বাণী

	তোমার গরবে গরব আমার আল্লা পরম স্বামী।
(মোর)	অন্তর বাহির জুড়িয়ে থেক যেন দিবাযামী।।
	আমি যদি পথ ভুলি, আল্লা, হাত ধ’রে ফিরাইও
	মোর নিবেদিত দেহ-মন-প্রাণ কবুল করিও প্রিয়,
(তবে)	পরমাশ্রয় ছেড়ে যেন আর ধূলি পথে নাহি নামি।।
	প্রেম যদি মোরে নাহি দাও, খোদা, পরম বিরহ দিও,
	পাষাণ এ প্রাণ তোমার বিরহে তিলে তিলে গলাইও।
	কোথায় দুনিয়া কোথা আখেরাতে, তুমি ছাড়া কিছু নই
	তুমি লা-শরিক — এই বিশ্বাস চিরদিন যেন পাই,
	রহমত দিয়া ফুল ফুটাইও ভুল যদি করি আমি।।

বাণী

তোমার দেওয়া ব্যথা, সে যে তোমার হাতের দান।
তাই তো সে দান মাথায় তুলে নিলাম, হে পাষাণ।।
	তুমি কাঁদাও তাই ত বঁধু
	বিরহ মোর হল মধু,
সে যে আমার গলার মালা তোমার অপমান।।
আমি বেদীমূলে কাঁদি, তুমি পাষাণ অবিচল,
জানি হে নাথ, সে যে তোমার পূজা নেওয়ার ছল।
	তোমার দেবালয়ে মোরে
	রাখলে পূজারিণী ক’রে,
সেই আনন্দে ভুলেছি নাথ সকল অভিমান।।

বাণী

তোমার আমার এই বিরহ সইব কত আর
রইবে কত আড়াল টেনে গ্রহ-তারকার।।
	তৃষিত মোর হৃদয় যাচে
	এসো আমার বুকের কাছে
যেমন দূরের চাঁদকে ডাকে ব্যাকুল পারাবার।।
হাত চাহে মোর ব'সো কাছে করবো সেবা তব,
নয়ন বলে নয়ন পাতায় রাখবো হে বল্লভ।
	হে নাথ তোমার তীর্থ পথে
	এ প্রাণ চাহে ধূলি হ'তে
ঘুচবে কবে মোদের মাঝে অসীম অন্ধকার।।

বাণী

তুমি লহ প্রভু আমার সংসারেরি ভার লহ সংসারেরি ভার
আজকে অতি ক্লান্তআমি বইতে নারি আর
	এ ভার বইতে নারি আর।।
	সংসারেরি তরে খেটে
	জনম আমার গেল কেটে
(ওরে) তবু অভাব ঘুচল না (আমার) হায় খাটাই হল সার।।
বিফল যখন হলাম পেতে সবার কাছে হাত
তখন তোমায় পড়ল মনে হে অনাথের নাথ।
	অভাবকে আর করি না ভয়
	তোমার ভাবে মগ্ন হৃদয়
তোমায় ফিরিয়ে দিলাম হে মায়াময় তোমারি সংসার।।

বাণী

তুই কে ছিলি তাই বল?
কোন কাননের পুষ্পরানী কোন সরসীর জল।।
তুই কি ছিলি কবিতা আর আমি চরণ তা'রি
তুই কি ছিলি পিয়াসি শুক আমি আতুর সারী
তুই কি দুঃখী দুয়োরানী আমি চোখের জল।।
	কোন বরষার সিক্ত প্রাতে
	কোন শরতের জোছনা রাতে
কোন জগতের অরুণ ঊষার প্রথম দেখা বল।।
নতুন মোদের নতুন ক'রে পরিচয়ের পালা
কন্ঠে মোদের মিলন-বাণী হাতে মিলন-মালা
মোরা এক বিরহীর দু'টি চোখের ঝরা দু'টি মুক্তাফল।।

বাণী

তুমি কি দখিনা পবন
দুলে ওঠে দেহলতা
ফুলে ফুলে ফুল্ল হয়ে ওঠে মন।।
	অন্তর সৌরভে শিহরে
	কথার কোয়েলিয়া কুহরে
তনু অনুরঞ্জিত করে গো প্রীতির পলাশ রঙন।।
কী যেন মধু জাগে হিয়াতে
চাহি’ যেন সেই মধু কোন্‌ চাঁদে পিয়াতে।
	ফুটাইয়া ফুল কোথা চলে যাও
	হুতাস নিশাসে কী ব’লে যাও
মধু পান করি না কো র’চে যাই শুধু মধু-বন।।