বাণী

যাবি কে মদিনায় আয় ত্বরা করি'।
তোর খেয়া ঘাটে এলো পুণ্য তরী।।
আবুবকর, উমর খাত্তাব, উসমান, আলী হায়দর
দাঁড়ি এ সোনার তরণীর, পাপী সব নাই নাই আর ডর।
এ তরীর কাণ্ডারি আহমদ, পাকা সব মাঝি ও মাল্লা,
মাঝিদের মুখে সারিগান শোন ঐ 'লা শরীক আল্লাহ'।
পাপ-দরিয়ার তুফানে আর নাহি ডরি।।
ঈমানের পারানি কড়ি আছে যার আয় এ সোনার নায় —
ধরিয়া দ্বীনের রশি কলেমার জাহাজ-ঘাটায়।
ফিরদাউস হ’তে ডাকে হুরী-পরী।।

বাণী

		যেদিন লব বিদায় ধরা ছাড়ি প্রিয়ে।
		ধুয়ো ‘লাশ’ আমার লাল পানি দিয়ে।।
শেয়র:	শারাবী জমশেদী গজল ‘জানাজায়’ গাহিও আমার
		দিবে গোর খুঁড়িয়া মাটি খারারী ঐ শারাব-খানার!
		‘রোজ-কিয়ামতে’ তাজা উঠব জিয়ে।।
শেয়র:	এমনি পিইব শারাব ভেসে যাব তাহার স্রোতে,
		উঠিবে খুশবু শারাবের আমার ঐ গোরের পার হতে;
		টলি’ পড়বে পথিক সে নেশায় ঝিমিয়ে।।

বাণী

যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ আর শ্রীমন্ত তোরে।
সেই নাম তুই শিখিয়ে দে মা, ডাকব আমি তেমনি ক’রে।।
	বেদ-পুরাণে যে নাম শুনি
	যে নাম জপে ঋষি-মুনি
সেই নাম দে, যে নাম নিতে বক্ষ ভাসে অশ্রু-নীরে।।
ভয় যদি তোর ভক্তি দিতে, কর মা অসুর দানব মোরে
আসবি যখন শাস্তি দিতে, দেখব তোরে নয়ন ভরে।।
	তোর হাতে মা মরণ হলে
	ঠাঁই পাব যে তোরই কোলে
আঘাত করে ছেলেকে মা কাঁদে যেমন বক্ষে ধরে।।