সাপুড়িয়া রে বাজাও বাজাও
বাণী
গানের শুরুতে নীচের কথাগুলি সাপুড়েদের মন্ত্র-পড়ার ঢংয়ে আবৃত্তি করা হয়েছে :-
[খা খা খা তোর বক্ষিলারে খা তারি দিব্যি ফণাতে তোর যে ঠাকুরের পা' বিষহরি শিবের আজ্ঞ্যে দোহাই মনসা, আমায় যদি কামড়াস খাস জরৎ-কারুর হাড় নাচ নাগিনী ফণা তুলে, নাচ রে হেলেদুলে মারলে ছোবল বিষ-দাঁত তোর অমনি নেব তুলে বাজ তুবরী বাজ ডমরু বাজ, নাচ রে নাগ-রাজা।।] সাপুড়িয়া রে — বাজাও বাজাও সাপ-খেলানোর বাঁশি। কালিদহে ঘোর উঠিল তরঙ্গ রে কালনাগিনী নাচে বাহিরে আসি।। ফণি-মনসার কাঁটা-কুঞ্জতলে গোখরা কেউটে এলো দলে দলে রে সুর শুনে ছুটে এলো পাতাল-তলের বিষধর বিষধরী রাশি রাশি।। শন-শন-শন-শন পুব হাওয়াতে তোমার বাঁশি বাজে বাদলা-রাতে মেঘের ডমরু বাজাও গুরু গুরু বাঁশির সাথে। অঙ্গ জর জর বিষে বাঁচাও বিষহরি এসে রে এ কি বাঁশি বাজালো কালা, সর্বনাশী।।
সখি সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল
বাণী
সখি, সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল আবার মাধবীলতা। মাধবী চাঁদ উঠেছে আকাশে, আমার মাধব কোথা। রাধা আজ নিরাধারা সখি রাধামাধব কোথা। মধুপ গুঞ্জরে মালতী-বিতানে, নূপুর-গুঞ্জরণ নাহি শুনি কানে। মোর মনো-মধুবনে মধুপ কানু কই – আনন্দ-রাস নাই – রাসবিহারী নাই, আমি আর রাধা নই। সখি পূর্ণ রাসে আমি জনম লভিয়া পুষ্প আহরণ তরে, কৃষ্ণ-পূজার লাগি পুষ্প আহরণ তরে ধেয়েছিনু বনে অনুরাগ ভরে, বৃন্দাবনচারী কৃষ্ণে না পেয়ে, রাধা কাঁদে ব্রজ-পথে ধেয়ে ধেয়ে – ‘প্রাণবল্লভ আমার কই গো, সখি আমায় বলে দে গো।’ রাধা হ’ল আজি অশ্রুর ধারা কৃষ্ঞ-আনন্দিনী রাধা বিনোদিনী কবে হবে শ্রীকৃষ্ণ-হারা।।
সখি আর অভিমান জানাব না
বাণী
সখি আর অভিমান জানাব না বাস্ব ভালো নীরবে। যে চোখের জলে গল্ল না, (তার) মুখের কথায় কি হবে॥ অন্তর্যামী হয়ে অন্তরে মোর দিবা-নিশি রহে যে চিত-চোর, অন্তরে মোর কোন্ সে-ব্যথা বোঝে না সে, কে ক’বে॥ সখি এবার আমার প্রেম নিবেদন গোপনে, সূর্যমুখী চাহে যেমন তপনে। কুমুদিনী চাঁদে ভালোবাসে তাই চিরদিন অশ্রুর সায়রে ভাসে, চির জীবন জানি কাঁদিতে হবে তাহারে চেয়েছি যবে॥১ ১. শেষ পাঁচ পঙক্তির পাঠ্যন্তর : সখি এবার আমার প্রেম বিবেদন আপন মনে গোপনে, সূর্যমুখী চাহে যেমন চাওয়ার নেশা তপনে। কুমুদিনী চাঁদে ভালোবাসে তাই সে অশ্রু সায়রে ভাসে, হাজার জনম কাঁদিতে হইবে তাহারে চেয়েছি যবে॥
সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো
বাণী
সমবেত : সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো পাত ভ’রে ভাত পাই না, ধ’রে আসে হাত গো॥ ১ম : তোর ঘরে আজ কি রান্ন হায়েছে? ২য় : ছেলে দুটো ভাত পায়নি, পথ চেয়ে রয়েছে। ৩য় : আমিও ভাত রাঁধিনি, দেখ্ না চুল বাঁধিনি শাশুড়ি মান্ধাতার বুড়ি মন্দ কথা কয়েছে। ৪র্থ : আমার ননদ বড় দজ্জাল বজ্জাত গো। সমবেত : সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো পাত ভ’রে ভাত পাই না, ধ’রে আসে হাত গো॥ ১ম : এত খায় তবু ওদের বউগুলো সুঁট্কো ২য় : ছেলেগুলো প্যাঁকাটি, বাবুগুলো মুট্কো। ৩য় : এরা কাগজের ফুল, এরা চোখে চাঁদ দেখে না। ৪র্থ : ইটের ভিতরে কীটের মত কাটায় এরা রাত গো। সমবেত : সারাদিন পিটি কার দালানের ছাদ গো পাত ভ’রে ভাত পাই না, ধ’রে আসে হাত গো॥
চলচ্চিত্রঃ ‘চৌরঙ্গী’
সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়
বাণী
সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায় নবীন আমন ধানের ক্ষেতে।। হেমন্তের ঐ শিশির-নাওয়া হিমেল হাওয়া সেই নাচনে উঠলো মেতে।। টইটুম্বুর ঝিলের জলে কাঁচা রোদের মানিক ঝলে চন্দ্র ঘুমায় গগন-তলে সাদা মেঘের আঁচল পেতে।। নটকানো রঙ শাড়ি প’রে কে বালিকা ভোর না হতে যায় কুড়াতে শেফালিকা। আনমনা মন উড়ে বেড়ায় অলস প্রজাপতির পাখায় মৌমাছিদের সাথে সে চায় কমল-বনের তীর্থে যেতে।।