্‌ব আবার পথটি একা।।
এই যে মোদের একটু চেনার
	আবছায়াতেই বেদন জাগে
ফাগুন হাওয়ার মদির ছোঁওয়া
	পূবের হাওয়ার কাঁপন লাগে।
হয়ত মোদের শেষ দেখা এই
এম্‌নি ক’রে পথের বাঁকেই
রইল স্মৃতি চারটি আঁখেই
	চেনার বেদন নিবি লেখা।।

বাণী

(প্রভু)		রাখ এ মিনতি ত্রিভুবন-পতি তব পদে মতি।
		আঁখির আগে যেন সদা জাগে তব ধ্রুব-জ্যোতি।।
			সংসার মরুমাঝে তুমি মেঘ-মায়া,
			বিষাদ-শোক তাপে তুমি তরু-ছায়া,
		সান্ত্বনা দাতা তুমি দুঃখ ত্রাতা অগতির গতি।।
		জননীর মত আছ ঊর্ধ্বে জাগি
		জলে স্থলে শূন্যে অগণিত তব দান মোদের লাগি।
			ঝঞ্ঝার মাঝে তব বিষাণ বাজে,
			সহসা ঢলি পড় বনে ফুল-সাজে,
		কোমলে কঠোরে হে প্রভু বিরাজে তব মহাশক্তি।।

১. দোলে কালো নিশার কোলে / আলো-উষসী / তিমির তলে তব তিলক জ্বলে / ঐ পূর্ণ শশী।

বাণী

	পুব সাগরে ডুব দিয়ে ঐ সোনার রবি উঠ্ল রে।
	রাতের চোখের অশ্রু ঝ’রে কুসুম হয়ে ফুট্ল রে।।
		যাত্রী ওরে যেতে হবে
		গভীর ব্যথা পেতে হবে,
তাই	মিলন রাতের বালুর মালা জাগরণে টট্ল রে।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (ঘুমপরীর গান)

বাণী

পিয়াল তরুতে হেরিয়াছিল প্রিয়া তোমার দীঘল তনু।
ফুল-ভারনত শাখাতে তাহার বাঁকা তব ভুরু-ধনু।।

নাটিকা: ‘লায়লী-মজনু’ (মজনু গান)

বাণী

প্রিয় কোথায় তুমি কোন গহনে
কোন ধ্রুবলোকে কোন দূর গগনে।।
খোঁজে কানন তোমায় মেলি' কুসুম-আঁখি,
'তুমি কোথায়' বলি' ডাকে বনের পাখি।
আছ ঠকুর হয়ে কোন দেবালয়ে
কোন শ্রাবন-মেঘে দখিনা পবনে।।
সিন্ধু-বুকে মুখে লুকায়ে নদী
'তুমি কোথায়' বলি' কাঁদে নিরবধি।
	জ্বালি' তারার বাতি
	খোঁজে আঁধার রাতি,
তোমায় খুঁজিয়া নিভিল জ্যোতি মোর নয়নে।।