বাণী

স্বপ্নে দেখি একটি নতুন ঘর
তুমি আমি দু’জন প্রিয় তুমি আমি দু’জন।
বাহিরে বকুল-বনে কুহু পাপিয়া করে কুজন।।
		আবেশে ঢুলে’ ফুল-শয্যায় শুই
		মুখ টিপে হাসে মল্লিকা যুঁই
কানে কানে গানে গানে কহে ‘চিনেছি উতল সমীরণ’।।
পূর্ণিমা চাঁদ কয়, গান আর সুর, চঞ্চল ওরা দু’জন
প্রেম-জ্যোতি আনন্দ-আঁখিজল, ছল ছল ওরা দু’জন।
মৌমাছি কয়, গুন্‌ গুন্‌ গান গাই
মুখোমুখি দু’জনে সেইখানে যাই
শারদীয়া শেফালি গায়ে পড়ে কয় —
‘ব্রজের মধুবন — এই তো ব্রজের মধুবন’।।

বাণী

সৈয়দে মক্কী মদনী আমার নবী মোহাম্মদ
করুণা-সিন্ধু খোদার বন্ধু নিখিল মানব-প্রেমাস্পদ।।
আদম নূহ, ইব্রাহিম দাউদ সোলেয়মান মুসা আর ঈসা,
সাক্ষ্য দিল আমার নবীর, সবার কালাম হ'ল রদ।
যাঁহার মাঝে দেখল জগৎ ইশারা খোদার নূরের,
পাপ-দুনিয়ায় আনলো যে রে, পুণ্য বেহেশতী সনদ।।
হায় সিকান্দর খুঁজল বৃথাই আব-হায়াত এই দুনিয়ায়
বিলিয়ে দিল আমার নবী, সে সুধা মানব সবায়।
হায় জুলেখা মজল ঐ ইউসুফেরই রূপ দেখে,
দেখলে মোদের নবীর সুরত, যোগীন হত ভসম মেখে'।
শুনলে নবীর শিঁরিন জবান, দাউদ মাগিত মদদ।।
ছিল নবীর নূর পেশানিতে, তাই ডুবল না কিস্তি নূহের
পুড়ল না আগুনে হযরত ইব্রাহিম সে নমরুদের
হায়, দোজখ আমার হারাম হ'ল পিয়ে কোরানের শিঁরিন শ্যহদ।।

বাণী

স্বাগতা কনক-চম্পক বর্ণা।
ছন্দিতা চপল নৃত্যের ঝর্না।।
মঞ্জুলা বিধুর যৌবন-কুঞ্জে
যেন ও-চরণ-নূপুর গুঞ্জে,
মন্দিরা মুরলী-শোভিত হাতে
এসো গো বিরহ-নীরস-রাতে,
হে প্রিয়া করিব প্রাণ অপর্ণা।।

বাণী

সুরে ও বাণীর মালা দিয়ে তুমি আমারে ছুঁইয়াছিলে।
অনুরাগ–কুম্কুম দিলে দেহে মনে, বুকে প্রেম কেন নাহি দিলে।।
বাঁশি বাজাইয়া লুকালে তুমি কোথায় —
যে ফুল ফোটালে সে ফুল শুকায়ে যায়
কী যেন হারায়ে প্রাণ করে হায় হায় —
কী চেয়েছিলে — কেন কেড়ে নাহি নিলে।।
জড়ায়ে ধরিয়া কেন ফিরে গেলে বল কোন্ অভিমানে,
কেন জাগে নাকো আর সে মাধুরী রস–আনন্দ–প্রাণে।
	তোমারে বুঝি গো বুঝেছিনু আমি ভুল
	এসেছিলে তুমি ফোটাতে প্রেম–মুকুল,
কেন আঘাত করিয়া প্রিয়তম, সেই ভুল নাহি ভাঙাইলে।।

বাণী

স্যখিরী দেখেতো বাগমেঁ কামিনী
জুঁহি চাম্বেলী কি ক্যয়সী বাহার হ্যায়।।
আও আও হ্যর ডালি সে তোড়কে
ক্যচ্চি কলিও কো গুঁন্ধে হাম জোড়কে
প্রেমমালা পিন্‌হায়ে দিলদার ইয়ার কো
মাস্ত হোক্যর গলে মিলতী হ্যয় ডার হ্যায়।।
ম্যয় হুঁ সুন্দর নার নওয়েলী প্যরী
প্যহেনা ফুলোঁ কা গ্যহনা যো ম্যায়নে স্যখি
		দুলহান ব্যন গ্যই।
প্যয়ারে প্রীতমসে মিলনে কি আই ঘ্যড়ি
ইসী কারণ স্যখীরী ব্যনী সুন্দরী
আয় বাল্যম কে ম্যন কো লুভাউঙ্গী
ইসী আশা পে সারা ইয়ে সিঙ্গার হ্যয়।।

বাণী

সখি তখন আমার বালিকা বয়স বেণু শুনেছিনু যবে।
আমি বুঝিনি সেদিন, ডাকে বাশুরিয়া আমারেই বেণু রবে, 
				সখি, আমারেই বেণু রবে।।
তার বাঁশরির সুরে মাঝে মাঝে সখি শিহরিয়া উঠিতাম গো —
মনে হ’ত ঐ সুরের আড়ালে আছে যেন মোর নাম গো।
ডাকিত — ‌‘রাধা জাগো, জাগো প্রিয়া’,
হের গো যমুনা তোমার বিরহে উঠিয়াছে উথলিয়া।।
শিহরিত কলেবর, জাগিত ভীতি গো,
ও কি পূর্বানুরাগ, ও কি প্রথম প্রীতি গো।সখি গো — 
সখি, হেরিনু স্বপনে নব জলধর রসে-ঢলঢল কালা
মোর বুকে এসে কাঁদে, বলে লহ, রাধে, কণ্ঠের বনমালা
তার শিরে শিখি-পাখা, চাঁচর চিকুর দোলে কপোলের কাছে লো
দোলে দোলে দোলে দোলে গো —
সে বাঁশী রেখে পায় মুখপানে চায়, কি যেন ভিক্ষা যাচে।।
আমি দিতে যে নারি লো, যাহা চায় তাহা আমি দিতে যে নারি লো;
ও বোঝে না কুলবতী কুলের বাধা,
দিতে যে নারী লো, দিতে যে নারি লো।