সংসারেরি দোলনাতে মা ঘুম পাড়িয়ে
বাণী
সংসারেরি দোলনাতে মা ঘুম পাড়িয়ে কোথায় গেলি? আমি অসহায় শিশুর মত ডাকি মা দুই বাহু মেলি’।। অন্য শক্তি নাই মা তারা ‘মা’ বুলি আর কান্না ছাড়া, তোরে না দেখলে কেঁদে উঠি, আবার কোল পেলে মা হাসি খেলি।। (ও মা) ছেলেকে তোর তাড়ন করে মায়ারূপী সৎমা এসে। আবার ছয় রিপুতে দেখায় মা ভয় পাপ এলো পুতনার বেশে।১ মরি ক্ষুধা তৃষ্ণাতে মা শ্যামা আমার কোলে নে মা। আমি ক্ষণে চমকে উঠি ভাবি দয়াময়ী মা কি এলি।।
১. পাপবর্গী এলো দেশে।
সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
বাণী
সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে গোলাপ ফুলের টুকটুকে রঙ চোখে লাগে ফিকে।। নাই বৃষ্টি বাদল ওলো, দৃষ্টি কেন ঝাপসা হলো? অশ্রু জলের ঝালর দোলে চোখের পাতার চিকে।। পলাশ-কলির লাল আঁখরে বনের দিকে দিকে গোপন আমার ব্যথার কথা কে গেল সই লিখে। মনে আমার পাইনে লো খেই; কে যেন নেই, কি যেন নেই। কে বনবাস দিল আমার মনের বাসন্তীকে।।
স্বপ্নে দেখি একটি নতুন ঘর
বাণী
স্বপ্নে দেখি একটি নতুন ঘর তুমি আমি দু’জন প্রিয় তুমি আমি দু’জন। বাহিরে বকুল-বনে কুহু পাপিয়া করে কুজন।। আবেশে ঢুলে’ ফুল-শয্যায় শুই মুখ টিপে হাসে মল্লিকা যুঁই কানে কানে গানে গানে কহে ‘চিনেছি উতল সমীরণ’।। পূর্ণিমা চাঁদ কয়, গান আর সুর, চঞ্চল ওরা দু’জন প্রেম-জ্যোতি আনন্দ-আঁখিজল, ছল ছল ওরা দু’জন। মৌমাছি কয়, গুন্ গুন্ গান গাই মুখোমুখি দু’জনে সেইখানে যাই শারদীয়া শেফালি গায়ে পড়ে কয় — ‘ব্রজের মধুবন — এই তো ব্রজের মধুবন’।।
সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায়
বাণী
সাঁঝের পাখিরা ফিরিল কুলায় তুমি ফিরিলে না ঘরে, আঁধার ভবন জ্বলেনি প্রদীপ মন যে কেমন করে।। উঠানে শূন্য কলসির কাছে সারাদিন ধরে ঝ’রে প’ড়ে আছে তোমার দোপাটি গাঁদা ফুলগুলি যেন অভিমান ভরে।। বাসন্তী রাঙা শাড়িখানি তব ধূলায় লুটায় কেঁদে, তোমার কেশের কাঁটাগুলি বুকে স্মৃতির সমান বেঁধে। যাইনি বাহিরে আজ সারাদিন ঝরিছে বাদল শ্রান্তিবিহীন পিয়া পিয়া ব’লে ডাকিছে পাপিয়া এ বুকের পিঞ্জরে।।
সোনার বরণ কন্যা গো এসো আমার সোনার নায়ে
বাণী
পুরুষ : সোনার বরণ কন্যা গো, এসো আমার সোনার নায়ে চল আমার বাড়ি স্ত্রী : ওরে অচিন দেশের বন্ধুরে, তুমি ভিন্ গেরামের নাইয়া আমি ভিন্ গেরামের নারী। পুরুষ : গয়না দিব বৈচী খাড়ু শাড়ি ময়নামতীর। স্ত্রী : গয়না দিয়ে মন পাওয়া যায় না কুলবতীর। পুরুষ : শাপলা ফুলের মালা দেব রাঙা রেশমি চুড়ি। স্ত্রী : ঐ মন-ভুলানো জিনিস নিয়ে (বন্ধু) মন কি দিতে পারি? পুরুষ : (তুমি) কোন্-সে রতন চাও রে কন্যা, আমি কি তা জানি? স্ত্রী : তোমার মনের রাজ্যে আমি হ’তে চাই রাজরানী। দ্বৈত : হইও সাক্ষী তরুলতা পদ্মা নদীর পানি (আরে ও) (আজি) কূল ছাড়িয়া দু’টি প্রাণী অকূলে দিল পাড়ি॥