বাণী

সোনার চাঁপা ভাসিয়ে দিয়ে গহীন সাগর-জলে
দূরে ব’সে কাঁদে কে রে কাঁদে আয় ফিরে আয় ব’লে।।
		কার আঁচলের মানিক ওরে
		অকূল স্রোতে পড়লি ঝরে রে
কোন্ মায়ের কোল্ খালি ক’রে এলি রে তুই চ’লে।।

নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’

বাণী

সোনার মেয়ে! সোনার মেয়ে!
তোমার রূপের মায়ায় আমার নয়ন- ভুবন গেল ছেয়ে'।।
	ঝরে তোমার রূপের ধারা—
	চন্দ্র জাগে তন্দ্রাহারা,
আকাশ-ভরা হাজার তারা তোমার মুখে আছে চেয়ে'।।
	কোন গ্রহ-লোক ব্যথায় ভ'রে
	কোন অমরা শূন্য ক'রে
(ওগো) রাখলে চরণ ধরার পরে রঙ-সায়রের রঙের নেয়ে।
	শিল্পী আকেঁ তোমার ছবি
	তোমারি গান গাহে কবি
নিশীথিনী হারিয়ে রবি চাঁদ হাতে পায় তোমায় পেয়ে।।

বাণী

সাহারাতে ফুটল রে রঙিন গুলে লালা
সেই ফুলেরি খোশবুতে আজ দুনিয়া মাতোয়ালা।।
সে ফুল নিয়ে কাড়াকাড়ি চাঁদ -সুরুজ গ্রহ-তারায়
ঝুঁকে প'ড়ে চুমে সে ফুল নীল গগন নিরালা।।
সেই ফুলেরি রঙ লেগে আজ ত্রিভুবন উজালা।।
চাহে সে ফুল জ্বীন ও ইনসান হুরপরী ফেরেশতায়
ফকির দরবেশবাদশা চাহে করিতে গরার মালা (তারে)
চেনে রসিক ভ্রমর,বুলবুল সেই ফুলের ঠিকানা
কেউ বলে হযরত মোহাম্মদ (বলে) কেউ বা কমলিওয়ালা।।

বাণী

সৃজন ছন্দে আনন্দে নাচো নটরাজ
হে মহকাল প্রলয়–তাল ভোলো ভোলো।।
	ছড়াক তব জটিল জটা
	শিশু–শশীর কিরণ–ছটা
উমারে বুকে ধরিয়া সুখে দোলো দোলো।।
মন্দ–স্রোতা মন্দাকিনী সুরধুনী–তরঙ্গে
সঙ্গীত জাগাও হে তব নৃত্য–বিভঙ্গে।
	ধুতরা ফুল খুলিয়া ফেলি’
	জটাতে পর চম্পা বেলী
শ্মশানে নব জীবন, শিব, জাগিয়ে তোলো।।

বাণী

সখি কেন এত সাজিলাম যতন করি
জাগিয়া পোহাল হায় বিভাবরী।।
	চাহিতে মুকুর পানে
	সজ্জা লজ্জা হানে।
অভিমানে লুটাইয়া কাঁদে কবরী।।
সখি লুকায়ে হাসিবে সবে দেখিয়া মোরে
বল এ মুখ দেখাব আমি কেমন করে?
	সখি ঐ দেখ লোক জাগে
	কেহ জাগিবার আগে
নিয়ে চল যমুনাতে ডুবিয়া মরি।।

বাণী

সন্ধ্যা ঘনালো আমার বিজন ঘরে তব গৃহে জ্বলে বাতি।
হাসিয়া ফুরায় তব উৎসব-নিশি (প্রিয়) পোহায় না মোর রাতি ॥
	আমার আয়ুর ঝরা ফুলগুলি ল’য়ে
	দোলে তব গলে মিলনের মালা হ’য়ে,
তোমার ভবনে আলোর দীপালি জ্বলে আঁধার আমার সাথি ॥
মোর মালঞ্চে ঘুমায়ে পড়েছে কুহু, নীরব হয়েছে গান -,
তোমার কুঞ্জে গানের পাখিরা বুঝি তুলিয়াছে কলতান।
	পৃথিবীর আলো মোর চোখে নিভে আসে,
	বাজিছে বাঁশরি তোমার মিলন-রাসে;
ওপারের বাঁশি আমারে ডাকিবে কবে আছি তাই কান পাতি’ ॥