রাঙামাটির পথে লো
বাণী
রাঙামাটির পথে লো মাদল বাজে, বাজে বাঁশের বাঁশি, বাঁশি বাজে বুকের মাঝে লো, মন লাগে না কাজে লো, রইতে নারি ঘরে ওলো প্রাণ হলো উদাসী লো।। মাদলীয়ার তালে তালে অঙ্গ ওঠে দুলে লো, দোল লাগে শাল পিয়াল বনে, নোটন খোঁপার ফুলে লো, মহুয়া বনে লুটিয়ে পরে মাতাল চাঁদের হাসি লো।। চোখে ভালো লাগে যাকে, তারে দেখবো পথের বাঁকে, তার চাঁচড় কেশে বেঁধে দেবো ঝুমকো জবার ফুল তার গলার মালার কুসুম কেড়ে করব কানের দুল। তার নাচের তালের ইশারাতে বলবো ভালোবাসি লো।।
রাঙা জবার বায়না ধ’রে আমার কালো মেয়ে কাঁদে
বাণী
রাঙা জবার বায়না ধ’রে আমার কালো মেয়ে কাঁদে সে তারার মালা সরিয়ে ফেলে এলোকেশ নাহি বাঁধে॥ পলাশ অশোক কৃষ্ণচূড়ায়, রাগ ক’রে সে পায়ে গুঁড়ায় সে কাঁদে দু’হাত দিয়ে ঢেকে যুগল আঁখি সূর্য চাঁদে॥ অনুরাগের রাঙাজবা থাক না মোর মনের বনে আমার কালো মেয়ের রাগ ভাঙাতে ফিরি জবার অন্বেষণে। মা’র রাঙা চরণ দেখতে পেয়ে, বলি এই যে জবা হাবা মেয়ে (সে) জবা ভেবে আপন পায়ে উঠলো নেচে মধুর ছাঁদে॥
রহি' রহি' কেন আজো সেই মুখ মনে পড়ে
বাণী
রহি' রহি' কেন আজো সেই মুখ মনে পড়ে। ভুলিতে তা'য় চাহি যত, তত স্মৃতি কেঁদে মরে।। দিয়েছি তাহারে বিদায় ভাসায়ে নয়ন-নীরে, সেই আঁখি-বারি আজো মোর নয়নে ঝরে।। হেনেছি যে অবহেলা পাষাণে বাঁধিয়া হিয়া, তারি ব্যথা পাষাণ সম রহিল বুকে চাপিয়া। সেই বসন্ত ও বরষা আসিবে গো ফিরে ফিরে, আসিবে না আর ফিরে অভিমানী মোর ঘরে।।
রুম্ ঝুম্ ঝুম্ বাদল নূপুর বোলে
বাণী
রুম্ ঝুম্ ঝুম্ বাদল নূপুর বোলে বোলে, তমাল বরণী কে নাচে, কে নাচে গগন কোলে।। তার অঙ্গের লাবনি যেন ঝরে অবিরল হয়ে শীতল মেঘলা মতির ধারা জল। কদম ফুলের পীত উত্তরী তার পূব হাওয়াতে দোলে।। বিজলি ঝিলিকে কার বনমালার আভাস জাগে বন কুন্তলা ধরা হলো শ্যাম মনোহরা তাহারি অনুরাগে। কারে হেরি পাপিয়া পিয়া পিয়া কহে সাগর কাঁদে নদী জল বহে ময়ূর-ময়ূরী বন-শবরী নাচে ট’লে ট’লে।।
বেতার গীতিকা: ‘বর্ষা মোদের প্রাণ’
রাখিস্নে ধরিয়া মোরে ডেকেছে মদিনা
বাণী
রাখিস্নে ধরিয়া মোরে, ডেকেছে মদিনা আমায়। আরাফাত্ময়দান হতে তারি তক্বীর শোনা যায়।। কেটেছে পায়ের বেড়ি, পেয়েছি আজাদী ফরমান, কাটিল জিন্দেগী বৃথাই দুনিয়ার জিন্দান-খানায়।। ফুটিল নবীর মুখে যেখানে খোদার বাণী উঠিল প্রথম তক্বীর ‘আল্লাহ্ আকবর’ ধ্বনি, যে দেশে পাহাড়ে মুসা দেখিল খোদার জ্যোতি — রব না দারুল হরবে যেতে দে যেতে দে সেথায়।। যে দেশে ধূলিতে আছে হজরতের চরণ-ধূলি সে ধূলি করিব সুরমা চুমিব নয়নে তুলি’, যে দেশের মাটিতে আছে নবীজীর মাজার শরিফ — নবীজীর দেহের পুষ্প ভাসে রে যে দেশের হাওয়ায়।।