রস-ঘনশ্যাম-কল্যাণ-সুন্দর
বাণী
রস-ঘনশ্যাম-কল্যাণ-সুন্দর। প্রশান্ত সন্ধ্যার উদার শান্তি দাও — শ্রান্ত মনের ভার হর, হে গিরিধর।। যে নিবিড় সমাধির গভীর আনন্দে হিমালয় লীলায়িত নীরব ছন্দে, সেই মহাযোগে কর মোরে মগ্ন — যে মহাভাবে ভোর মৌন নীলাম্বর।। অপগত-দুখশোক নিশীথ সুষুপ্তির মাঝে, নিথর সিন্ধুর অতল তলে যে শান্ত বিরাজে। যে সুধা লভিয়া ঋষি মধুছন্দা আনিল বেদবাণী অলকানন্দা অন্তরে বাহিরে সেই অমৃত দাও — কর পুরুষোত্তম অজর অমর।।
রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে
বাণী
রাস-মঞ্চে দোল-দোল লাগে রে, জাগে ঘূর্ণি-নৃত্যের দোল। আজি রাস-নৃত্য নিরাশ চিত্ত জাগো রে, চল যুগলে যুগলে বন-ভবনে - আনো নিথর হেমন্ত হিম পবনে চঞ্চল হিল্লোল॥ শতরূপে প্রকাশ আজি শ্রী হরি, শত দিকে শত সুরে বাজে বাঁশরি - সকল গোপিনী আজি রাই কিশোরী, - যাবে তৃষ্ণা, পাবে কৃষ্ণের কোল॥ তরল তাল ছন্দ-দুলাল নন্দ-দুলাল নাচে রে, অপরূপ রঙ্গে নৃত্য-বিভঙ্গে অঙ্গের পরশ যাচে রে; মানস-গঙ্গা অধীর-তরঙ্গা প্রেমের-যমুনা হ’ল রে উতরোল॥
রিম্ ঝিম্ রিম্ঝিম্ ঝিম্ ঘন দেয়া বরষে
বাণী
রিম্ ঝিম্ রিম্ঝিম্ ঝিম্ ঘন দেয়া বরষে। কাজরি নাচিয়া চল, পুর-নারী হরষে।। কদম তমাল ডালে দোলনা দোলে কুহু পাপিয়া ময়ূর বোলে, মনের বনের মুকুল খোলে নট-শ্যাম সুন্দর মেঘ পরশে।। হৃদয়-যমুনা আজ কূল জানে না গো, মনের রাধা আজ বাধা মানে না গো। ডাকিছে ঘর-ছাড়া ঝড়ের বাঁশি অশনি আঘাত হানে দুয়ারে আসি’, গরজাক গুরুজন ভবনবাসী — আমরা বাহিরে যাব ঘনশ্যাম দরশে।।
নাটকঃ ‘অর্জুন বিজয়’
রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল
বাণী
রাধা শ্যাম কিশোর প্রিয়তম কৃষ্ণগোপাল বনমালী ব্রজের রাখাল। কৃষ্ণ গোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল কভু শ্যাম রাঘব, কভু শ্যাম মাধব, কভু সে কেশব যাদব ভূপাল॥ যমুনা বিহারী মুরলীধারী, বুন্দাবনে সখা গোপী মনহারী, কভু মথুরাপতি কভু পার্থসারথি কভু ব্রজে যশোদা আনন্দ দুলাল॥ দোলে গলে তাহার মন বন ফুলহার, বাজে চরণে নূপুর গ্রহ তারকার কোটি গ্রহ তারকার। কালিয়-দমন কভু, করাল মুরারি কাননচারী শিখী পাখা ধারী; শ্যামল সুন্দর গিরিধারীলাল। কৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল শ্রীকৃষ্ণগোপাল॥
রব না কৈলাশপুরে আই য়্যাম
বাণী
রব না কৈলাশপুরে আই য়্যাম ক্যালকাটা গোয়িং। যত সব ইংলিশ ফ্যাশান আহা মরি কি লাইটনিং।। ইংলিশ ফ্যাশান সবই তার মরি কি সুন্দর বাহার, দেখলে বন্ধু দেয় চেয়ার — কাম-অন ডিয়ার গুড মর্নিং।। বন্ধু আসিলে পরে হাসিয়া হান্ডসেক করে, বসায় তারে রেসপেক্ট করে — হোল্ডিং আউট এ মিটিং।। তারপর বন্ধু মিলে ড্রিংকিং হয় কৌতুহলে, খেয়েছ সব জাতিকুলে — নজরুল এসলাম ইজ টেলিং।।
‘লেটো গান’