তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা
বাণী
তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা তোর গাঁয়েরি নদীর ঘাটে বাঁধলাম এ মোর না।। তোর চরণের আলতা লেগে পরান আমার উঠল রেঙে (রে) ও তোর বাউরি কেশের বিনুনীতে জড়িয়ে গেল পা। তোর বাঁকা ভুরু বাঁকা আঁখি বাঁকা চলন, সই, দেখে পটে আঁকা ছবির মতন দাঁড়িয়ে পথে রই। উড়ে এলি’ দেশান্তরী তুই কি ডানা-কাটা পরী (রে) তুই শুকতারারি সতিনী সই সন্ধ্যাতারার জা’।।
তুমি হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে
বাণী
তুমি হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে মোর কণ্ঠ হ’তে সুরের গঙ্গা ঝরে।। তব কাজল-আঁখির ঘন পল্লব তলে বিরহ মলিন ছায়া মোর যবে দোলে তব নীলাম্বরীর ছোঁয়া লাগে যেন সেদিন নীলাম্বরে।। যেদিন তোমারে পাই না কাছে গো পরশন নাহি পাই, মনে হয় যেন বিশ্ব ভুবনে কেহ নাই, কিছু নাই। অভিমানে কাঁদে বক্ষে সেদিন বীণ আকাশ সেদিন হয়ে যায় বাণী হীন যেন রাধা নাই, আর বৃন্দাবনে গো সব সাধ গেছে ম’রে।।
তুমি আমায় যবে জাগাও গুণী
বাণী
তুমি আমায় যবে জাগাও গুণী তোমার উদার সঙ্গীতে মোর হাত দু'টি হয় লীলায়িত নমস্কারের ভঙ্গিতে।। সিন্ধু জলের জোয়ার সম, ছন্দ নামে অঙ্গে মম রূপ হলো মোর নিরুপম তোমার প্রেমের সুরের অমৃতে।। আমার আঁখির পল্লবদল উদাস অশ্রুভারে, ভোরের করুণ তারা মতো কাপেঁ বারেবারে। আনন্দে ধীর বসুন্ধরা, হলো চপল নৃত্যপরা ঝরে রঙের পাগল ঝোরা তোমার চরণ রঞ্জিতে।।
তেপান্তরের মাঠে বঁধু হে একা বসে থাকি
বাণী
তেপান্তরের মাঠে বঁধু হে একা বসে থাকি। তুমি যে পথ দিয়ে গেছ চলে তারি ধূলা মাখি’ হে।। যেমন পা ফেলেছ গিরিমাটির রাঙা পথের ধূলাতে, অমনি করে আমার বুকে চরণ যদি বুলাতে, আমি খানিক জ্বালা ভুলতাম ঐ মানিক বুকে রাখি’ হে।। আমার খাওয়া পরার নাই রুচি, আর ঘুম আসে না চোখে হে, আমি আউরী হয়ে বেড়াই পথে, হাসে পাড়ার লোকে দেখে হাসে পাড়ার লোকে। আমি তাল পুকুরে যেতে নারি — একি তোমার মায়া হে, আমি কালো জলে দেখি তোমার কালো রূপের ছায়া হে; আমার কলঙ্কিনী নাম রটিয়ে তুমি দিলে ফাঁকি হে।।