তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম
বাণী
তুমি যদি রাধা হতে শ্যাম, আমারি মতন দিবস-নিশি জপিতে শ্যাম-নাম।। কৃষ্ণ-কলঙ্কেরি জ্বালা, মনে হ’ত মালতীর মালা চাহিয়া কৃষ্ণ-প্রেম জনমে জনমে আসিতে ব্রজধাম।। কত অকরুণ তব বাঁশরির সুর তুমি হইলে শ্রীমতী ব্রজ-কুলবতী বুঝিতে নিঠুর। তুমি যে-কাঁদনে কাঁদায়েছ মোরে আমি কাঁদাতাম তেমনি ক’রে বুঝিতে, কেমন লাগে এই গুরু-গঞ্জনা এ প্রাণ-পোড়ানি অবিরাম।।
তুমি ভোরের শিশির রাতের নয়ন-পাতে
বাণী
তুমি ভোরের শিশির রাতের নয়ন-পাতে। তুমি কান্না পাওয়াও কাননকে গো ফুল-ঝরা প্রভাতে॥ তুমি ভৈরবী সুর উদাস বিধুর অতীত দিনের স্মৃতি সুদূর, তুমি ফোটার আগে ঝরা মুকুল বৈশাখী হাওয়াতে॥ তুমি কাশের ফুলের করুণ হাসি মরা নদীর চরে তুমি শ্বেত-বসনা অশ্রুমতী উৎসব-বাসরে। তুমি মরুর বুকে পথ-হারা গোপন ব্যথার ফল্গুধারা, তুমি নীরব বীণা বাণীহীনা সঙ্গীত-সভাতে॥
তোমার বিনা-তারের গীতি
বাণী
তোমার বিনা-তারের গীতি বাজে আমার বীণা-তারে রইল তোমার ছন্দ-গাথা গাঁথা আমার কণ্ঠ-হারে।। কি কহিতে চাও হে গুণী, আমি জানি আমি শুনি কান পেতে রই তারার সাথে তাই তো দূর গগন-পারে।। পালিয়ে বেড়াও উদাস হাওয়া গোপন কথার ফুল ফুটিয়ে গো আমি তারে মালা গেঁথে লুকিয়ে রাখি বক্ষে নিয়ে গো। হয়তো তোমার কথার মালা, কাঁটার মত করবে জ্বালা সেই জ্বালাতেই জ্বলবে আমার প্রেমের শিখা অন্ধকারে।।
তুমি আশা পুরাও খোদা
বাণী
তুমি আশা পুরাও খোদা, সবাই যখন নিরাশ করে। সবাই যখন পায়ে ঠেলে, সান্ত্বনা পাই তোমায় ধ'রে।। দ্বারে দ্বারে হাত পাতিয়া ফিরি যখন শূন্য হাতে, তোমার দানের শির্নি তখন আসে আমায় পথ দেখাতে, দেখি হঠাৎ শূন্য তোমার দানে গেছে ভ'রে।। খোদা, তোমায় ভরসা করি' নামি যখন কোন কাজে, সে কাজ হাসিল হয় সহজে শত বিপদ বাধার মাঝে (খোদা) তোমায় ছেড়ে অন্য জনে শরণ নিলে যায় সে সরে।। মাঝ দরিয়ায় ডুবলে জাহাজ তোমায় যদি ডাকি তোমার রহম কোলে করি তীরেতে যায় রাখি দুখের অনল কুসুম হয়ে ফুটে ওঠে থরে থরে।।
তুমি কি আসিবে না
বাণী
তুমি কি আসিবে না বলেছিলে তুমি আসিবে আবার ফুটিবে যবে হেনা।। সেদিন ঘুমায়ে ছিল যে মূকুল আজি সে পূর্ণ বিকশিত ফুল সেদিনের ভীরু অচেনা হৃদয় আজি হতে চায় চেনা।। ঘন পল্লব গুণ্ঠন ঢাকা ছিল সেদিন যে লতা আজিকে পুষ্প নিবেদন ল’য়ে কহিতে চায় যে কথা। প্রদীপ জ্বালায়ে আজি সন্ধ্যায় পথ চেয়ে আছি তোমারি আশায় পূর্ণিমা-তিথি আসিল, হে চাঁদ-অতিথি আসিলে না।।