তব গানের ভাষায় সুরে
বাণী
তব গানের ভাষায় সুরে বুঝেছি বুঝেছি বুঝেছি এত দিনে পেয়েছি তারে আমি যারে খুঁজেছি।। ছিল পাষাণ হয়ে গভীর অভিমান সহসা, এলো সহসা আনন্দ-অশ্রুর বান। বিরহ-সুন্দর হয়ে সেই এলো দেবতা বলে যাঁরে পুজেছি বুঝেছি বুঝেছি বুঝেছি।। তোমার দেওয়া বিদায়ের মালা পুন প্রাণ পেল প্রিয় হ’য়ে শুভদৃষ্টি মিলন-মালিকা বুকে ফিরে এলো — এলো প্রিয়। যাহারে নিষ্ঠুর বলেছি নিশীথে গোপনে কেঁদেছি নয়নের বারি হাসি দিয়ে মুছেছি বুঝেছি বুঝেছি বুঝেছি।।
তুমি আমায় যবে জাগাও গুণী
বাণী
তুমি আমায় যবে জাগাও গুণী তোমার উদার সঙ্গীতে মোর হাত দু'টি হয় লীলায়িত নমস্কারের ভঙ্গিতে।। সিন্ধু জলের জোয়ার সম, ছন্দ নামে অঙ্গে মম রূপ হলো মোর নিরুপম তোমার প্রেমের সুরের অমৃতে।। আমার আঁখির পল্লবদল উদাস অশ্রুভারে, ভোরের করুণ তারা মতো কাপেঁ বারেবারে। আনন্দে ধীর বসুন্ধরা, হলো চপল নৃত্যপরা ঝরে রঙের পাগল ঝোরা তোমার চরণ রঞ্জিতে।।
তুই কালি মেখে জ্যোতি ঢেকে
বাণী
তুই কালি মেখে জ্যোতি ঢেকে পারবি না মা ফাঁকি দিতে। ঐ অসীম আঁধার হয় যে উজল মা, তোর ঈষৎ চাহনিতে।। মায়ের কালি মাখা কোলে শিশু কি মা, যেতে ভোলে? আমি দেখেছি যে, বিপুল স্নেহের সাগর দোলে তোর আঁখিতে।। কেন আমায় দেখাস মা ভয় খড়গ নিয়ে, মুন্ডু নিয়ে? আমি কি তোর সেই সন্তান ভুলাবি মা ভয় দেখিয়ে। তোর সংসার কাজে শ্যামা, বাধা আমি হব না মা, মায়ার বাঁধন খুলে দে মা ব্রহ্মময়ী রূপ দেখিতে।।
তোমায় কূলে তুলে বন্ধু আমি নামলাম জলে
বাণী
তোমায় কূলে তুলে বন্ধু আমি নামলাম জলে। আমি কাঁটা হয়ে রই নাই বন্ধু তোমার পথের তলে॥ আমি তোমায় ফুল দিয়েছি কন্যা তোমার বন্ধুর লাগি’ যদি আমার শ্বাসে শুকায় সে ফুল তাই হলাম বিবাগী। আমি বুকের তলায় রাখি তোমায় গো, ওরে শুকায়নি ক’ গলে॥ (ওই) যে-দেশ তোমার ঘর্ রে বন্ধু সে দেশ হতে এসে, আমার দুখের তরী দিছি ছেড়ে, (বন্ধু) চলতেছে সে ভেসে। এখন যে-পথে নাই তুমি বন্ধু গো, তরী সেই পথে মোর চলে॥