যত ফুল তত ভুল কণ্টক জাগে
বাণী
যত ফুল তত ভুল কণ্টক জাগে মাটির পৃথিবী তাই এত ভালো লাগে।। হেথা চাঁদে আছে কলঙ্ক, সাধে অবসাদ হেথা প্রেমে আছে গুরুগঞ্জনা অপবাদ; আছে মান-অভিমান পিরিতি-সোহাগে।। হেথা হারাই হারাই ভয়, প্রিয়তমে তাই ব’ক্ষে জড়ায়ে কাঁদি ছাড়িতে না চাই। স্বর্গের প্রেমে নাই বিরহ-অনল সুন্দর আঁখি আছে, নাই আখি-জল; রাধার অশ্রু নাই কুমকুম-ফাগে।।
নাটকঃ অন্নপূর্ণা (নাট্যকারঃ মণিলাল বন্দোপাধ্যায়)
যে পাষাণ হানি বারে বারে তুমি
বাণী
যে পাষাণ হানি বারে বারে তুমি আঘাত করেছ, স্বামী, সে পাষাণ দিয়ে তোমার পূজায় এ মিনতি রাখি আমি।। যে আগুন দিলে দহিতে আমারে হে নাথ, নিভিতে দিইনি তাহারে; আরতি প্রদীপ হয়ে তারি বিভা বুকে জ্বলে দিবা-যামী।। তুমি যাহা দাও প্রিয়তম মোর তাহা কি ফেলিতে পারি, তাই নিয়ে তব অভিষেক করি নয়নে দিলে যে বারি। ভুলিয়াও মনে কর না যাহারে, হে নাথ, বেদনা দাও না তাহারে, ভুলিতে পারো না মোরে, ব্যথা দেওয়া ছলে, তাই নিচে আসো নামি'।।
যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ
বাণী
যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ আর শ্রীমন্ত তোরে। সেই নাম তুই শিখিয়ে দে মা, ডাকব আমি তেমনি ক’রে।। বেদ-পুরাণে যে নাম শুনি যে নাম জপে ঋষি-মুনি সেই নাম দে, যে নাম নিতে বক্ষ ভাসে অশ্রু-নীরে।। ভয় যদি তোর ভক্তি দিতে, কর মা অসুর দানব মোরে আসবি যখন শাস্তি দিতে, দেখব তোরে নয়ন ভরে।। তোর হাতে মা মরণ হলে ঠাঁই পাব যে তোরই কোলে আঘাত করে ছেলেকে মা কাঁদে যেমন বক্ষে ধরে।।