বাণী

স্বাগতা কনক-চম্পক বর্ণা।
ছন্দিতা চপল নৃত্যের ঝর্না।।
মঞ্জুলা বিধুর যৌবন-কুঞ্জে
যেন ও-চরণ-নূপুর গুঞ্জে,
মন্দিরা মুরলী-শোভিত হাতে
এসো গো বিরহ-নীরস-রাতে,
হে প্রিয়া করিব প্রাণ অপর্ণা।।

বাণী

সজল হাওয়া কেঁদে বেড়ায় কাজল আকাশ ঘিরে,
			তুমি এসো ফিরে।
উঠ্‌ছে কাঁদন ভাঙন-ধরা নদীর তীরে তীরে,
			তুমি এসো ফিরে।।
	বন্ধু তব বিরহেরি
	অশ্রু ঝরে গগন ঘেরি’
লুটিয়ে কাঁদে বনভূমি অশান্ত সমীরে।।
আকাশ কাঁদে, আমি কাঁদি বাতাস কেঁদে সারা,
তুমি কোথায়, কোথায় তুমি পথিক পথহারা।
	দুয়ার খুলে নিরুদ্দেশে
	চেয়ে আছি অনিমেষে,
আঁচল ঢেকে রাখবো কত আশার প্রদীপটিরে।

বাণী

সেদিন প্রভাতে অরুণ শোভাতে হেসেছ বুকে মোর মধু-হাসিনী।
পরেছ গলায় আমার দেওয়া ফুল সে কি গো সবি ভুল বিজন-বাসিনী।।
		যেচেছ কত না আদর সোহাগ
		ক্ষণে অভিমান ক্ষণে অনুরাগ,
কত প্রিয় নামে ডেকেছ আমায় সে কি গো গেছ ভুলে মধুভাষিণী।।
		আমার সাধ-আশ-সাধনা-সুখ-হাসি
		তোমার সনে প্রিয় সকলি গেছে ভাসি,
কেন ফেলে দিলে নিরাশার কূলে, কোন্ অপরাধে বল উদাসিনী।।

বাণী

(প্রিয়া) স্বপনে এসো নিরজনে।
(প্রিয়া) আধো রাতে চাঁদের সনে।।
	রহিব যখন মগন ঘুমে
	যেয়ো নীরবে নয়ন চুমে’,
মধুকর আসে যেমন গোপনে মল্লিকা চামেলি বনে।।
	বাতায়নে চাঁপার ডালে
	এসো কুসুম হয়ে নিশীথ কালে,
ভীরু কপোতী সম এসো হৃদয়ে মম বাহুর মালা হয়ে বাসর শয়নে।।

বাণী

সন্ধ্যা–গোধূলি লগনে কে
রাঙিয়া উঠিলে কারে দেখে।।
হাতের আলতা পড়ে গেল পায়ে
অস্ত–দিগন্ত বনান্ত রাঙায়ে,
আঁখিতে লজ্জা, অধরে হাসি —
কেন অঞ্চলে মালা ফেলিলে ঢেকে।।
চিরুনি বিনোদ বিনুনীতে বাঁধে
দেখিলে সে কোন সুন্দর চাঁদে,
হৃদয়ে ভীরু প্রদীপ শিখা
কাঁপে আনন্দে থেকে থেকে।।

বাণী

সংসারেরি দোলনাতে মা ঘুম পাড়িয়ে কোথায় গেলি?
আমি অসহায় শিশুর মত ডাকি মা দুই বাহু মেলি’।।
	অন্য শক্তি নাই মা তারা
	‘মা’ বুলি আর কান্না ছাড়া,
তোরে না দেখলে কেঁদে উঠি, আবার কোল পেলে মা হাসি খেলি।।
(ও মা) ছেলেকে তোর তাড়ন করে মায়ারূপী সৎমা এসে।
আবার ছয় রিপুতে দেখায় মা ভয় পাপ এলো পুতনার বেশে।১
	মরি ক্ষুধা তৃষ্ণাতে মা
	শ্যামা আমার কোলে নে মা।
আমি ক্ষণে চমকে উঠি ভাবি দয়াময়ী মা কি এলি।।

১. পাপবর্গী এলো দেশে।