শ্রী রঘুপতি রাম লহ প্রণাম
বাণী
দ্বৈত : শ্রী রঘুপতি রাম লহ প্রণাম শ্রী রঘুপতি রাম নব দূর্বাদল শ্যাম অভিরাম। স্ত্রী : সুরাসুর কিন্নর যোগী ঋষি নর পুরুষ : চরাচর যে নাম জপে অবিরাম॥ স্ত্রী : সরযূ নদীর জল ছল ছল কান্তি পুরুষ : ঢল ঢল অঙ্গ ললাটে প্রশান্তি স্ত্রী : নাম স্মরণে টোটে শোক তাপ ভ্রান্তি দ্বৈত : পদারবিন্দে মূরছিত কোটি কাম॥ স্ত্রী : জানকী বল্লভ সুঠাম অঙ্গ পুরুষ : পরশে নিমেষে হয় হরধনু ভঙ্গ দ্বৈত : রাবণ ভয় হরে যাঁহার নাম॥ স্ত্রী : পিতৃ সত্যব্রত পালনকারী পুরুষ : চির বল্কলধারী কাননচারী দ্বৈত : প্রজারঞ্জন লাগি সর্বসুখ ত্যাগী যে নামে ধরা হল আনন্দধাম॥
শ্রীকৃষ্ণ নাম মোর জপ-মলা নিশিদিন
বাণী
শ্রীকৃষ্ণ নাম মোর জপ-মলা নিশিদিন শ্রীকৃষ্ণ নাম মোর ধ্যান। শ্রীকৃষ্ণ বসন শ্রীকৃষ্ণ ভূষণ ধরম করম মোর জ্ঞান।। শয়নে স্বপনে ঘুমে জাগরণে বিজড়িত শ্রীকৃষ্ণ নাম (মোর) কৃষ্ণ আত্মা মম কৃষ্ণ প্রিয়তম ওই নাম দেহ মন প্রাণ।। কৃষ্ণ নয়ন-ধার কৃষ্ণ গলার হার এ হৃদয় তাঁরি ব্রজধাম ঐ নাম-কলঙ্ক ললাটে আঁকিয়া গো ত্যাজিয়াছি লাজ কুল মান।।
শ্যামা বড় লাজুক মেয়ে
বাণী
শ্যামা বড় লাজুক মেয়ে কেবলই সে লুকাতে চায়। আলো-আঁধার পর্দা টেনে বালিকা সে পালিয়ে বেড়ায়।। নিখিল ভুবন আছে তারে ঘিরে আমার মেয়ে তবু বসন খুঁজে ফিরে, তারে যে দেখে সে এক নিমেষে তারি মাঝে লয় হয়ে যায়।। তাই কেবলি সে লুকাতে চায়।। কোটি শিব ব্রহ্মা হরি অনন্তকাল গভীর ধ্যানে, তার সে লুকোচুরি খেলায় পায় না দিশা পায় না মনে। রবি শশী গ্রহতারার ফাঁকে যে দেখেছে পালিয়ে যেতে মাকে, (সে) আপনাকে আর পায় না খুঁজে মায়াবিনীর মহামায়ায়।।
শ্যাম-সুন্দর-গিরিধারী
বাণী
শ্যাম-সুন্দর-গিরিধারী। মানস মধু-বনে মধুমাধবী সুরে মুরলী বাজাও বনচারী।। মধুরাতে হে হৃদয়েশ মাধবী চাঁদ হয়ে এসো, হৃদয়ে তুলিও ভাবেরই উজান রস-যমুনা-বিহারী।। অন্তর মন্দিরে প্রীতি ফুলশয্যায় বিলাস কর লীলা-বিলাসী, আঁখির প্রদীপ জ্বালি' শিয়রে জাগিয়া রব শ্যাম, তব রূপ-পিয়াসি। যত সাধ আশা গেল ঝরিয়া, পর তাই গলে মালা করিয়া; নূপুর করিব তব চরণে গাঁথি' মম নয়নের বারি।।