বাণী

শা আর শুড়ি মিলে শাশুড়ি কি হয় গো।
শ্যাম প্রেমে বাধা দেয় স্বামী তারে কয় গো।।
নয় নদী মিলে হয় ননদিনী দজ্জাল,
জুতো জামা-ই সার যার-জামাই সে মহাকাল,
যার কসুর হয় না সে কে? — শ্বশুর মহাশয় গো।।
(সে) ভাদ্দর-বউ, (যার) ভাদ্দর মাসে বিয়ে,
দেবর সে জন — বর যে দেয় দাদারে দিয়ে।
ভাসুর সে, অসুরের মত যারে ভয় গো।।
বেহায়া চশম-খোর, তারে কি বেহাই কই,
পিসিয়া মারেন বলে তারে (তাই) কি পিসি কই,
সকলেরই ভাগ নেয় সে, ভাগ্‌নেরই জয় গো।।

বাণী

শুকনো পাতার নূপুর পায়ে
		নাচিছে ঘুর্ণিবায়
জল তরঙ্গে ঝিল্‌মিল্‌ ঝিল্‌মিল্‌
		ঢেউ তুলে সে যায়।।
দীঘির বুকে শতদল দলি’
ঝরায়ে বকুল–চাঁপার কলি
চঞ্চল ঝরনার জল ছল ছলি
		মাঠের পথে সে ধায়।।
বন–ফুল আভরণ খুলিয়া ফেলিয়া
আলুথালু এলোকেশ গগনে মেলিয়া
পাগলিনী নেচে যায় হেলিয়া দুলিয়া
		ধূলি–ধূসর কায়।।
ইরানি বালিকা যেন মরু–চারিণী
পল্লীর–প্রান্তর–বনমনোহারিণী
আসে ধেয়ে সহসা গৈরিক বরণী
		বালুকার উড়্‌নি গায়।।

বাণী

শ্রাবণ রাতের আঁধারে নিরালা ব’সে আছি বাতায়নে
রেবা নদীর খরস্রোত বহে বেগে আমার মনে॥
		দিগন্তে করুণ কাতর
		শুনি কার ক্রন্দন স্বর
ভেসে বন-মর্মর ঝরঝর সজল উতল পুবালি পবনে॥
বিরহী যক্ষ কাঁদে একাকী কোথায় কোন্ দূর চিত্রকূটে
আমার গানে যেন তার বেদনার সকরুণ ভাষা ফুটে।
		আমার মনের অলকায়
		কোন্ বিরহিণী পথ চায়
মালবিকার আঁখি-ধার ঝরে হায় অঝোর ধারায় মোর নয়নে॥

বাণী

শাদী মোবারকবাদী শাদী মোবারক।
দেয় মোবারক-বাদ আলম রসুলে-পাক আল্লা হক।।
	আজ এ খুশির মাহফিলে
	দুলহা ও দুলহিনে মিলে
	মিলন হল প্রাণে প্রাণে
		মাশুক আর আশক।।
	আউলিয়া আম্বিয়া সবে
	এসো এ মিলন-উৎসবে,
	দোয়া কর আজ এ খুশির
		গুলিস্তান গুলজার হোক।।

নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’

বাণী

শ্যাম-সুন্দর-গিরিধারী।
মানস মধু-বনে মধুমাধবী সুরে মুরলী বাজাও বনচারী।।
মধুরাতে হে হৃদয়েশ মাধবী চাঁদ হয়ে এসো,
হৃদয়ে তুলিও ভাবেরই উজান রস-যমুনা-বিহারী।।
অন্তর মন্দিরে প্রীতি ফুলশয্যায় বিলাস কর লীলা-বিলাসী,
আঁখির প্রদীপ জ্বালি' শিয়রে জাগিয়া রব শ্যাম, তব রূপ-পিয়াসি।
যত সাধ আশা গেল ঝরিয়া, পর তাই গলে মালা করিয়া;
নূপুর করিব তব চরণে গাঁথি' মম নয়নের বারি।।

বাণী

শুধু নামে যাঁহার এত মধু সে বঁধু কেমন
শুধু নাম শুনে যাঁর জাগে জোয়ার পরানে এমন।।
	শুধু যাহার বাঁশির সুরে
	আমার এত নয়ন ঝুরে
ওগো না জানি তার রূপ কেমন মদন-মোহন।।
সে বুঝি লো' অপরূপ সে চির-নতুন
বাঁশির সুরের মতো আঁখি-সকরুণ।
	তারে আমি দেখি যদি
	কাঁদিব কি নিরবধি
ওগো, যেমন ক'রে ঐ যমুনা কাঁদে অনুক্ষণ।।