বাণী

সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
গোলাপ ফুলের টুকটুকে রঙ চোখে লাগে ফিকে।।
	নাই বৃষ্টি বাদল ওলো,
	দৃষ্টি কেন ঝাপসা হলো?
অশ্রু জলের ঝালর দোলে চোখের পাতার চিকে।।
পলাশ-কলির লাল আঁখরে বনের দিকে দিকে
গোপন আমার ব্যথার কথা কে গেল সই লিখে।
	মনে আমার পাইনে লো খেই;
	কে যেন নেই, কি যেন নেই।
কে বনবাস দিল আমার মনের বাসন্তীকে।।

বাণী

বোন		:	সাত ভাই চম্পা কে কি হবি বল। তোরা কে কি হবি বল 
			কেলো, ভূলো, হেবো, পচা, ভুতো, ন্যাড়া, ডল্।
প্রথম ভাই	:	আমি হব কাব্‌লিওয়ালা এক কুলো চাপ দাড়ি।
			‘তেরে মুসে আগা, মোর মা গায়া, লেয়াও রূপী তাড়াতাড়ি’।
দ্বিতীয় ভাই	:	আমি হব পন্ডিত মশাই, কাঁপবে ছেলের দল
			দেখে কাঁপবে ছেলের দল।।
তৃতীয় ভাই	:	আমি হব ফেরিওয়ালা চাই চানাচুর ঘুগ্‌নিদানা!
			পাড়ায় পাড়ায় ফিরব ঘুরে পারবে না কেউ করতে মানা!
			রাত্রে হাঁক্‌ব ‘কুলফী বরফ’ হায় কি মজার কল।।
চতুর্থ ভাই	:	আমি হব জজ সাহেব, দিব ফাঁসি ছ’ মাস ক’রে
পঞ্চম ভাই	:	দারোগা আমি, তোর জজকে চালান দিব থানায় ধ’রে।
ষষ্ঠ ভাই	:	আমায় দেখে দারোগা গুড়ুম
			আমি হব কনিষ্ঠ-বল।।
সপ্তম ভাই	:	আমি হব বাবার বাবা মা সে আমার ভয়ে
			ঘোম্‌টা দিয়ে লুকোবে কোণে চূনি-বিল্লি হয়ে!
			বল্‌ব বাবায়, ওরে খোকা শিগ্‌গির পাঠশাল্ চল্।।

বাণী

সখি কই গোপীবল্লভ শ্যামল পল্লব কান্তি
সখি আমার হরি বিনে হরি চন্দনে নাহি শান্তি।
ঐ দেখ্ দেখ্ শ্যাম দাঁড়িয়ে
ও নহে কদম তমাল পিয়াল পিয়া মোর ঐ দাঁড়িয়ে।
ও নহে তরুণ শাখা ও যে মোর বঁধু আসে বাহু বাড়িয়ে।
পুষ্প পাগল তরু কি কখনো দুলে গো অমন করিয়া
(ও যে) বনমালা গলে বনমালী মোর নাচিছে হেলিয়া দুলিয়া।
তোরা দেখে আয় তোরা দেখে আয়
অভিমানে শ্যাম আসিছে না কাছে ডেকে আয় তারে ডেকে আয়
তারি বিগলিত নীল লাবনি কি ঐ যমুনার কালো জলে
বিজলির আঁখি ইঙ্গিতে সে কি ডাকে মোরে মেঘ দলে।
সখি গো! তোরা যেতে দে মোরে যেতে দে আর দিস্‌নে বাধা
(ঐ) গহন কালোতে গাহন করিয়া জুড়াক আলোক রাধা।।

বাণী

সজল হাওয়া কেঁদে বেড়ায় কাজল আকাশ ঘিরে,
			তুমি এসো ফিরে।
উঠ্‌ছে কাঁদন ভাঙন-ধরা নদীর তীরে তীরে,
			তুমি এসো ফিরে।।
	বন্ধু তব বিরহেরি
	অশ্রু ঝরে গগন ঘেরি’
লুটিয়ে কাঁদে বনভূমি অশান্ত সমীরে।।
আকাশ কাঁদে, আমি কাঁদি বাতাস কেঁদে সারা,
তুমি কোথায়, কোথায় তুমি পথিক পথহারা।
	দুয়ার খুলে নিরুদ্দেশে
	চেয়ে আছি অনিমেষে,
আঁচল ঢেকে রাখবো কত আশার প্রদীপটিরে।

বাণী

সন্ধ্যা নেমেছে আমার বিজন ঘরে, তব গৃহে জ্বলে বাতি।
ফুরায় তোমারি উৎসব নিশি সুখে, পোহায় না মোর রাতি।।
	আমার আশার ঝরা ফুলদল দিয়া,
	তোমার বাসর শয্যা রচিছ প্রিয়া
তোমার ভবনে আলোর দীপালি জ্বলে, আঁধার আমার সাথী।
					পোহায় না মোর রাতি।।
ঘুমায়ে পড়েছে আমার কাননে কুহু, নীরব হয়েছে গান;
তোমার কুঞ্জে গানের পাখিরা তুলিয়াছে কলতান।
	পৃথিবীর আলো মোর চোখে নিভে আসে,
	বাজিছে বাঁশরি তোমার মিলন-রাসে;
ওপারের বাঁশি আমায় ডাকিবে কবে, আছি তাই কান পাতি।
					পোহায় না মোর রাতি।।

বাণী

সৈয়দে মক্কী মদনী আমার নবী মোহাম্মদ
করুণা-সিন্ধু খোদার বন্ধু নিখিল মানব-প্রেমাস্পদ।।
আদম নূহ, ইব্রাহিম দাউদ সোলেয়মান মুসা আর ঈসা,
সাক্ষ্য দিল আমার নবীর, সবার কালাম হ'ল রদ।
যাঁহার মাঝে দেখল জগৎ ইশারা খোদার নূরের,
পাপ-দুনিয়ায় আনলো যে রে, পুণ্য বেহেশতী সনদ।।
হায় সিকান্দর খুঁজল বৃথাই আব-হায়াত এই দুনিয়ায়
বিলিয়ে দিল আমার নবী, সে সুধা মানব সবায়।
হায় জুলেখা মজল ঐ ইউসুফেরই রূপ দেখে,
দেখলে মোদের নবীর সুরত, যোগীন হত ভসম মেখে'।
শুনলে নবীর শিঁরিন জবান, দাউদ মাগিত মদদ।।
ছিল নবীর নূর পেশানিতে, তাই ডুবল না কিস্তি নূহের
পুড়ল না আগুনে হযরত ইব্রাহিম সে নমরুদের
হায়, দোজখ আমার হারাম হ'ল পিয়ে কোরানের শিঁরিন শ্যহদ।।