রক্ষা-কালীর রক্ষা-কবচ আছে আমায় ঘিরে
বাণী
রক্ষা-কালীর রক্ষা-কবচ আছে আমায় ঘিরে মায়ের পায়ের ফুল কুড়িয়ে বেঁধেছি মোর শিরে॥ মা’র চরণামৃত খেয়ে অমৃতে প্রাণ আছে ছেয়ে, দুঃখ অভাব ভাবনার ভার দিয়েছি মা ভবানীরে॥ তারা নামের নামাবলী জড়িয়ে আমার বুকে, মায়ের কোলে শিশুর মত ঘুমাই পরম সুখে। মা’র ভক্তের চরণ ধূলি নিয়েছি মোর বক্ষে তুরি মায়ের পূজার প্রসাদ পেতে আমি আসি ফিরে ফিরে॥
রিম্ ঝিম্ রিম্ঝিম্ ঝিম্ ঘন দেয়া বরষে
বাণী
রিম্ ঝিম্ রিম্ঝিম্ ঝিম্ ঘন দেয়া বরষে। কাজরি নাচিয়া চল, পুর-নারী হরষে।। কদম তমাল ডালে দোলনা দোলে কুহু পাপিয়া ময়ূর বোলে, মনের বনের মুকুল খোলে নট-শ্যাম সুন্দর মেঘ পরশে।। হৃদয়-যমুনা আজ কূল জানে না গো, মনের রাধা আজ বাধা মানে না গো। ডাকিছে ঘর-ছাড়া ঝড়ের বাঁশি অশনি আঘাত হানে দুয়ারে আসি’, গরজাক গুরুজন ভবনবাসী — আমরা বাহিরে যাব ঘনশ্যাম দরশে।।
নাটকঃ ‘অর্জুন বিজয়’
রাত্রি-শেষের যাত্রী আমি
বাণী
রাত্রি-শেষের যাত্রী আমি যাই চ’লে যাই একা। শুকতারাতে রইল আমার চোখের জলের লেখা।। ফোটার আগে ঝরে যে ফুল সঙ্গী আমার সেই সে-মুকুল, ছায়াপথে জাগে আমার বিদায় পথ-রেখা।। অনেক ছিল আশা আমার অনেক ছিল সাধ, ব্যর্থ হ’ল না পেয়ে কা’র আাঁখির পরসাদ। দীপ নেভানো শূন্য ঘরে এসো না আর খুঁজতে মোরে, তারার দেশে চন্দ্রলোকে হবে আবার দেখা।।