বাণী

যে আল্লার কথা শোনে তারি কথা শোনে লোকে।
আল্লার নূর যে দেখেছে পথ পায় লোক তার আলোকে।।
	যে আপনার হাত দেয় আল্লায়
	জুল্‌ফিকারের তেজ সে পায়,
যার চোখে আছে খোদার জ্যোতি রাত্রি পোহায় তারি চোখে।।
ভোগের তৃষ্ণা মিটেছে যার খোদার প্রেমের শিরনি পেয়ে,
যায় বাদ্‌শা-নবাব গোলাম হ'য়ে সেই ফকিরের কাছে যেয়ে।
আসে সেই কওমের ইমাম সেজে কওমকে পেয়েছে যে,
তারি কাছে খোদার দেওয়া শান্তি আছে দুখে-শোকে।। 

বাণী

যবে	ভোরের কুন্দ-কলি মেলিবে আঁখি
	ঘুম ভাঙায়ে হাতে বাঁধিও রাখি।।
		রাতের বিরহ যবে
		প্রভাতে নিবিড় হবে
	অকরুণ কলরবে গাহিবে পাখি।।
যেন	অরুণ দেখিতে গিয়া তরুণ কিশোর
	তোমারে প্রথম হেরি' ঘুম ভাঙে মোর।
		কবরীর মঞ্জরি
		আঙিনায় রবে ঝরি'
	সেই ফুল পায়ে দলি এসো একাকী।।

বাণী

যাও মেঘদূত, দিও প্রিয়ার হাতে
আমার বিরহ–লিপি লেখা কেয়া পাতে।।
আমার প্রিয়ার দিরঘ নিশাসে
থির হয়ে আছে মেঘ যে–দেশেরই আকাশে
আমার প্রিয়ার ম্লান মুখ হেরি’
ওঠে না চাঁদ আর যে–দেশে রাতে।।
পাইবে যে–দেশে কুন্তল–সুরভি বকুল ফুলে
আমার প্রিয়া কাঁদে এলায়ে কেশ সেই মেঘনা–কূলে।
স্বর্ণলতার সম যার ক্ষীণ করে
বারে বারে কঙ্কণ চুড়ি খুলে পড়ে
মুকুল’ বয়সে যথা বরষার ফুল–দল
বেদনায় মুরছিয়া আছে আঙিনাতে।।

বাণী

		যেদিন লব বিদায় ধরা ছাড়ি প্রিয়ে।
		ধুয়ো ‘লাশ’ আমার লাল পানি দিয়ে।।
শেয়র:	শারাবী জমশেদী গজল ‘জানাজায়’ গাহিও আমার
		দিবে গোর খুঁড়িয়া মাটি খারারী ঐ শারাব-খানার!
		‘রোজ-কিয়ামতে’ তাজা উঠব জিয়ে।।
শেয়র:	এমনি পিইব শারাব ভেসে যাব তাহার স্রোতে,
		উঠিবে খুশবু শারাবের আমার ঐ গোরের পার হতে;
		টলি’ পড়বে পথিক সে নেশায় ঝিমিয়ে।।

বাণী

যেতে নারি মদিনায়, আমি নারি, হে প্রিয় নবী
আমারই ধ্যানে এসো প্রাণে এসো আল-আরবি।।
তপ্ত যে নিদারুণ আরবের সাহারা গো
শীতল হৃদে মম রাখিব তোমারই ছবি।।
ভালবাস যদি না মরুভূ ধূসর গো
জ্বালায়ে, হৃদি মম করিব সাহারা গোবি।।
হে প্রিয়তম, গোপনে তব তরে আমি কাঁদি
তোমারে দিয়াছি মোর, দুনিয়া আখের সবই।।

বাণী

যে	অবহেলা দিয়ে মোরে করিল পাষাণ।
সখি	কেন কেঁদে ওঠে তারি তরে মোর প্রাণ।।
	যে ফুল ফুটায়ে তার মধু নিল না
মোরে	ধরার ধূলিতে এনে ধরা দিল না,
কেন	তার তরে বুকে এত জাগে অভিমান।।
মোর	প্রেম-অঞ্জলি সে যত যায় দলি’
তারে	তত জড়াতে চাই, শ্যাম-সুন্দর বলি’,
	চাঁদ সে যে আকাশের সে ধরা দেয় না
তবু	চকোরীর ভুল হয় নাকো অবসান।।