Image

বর্ণানুক্রমে

নোটিশ বোর্ড

জনপ্রিয়

নজরুলগীতির সকল অতিথি ও শুভানুধ্যায়ীকে জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও মোবারক-বাদ। ঈদ মোবারক।

নজরুলগীতির সকল অতিথি ও শুভানুধ্যায়ীকে জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও মোবারক-বাদ। ঈদ মোবারক।

নজরুলগীতির সকল অতিথি ও শুভানুধ্যায়ীকে জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও মোবারক-বাদ। ঈদ মোবারক।

সখি তখন আমার বালিকা বয়স

বাণী

সখি তখন আমার বালিকা বয়স বেণু শুনেছিনু যবে।
আমি বুঝিনি সেদিন, ডাকে বাশুরিয়া আমারেই বেণু রবে, 
				সখি, আমারেই বেণু রবে।।
তার বাঁশরির সুরে মাঝে মাঝে সখি শিহরিয়া উঠিতাম গো —
মনে হ’ত ঐ সুরের আড়ালে আছে যেন মোর নাম গো।
ডাকিত — ‌‘রাধা জাগো, জাগো প্রিয়া’,
হের গো যমুনা তোমার বিরহে উঠিয়াছে উথলিয়া।।
শিহরিত কলেবর, জাগিত ভীতি গো,
ও কি পূর্বানুরাগ, ও কি প্রথম প্রীতি গো।সখি গো — 
সখি, হেরিনু স্বপনে নব জলধর রসে-ঢলঢল কালা
মোর বুকে এসে কাঁদে, বলে লহ, রাধে, কণ্ঠের বনমালা
তার শিরে শিখি-পাখা, চাঁচর চিকুর দোলে কপোলের কাছে লো
দোলে দোলে দোলে দোলে গো —
সে বাঁশী রেখে পায় মুখপানে চায়, কি যেন ভিক্ষা যাচে।।
আমি দিতে যে নারি লো, যাহা চায় তাহা আমি দিতে যে নারি লো;
ও বোঝে না কুলবতী কুলের বাধা,
দিতে যে নারী লো, দিতে যে নারি লো।

স্নিগ্ধ-শ্যাম-বেণী-বর্ণা

বাণী

স্নিগ্ধ-শ্যাম-বেণী-বর্ণা এসো মালবিকা
অর্জুন-মঞ্জরি-কর্ণে গলে নীপ-মালিকা, মালবিকা।।
ক্ষীণা তন্বী জল-ভার-নমিতা
শ্যাম জম্বু-বনে এসো অমিতা
আনো কুন্দ মালতী যুঁই ভরি থালিকা, মালবিকা।।
ঘন নীল বাসে অঙ্গ ঘিরে
এসো অঞ্জনা রেবা-নদীর তীরে।
পরি’ হংস-মিথুন আঁকা শাড়ি ঝিল্‌মিল্‌
এসো ডাগর চোখে মাখি সাগরের নীল
ডাকে বিদ্যুৎ ইঙ্গিতে দিগ্‌-বালিকা, মালবিকা।।

সোনার আলোর ঢেউ খেলে যায়

বাণী

সোনার আলোর ঢেউ খেলে যায় মাঠের ঘাসে ঘাসে।
বাউল হাওয়ায় কানাকানি মা বুঝি ঐ আসে॥
	কাশের চামর নদীর চরে
	প্রণাম হয়ে লুটিয়ে পড়ে
আনন্দেরি জোয়ার এলো ভোরের নীলাকাশে।
		মোদের মা জননী আসে॥
বেণু বনের মর্মরে আজ বাজে ছুটির বাঁশি
বরষ পরে ঘরে ফিরে এলো পরবাসী।
	দুঃখী ছেলেমেয়ের মুখে
	হাসির আলো ফুটল সুখে
আগমনীর আনন্দে আজ কুসুম হয়ে হাসে॥

সখি বল কোন দেশে যাই

বাণী

সখি বল কোন দেশে যাই।
সে বৃন্দা আছে সে বন আছে তবু সে বৃন্দাবন নাই —
গোবিন্দ বিনে লো বৃন্দে (বৃন্দে গো) রাধার বৃন্দাবন হয়েছে আঁধার।
বনে সীতার ছিল যে রাম, মোর বনে নাই ঘনশ্যাম।
আমি কি লয়ে থাকি, কেন দেহ রাখি।
পিঞ্জর আছে প'ড়ে, নাই শ্যাম পাখি,
আর ময়ূর ডাকে না 'কে গো' বলিয়া।
পাপিয়া ডাকে না পিয়া।
কৃষ্ণপ্রিয়া গো 'প্রিয়া প্রিয়া' বলে পাপিয়া ডাকে না পিয়া।
পথে পথে আর রহে না গো ব্রজগোপিনী আড়ি পাতিয়া।
আজি রাধার সাথে সবার আড়ি,
কৃষ্ণপ্রিয়ার কৃষ্ণ গেছে ছাড়ি'
তাই রাধার সাথে সবার আড়ি, সখি গো —
শুকায়ে গিয়াছে দ্বাদশ কুঞ্জ,
পূর্ণ চাঁদেরই ব্রজে একাদশীর তিথি,
হয়ত আবার বাজিবে বেণু তার, রবে না ব্রজে যবে রাধার স্মৃতি।।

সেদিন প্রভাতে অরুণ শোভাতে

বাণী

সেদিন প্রভাতে অরুণ শোভাতে হেসেছ বুকে মোর মধু-হাসিনী।
পরেছ গলায় আমার দেওয়া ফুল সে কি গো সবি ভুল বিজন-বাসিনী।।
		যেচেছ কত না আদর সোহাগ
		ক্ষণে অভিমান ক্ষণে অনুরাগ,
কত প্রিয় নামে ডেকেছ আমায় সে কি গো গেছ ভুলে মধুভাষিণী।।
		আমার সাধ-আশ-সাধনা-সুখ-হাসি
		তোমার সনে প্রিয় সকলি গেছে ভাসি,
কেন ফেলে দিলে নিরাশার কূলে, কোন্ অপরাধে বল উদাসিনী।।

সাপুড়িয়া রে বাজাও বাজাও

বাণী

গানের শুরুতে নীচের কথাগুলি সাপুড়েদের মন্ত্র-পড়ার ঢংয়ে আবৃত্তি করা হয়েছে :-

[খা খা খা
তোর বক্ষিলারে খা
তারি দিব্যি ফণাতে তোর যে ঠাকুরের পা'
বিষহরি শিবের আজ্ঞ্যে দোহাই মনসা,
আমায় যদি কামড়াস খাস জরৎ-কারুর হাড়
নাচ নাগিনী ফণা তুলে, নাচ রে হেলেদুলে
মারলে ছোবল বিষ-দাঁত তোর অমনি নেব তুলে
বাজ তুবরী বাজ ডমরু বাজ, নাচ রে নাগ-রাজা।।]

সাপুড়িয়া রে —
বাজাও বাজাও সাপ-খেলানোর বাঁশি।
কালিদহে ঘোর উঠিল তরঙ্গ রে
কালনাগিনী নাচে বাহিরে আসি।।
ফণি-মনসার কাঁটা-কুঞ্জতলে
গোখরা কেউটে এলো দলে দলে রে
সুর শুনে ছুটে এলো পাতাল-তলের
বিষধর বিষধরী রাশি রাশি।।
শন-শন-শন-শন পুব হাওয়াতে
তোমার বাঁশি বাজে বাদলা-রাতে
মেঘের ডমরু বাজাও গুরু গুরু বাঁশির সাথে।
অঙ্গ জর জর বিষে
বাঁচাও বিষহরি এসে রে
এ কি বাঁশি বাজালো কালা, সর্বনাশী।।

Nazrulgeeti.org is the largest portal in the world about Nazrulgeeti. Anything and everything about Nazrulgeeti will be found in this portal. All lyrics, used raag and taal, audio/video, swaralipi and unknown stories behind the song, everything will be available here. The collection is growing every day. Be with us and help spread Nazrulgeeti worldwide.

Developed, Owned and Maintained by Mamunur Rahman Khan