বাণী

তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত।
যত চাহি তত কাঁদি, আমার মেটে না হসরত।।
কোথায় আরব কোথায় এ হিন্দ্
নয়নে মোর নাই তবু নিন্দ
প্রাণে শুধু জাগে (তোমার) মদিনার ঐ পথ।।
কে বলে তুমি গেছ চলে হাজার বছর আগে
আছ লুকিয়ে তুমি প্রিয়তম আমার অনুরাগে।
মোর অন্তরের হেরা গুহায়
আজো তোমার ডাক শোনা যায়
জাগে আমার মনের কাবা ঘরে তোমারি সুরত —
	হজরত তোমারি সুরত।।
যারা দোজখ হতে ত্রাণের তরে তোমায় ভালোবাসে
আমার এ প্রেম দেখে তারা কেউ কাঁদে কেউ হাসে।
তুমি জান হে মোর স্বামী, শাফায়াৎ চাহি না আমি
আমি শুধু তোমায় চাহি তোমার মুহব্বত
	হজরত তোমার মুহব্বত।।

বাণী

তোমার দেওয়া ব্যথা, সে যে তোমার হাতের দান।
তাই তো সে দান মাথায় তুলে নিলাম, হে পাষাণ।।
	তুমি কাঁদাও তাই ত বঁধু
	বিরহ মোর হল মধু,
সে যে আমার গলার মালা তোমার অপমান।।
আমি বেদীমূলে কাঁদি, তুমি পাষাণ অবিচল,
জানি হে নাথ, সে যে তোমার পূজা নেওয়ার ছল।
	তোমার দেবালয়ে মোরে
	রাখলে পূজারিণী ক’রে,
সেই আনন্দে ভুলেছি নাথ সকল অভিমান।।

বাণী

তরুণ-তমাল-বরণ এসো শ্যামল আমার।
ঘন শ্যাম তুলি বুলায়ে মেঘ-দলে এসো দুলায়ে আঁধার।।
কাঁদে নিশীথিনী তিমির কুন্তলা
আমারি মত সে উতলা,
এসো তরুণ দুরন্ত ভাঙি’ হৃদয় দুয়ার।।
তপ্ত গগনে ঘনায়ে ঘন দেয়া
ফুটায়ে কদম কেয়া,
আমার নয়ন-যমুনায় এসো জাগায়ে জোয়ার।।

বাণী

তোমার আঁখির মত আকাশের দু’টি তারা
চেয়ে থাকে মোর পানে নিশীথে তন্দ্রাহারা
		সে কি তুমি? সে কি তুমি??
ক্ষীণ আঁখি–দীপ জ্বালি’ বাতায়নে জাগি একা,
অসীম অন্ধকারে খুঁজি তব পথ রেখা;
সহসা দখিনা বায়ে চাঁপা–বনে জাগে সাড়া।
		সে কি তুমি? সে কি তুমি??
বৈশাখী–ঝড়ের রাতে চমকিয়া উঠি জেগে’
বুঝি অশান্ত মম আসিলে ঝড়ের বেগে,
ঝড় চ’লে যায় কেঁদে ঢালিয়া শ্রাবণ ধারা
		সে কি তুমি? সে কি তুমি??

বাণী

তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা
তোর গাঁয়েরি নদীর ঘাটে বাঁধলাম এ মোর না।।
	তোর চরণের আলতা লেগে
	পরান আমার উঠল রেঙে (রে)
ও তোর বাউরি কেশের বিনুনীতে জড়িয়ে গেল পা।
তোর বাঁকা ভুরু বাঁকা আঁখি বাঁকা চলন, সই,
দেখে পটে আঁকা ছবির মতন দাঁড়িয়ে পথে রই।
	উড়ে এলি’ দেশান্তরী
	তুই কি ডানা-কাটা পরী (রে)
তুই শুকতারারি সতিনী সই সন্ধ্যাতারার জা’।।

বাণী

তুমি লহ প্রভু আমার সংসারেরি ভার লহ সংসারেরি ভার
আজকে অতি ক্লান্তআমি বইতে নারি আর
	এ ভার বইতে নারি আর।।
	সংসারেরি তরে খেটে
	জনম আমার গেল কেটে
(ওরে) তবু অভাব ঘুচল না (আমার) হায় খাটাই হল সার।।
বিফল যখন হলাম পেতে সবার কাছে হাত
তখন তোমায় পড়ল মনে হে অনাথের নাথ।
	অভাবকে আর করি না ভয়
	তোমার ভাবে মগ্ন হৃদয়
তোমায় ফিরিয়ে দিলাম হে মায়াময় তোমারি সংসার।।