সখি সাপের মণি বুকে করে কেঁদে নিশি যায়
বাণী
সখি সাপের মণি বুকে করে কেঁদে নিশি যায় কাল-নাগিনী ননদিনী দেখতে পাছে পায় (লো সখি)।। সই প্রানের গোপন কথা মম পিঞ্জরেরি পাখির সম পাখা ঝাপটিয়া কাঁদে বাহির হতে চায়।। পাড়ার বৌ-ঝি যদি জলের ঘাটে কানে কথা কয় আমার কথাই কইলো বুঝি মনে জাগে ভয় (সখি) আমি চাইতে নারি চোখে চোখে পাছে মনের কথা জানে লোকে। আমার একি হলো দায় সখি লুকানো না যায় সখি কাঙাল যেমন পেয়ে রতন থুইতে ঠাঁই না পায়।।
সৈয়দে মক্কী মদনী আমার নবী মোহাম্মদ
বাণী
সৈয়দে মক্কী মদনী আমার নবী মোহাম্মদ করুণা-সিন্ধু খোদার বন্ধু নিখিল মানব-প্রেমাস্পদ।। আদম নূহ, ইব্রাহিম দাউদ সোলেয়মান মুসা আর ঈসা, সাক্ষ্য দিল আমার নবীর, সবার কালাম হ'ল রদ। যাঁহার মাঝে দেখল জগৎ ইশারা খোদার নূরের, পাপ-দুনিয়ায় আনলো যে রে, পুণ্য বেহেশতী সনদ।। হায় সিকান্দর খুঁজল বৃথাই আব-হায়াত এই দুনিয়ায় বিলিয়ে দিল আমার নবী, সে সুধা মানব সবায়। হায় জুলেখা মজল ঐ ইউসুফেরই রূপ দেখে, দেখলে মোদের নবীর সুরত, যোগীন হত ভসম মেখে'। শুনলে নবীর শিঁরিন জবান, দাউদ মাগিত মদদ।। ছিল নবীর নূর পেশানিতে, তাই ডুবল না কিস্তি নূহের পুড়ল না আগুনে হযরত ইব্রাহিম সে নমরুদের হায়, দোজখ আমার হারাম হ'ল পিয়ে কোরানের শিঁরিন শ্যহদ।।
সোনার হিন্দোলে কিশোর–কিশোরী
বাণী
সোনার হিন্দোলে কিশোর–কিশোরী দোলে ঝুলনের উৎসব রঙ্গে বিন্দু বিন্দু বারি অবিরত পড়ে ঝরি’ বাজে তাল জলদ মৃদঙ্গে।। জড়াইয়া শ্যামে দোলে ভীরু রাধা থির বিজুরি ডোরে মেঘ যেন বাঁধা পল্লব কোলে ফুলদলে দোলে (যেন) গোপীদল গোপীবল্লভ সঙ্গে।। উল্লাসে থরথর খরতর বহে বায় পুলকে ডালে ডালে কদম্ব শিহরায়। দৃষ্টিতে গোপীদের বৃষ্টির লাবনি আনন্দ উতরোল গাহে বৃন্দাবনী নূপুর মধুর বাজে যমুনা তরঙ্গে ঝুলনের উৎসব রঙ্গে।।
সকাল সাঁঝে প্রভু সকল কাজে
বাণী
সকাল সাঁঝে প্রভু সকল কাজে উঠুক তোমারি নাম — বেজে উঠুক তোমারি নাম। নিশীথ রাতে তারার মত উঠুক তোমারি নাম — বেজে উঠুক তোমারি নাম।। তরুর শাখায় ফুলের সম বিকশিত হোক (প্রভু) তব নাম নিরুপম, সাগর মাঝে তরঙ্গ সম বহুক তোমারি নাম।। পাষাণ শিলায় গিরি নির্ঝর সম বহুক তোমারি নাম অকুল সমুদ্রে ধ্রুবতারা-সম জাগি’ রহুক তব নাম প্রভু জাগি’ রহুক তব নাম। শ্রাবণ দিনে বারি ধারার মত ঝরুক ও নাম প্রভু অবিরত মানস কমল বনে মধুকর সম লুটুক তোমারি নাম।।
নাটক: ‘রূপকথা’
সন্ধ্যা হলো ঘরকে চলো ও ভাই মাঠের চাষি
বাণী
সন্ধ্যা হলো ঘরকে চলো, ও ভাই মাঠের চাষি ভাটিয়ালি সুরে বাজে রাখাল ছেলের বাঁশি।। পিদিম নিয়ে একলা জাগে একলা ঘরের বধূ হৃদয়-পাতে লুকিয়ে রেখে সারা দিনের মধু; পথ চেয়ে সে বসে আছে কাজ হয়েছে বাসি রে তার কাজ হয়েছে বাসি। (যে) মন সারাদিন ছিল পড়ে হালের গরুর পানে, দিনের শেষে ঘরের জরু সেই মনকে টানে সেথা মেটে ঘরের দাওয়ায় লুটায় রে মেটে ঘরের দাওয়ায় লুটায় কালো চোখের হাসি রে ভাই কালো চোখের হাসি। পুবান হাওয়া ঢেউ দিয়ে যায় আউশ ধানের ক্ষেতে, এই ফসলের দেখব স্বপন শুয়ে শুয়ে রেতে; ও ভাই শুয়ে শুয়ে রেতে সকাল বেলা আবার যেন মাঠে ফিরে আসি রে এই মাঠে ফিরে আসি।।