বাণী

পাষাণ-গিরির বাঁধন টুটে নির্ঝরিণী আয় নেমে আয়।
ডাকছে উদার নীল-পারাবার আয় তটিনী আয় নেমে আয়।।
	বেলাভূমে আছড়ে প’ড়ে
	কাঁদছে সাগর তোরই তরে,
তরঙ্গেরি নূপুর প’রে জল-নটিনী আয় নেমে আয়।।
দুই ধারে তোর জল ছিটিয়ে, ফুল ফুটিয়ে আয় নেমে আয়,
শ্যামল-তৃণে চঞ্চল-অঞ্চল লুটিয়ে আয় নেমে আয়।।
	ডাগর তোর চোখের চাওয়ায়
	সাগর-জলে জোয়ার জাগায়,
সেই নয়নের স্বপন দিয়ে বন-হরিণী আয় নেমে আয়।।

১. সজল যে

বাণী

প্রিয় এমন রাত যেন যায় না বৃথাই
পরি চাঁপা ফুলের শাড়ি খয়েরিটিপ,
জাগি বাতায়নে জ্বালি আঁখি প্রদীপ,
মালা চন্দন দিয়ে মোর থালা সাজাই।।
তুমি আসিবে বলে সুদূর অতিথি
জাগে চাঁদের তৃষা লয়ে কৃষ্ণা তিথি,
কভু ঘরে আসিকভু বাহিরে চাই।।
আজি আকাশে বাতাসে কানাকানি,
জাগে বনে বনে নবফুলের বাণী,
আজি আমার কথা যেন বলিতে পাই।।

বাণী

পিয়া গেছে কবে পরদেশ পিউ কাঁহা ডাকে পাপিয়া,
দোয়েল শ্যামার শিসে তারি হুতাশ উঠিছে ছাপিয়া।।
	পাতারি আড়ালে মুখ ঢাকি'
	মুহুমুহু কুহু ওঠে ডাকি,
বাজে ধ্বনি তারি উহু উহু বিরহী পরাণ ব্যাপিয়া।।
	'বউ কথা কও' পাখি ডাকে —
	কেন মনে প'ড়ে যায় তাকে,
কথা কও বউ — ডাকিত সে মোরে, নিশীথ উঠিত কাঁপিয়া।।

বাণী

	পদ্মদীঘির ধারে ধারে ঐ সখি লো কমল-দীঘির পারে।
	আমি জল নিতে যাই সকাল সাঁঝে সই,
সখি, 	ছল ক'রে সে মাছ ধরে, আর, চায় সে বারে বারে।।
	মাছ ধরে সে, বঁড়শী আমার বুকে এসে বেঁধে,
			ওলো সই বুকে এসে বেঁধে,
আর,	চোখের জল কলসি আমার সই, আমি ভরাই কেঁদে কেঁদে
				সই যত দেখি তা'রে।।
	ছিপ নিয়ে যায় মাছ জলে তার (ওলো সই) তাকায় না তা’র পানে
	মন ধরে না মীন ধরে সে সখি লো সেই জানে।
	মন-ভিখারি মীন-শিকারি মুখের পানে চায়,
			সখি লো চোখের পানে চায়,
আমি	বঁড়শী-বেঁধা মাছের মত (গো)
			সখি ছুটিয়া মরি হায়, অকূল পাথারে।।

বাণী

পথহারা পাখি কেঁদে ফিরে একা
আমার জীবনে শুধু আঁধারের লেখা।।
বাহিরে অন্তরে ঝড় উঠিয়াছে
আশ্রয় যাচি হায় কাহার কাছে
	বুঝি দুখ-নিশি মোর
	হবে না হবে না ভোর
ফুটিবে না আশার আলোক রেখা।।

নাটকঃ ‘সিরাজদ্দৌলা’

বাণী

পলাশ-মঞ্জরি পরায়ে দে লো মঞ্জুলিকা
আজি রসিয়ার রাসে হবো আমি নায়িকা লো মঞ্জুলিকা।।
কৃষ্ণচূড়ার সাথে রঙ্গনে অশোকে
বুলালো রঙের মোহন তুলিকা লো মঞ্জুলিকা।।
	মাদার শিমুল ফুলে
	রঙিন পতাকা দোলে
জ্বলিছে মনে মনে আগুন শিখা লো মঞ্জুলিকা।।