যা সখি যা তোরা গোকুলে ফিরে
বাণী
যা সখি যা তোরা গোকুলে ফিরে। যে পথে শ্যামরায় চ’লে গেছে মথুরায় কাঁদিতে দে ল’য়ে সেই পথ ধূলিরে॥ এ তো ধূলি নয়, ধূলি নয় হরি-চরণ-চিহ্ন-আঁকা এ যে হরি-চন্দন ধূলি নয়, ধূলি নয় এই ধূলি মাখিয়া, হ’য়ে পাগলিনী ফিরিব ‘শ্যাম শ্যাম’ ডাকিয়া। হব যোগিনী এই ধূলি-তিলক-আঁকিয়া॥ (সখি গো) শুনিয়াছি দূতি মুখে, প্রিয়তম আছে সুখে সেই মম পরম প্রসাদ। ভুলিয়া এ রাধিকায়, সে যদি সুখ পায় তার সে সুখে সাধিব না বাদ॥ আমার দীরঘ শ্বাসে উৎসব-বাতি তার যদি নিভে যায়। তাই ওলো ললিতা আমি হব ধূলি-দলিতা যাব না লো তার মথুরায়॥ আমি মথুরায় যাব, না গেলে মথুরাতে মোর শ্যামে আর ফিরে পাব না। (সখি গো) হারানো মানিক কভু ফিরে লোকে পায় হারানো হৃদয় ফিরে নাহি পাওয়া যায়॥
যে আল্লার কথা শোনে
বাণী
যে আল্লার কথা শোনে তারি কথা শোনে লোকে। আল্লার নূর যে দেখেছে পথ পায় লোক তার আলোকে।। যে আপনার হাত দেয় আল্লায় জুল্ফিকারের তেজ সে পায়, যার চোখে আছে খোদার জ্যোতি রাত্রি পোহায় তারি চোখে।। ভোগের তৃষ্ণা মিটেছে যার খোদার প্রেমের শিরনি পেয়ে, যায় বাদ্শা-নবাব গোলাম হ'য়ে সেই ফকিরের কাছে যেয়ে। আসে সেই কওমের ইমাম সেজে কওমকে পেয়েছে যে, তারি কাছে খোদার দেওয়া শান্তি আছে দুখে-শোকে।।
যেদিন লব বিদায়
বাণী
যেদিন লব বিদায় ধরা ছাড়ি প্রিয়ে। ধুয়ো ‘লাশ’ আমার লাল পানি দিয়ে।। শেয়র: শারাবী জমশেদী গজল ‘জানাজায়’ গাহিও আমার দিবে গোর খুঁড়িয়া মাটি খারারী ঐ শারাব-খানার! ‘রোজ-কিয়ামতে’ তাজা উঠব জিয়ে।। শেয়র: এমনি পিইব শারাব ভেসে যাব তাহার স্রোতে, উঠিবে খুশবু শারাবের আমার ঐ গোরের পার হতে; টলি’ পড়বে পথিক সে নেশায় ঝিমিয়ে।।
যখন আমার কুসুম ঝরার বেলা তখন তুমি এলে
বাণী
যখন আমার কুসুম ঝরার বেলা তখন তুমি এলে ভাটির স্রোতে ভাসলো যখন ভেলা পারের পথিক এলে।। আঁধার যখন ছাইল বনতল পথ হারিয়ে এলে হে চঞ্চল দীপ নিভাতে এলে হে বাদল ঝড়ের পাখা মেলে।। শূন্য যখন নিবেদনের থালা তখন তুমি এলে শুকিয়ে যখন ঝরল বরণ-মালা তখন তুমি এলে। নিরশ্রু এই নয়ন পাতে শেষ পূজা মোর আজকে রাতে নিবু নিবু প্রাণ শিখাতে আরতি দীপ জ্বেলে।।
যাও হেলে দুলে এলোচুলে কে গো বিদেশিনী
বাণী
পুরুষ : যাও হেলে দুলে এলোচুলে কে গো বিদেশিনী কাহার আশে কাহার অনুরাগিনী। স্ত্রী : আমি কনক চাঁপার দেশের মেয়ে এনু ঊষার রঙের গান গেয়ে আমি মল্লিকা গো পল্লীবাসিনী। পুরুষ : চিনি চিনি ওই চুড়ি কাঁকনের রিনিকি রিনি তুমি ভোর বেলা দাও স্বপনে দেখা। স্ত্রী : তোমার রঙে কবি আঁক আমারি ছবি তুমি দেবতা রবি আমি তব পূজারিণী। পুরুষ : এসো ধরণীর দুলালী আলোর দেশে যথা তারার সাথে চাঁদ গোপনে মেশে স্ত্রী : আনো আলোক তরী আমি যাই গো ভেসে দ্বৈত : চলো যাই ধরণী ধূলির ঊর্ধে পুরুষ : যথা বয় অনন্ত স্ত্রী : প্রেম মন্দারিণী পুরুষ : যথা বয় অনন্ত দ্বৈত : প্রেম মন্দারিণী॥