বাণী

যাবার বেলায় মিনতি আমার (শুধু) রাখিও মনে
ডাক দিও গো সাঁঝের ছায়ে সাঙ্গোপনে।।
যখন সন্ধ্যাবধূ আঁকবে রঙের আলপনা
আমার হিয়া দুলবে তখন তোমার প্রদীপ সনে
যখন নিরালাতে গাঁথবে মালা আনমনে।।
(আমি) রইব ঘিরে তোমার মালার গন্ধ সনে (প্রিয় আমার)
আমি দুলিয়ে যাব অলক তব মৃদু পবনে
ওগো একটি মালা গলায় নিও আমার স্মরণে।।

বাণী

যোগী শিব শঙ্কর ভোলা দিগম্বর
ত্রিলোচন দেবাদিদেব ধ্যানে সদা মগন॥
চির শ্মশানচারী অনাদি সমাধিধারী
স্তব্ধ ভয়ে চরণে তাঁরি প্রণতি করে গগন॥
ত্রিশূল-বিষাণ রহে পড়িয়া পাশে
ললাটে শশী নাহি হাসে
গঙ্গা তরঙ্গ-হারা ভীত ভুবন।
ত্রাহি হে শম্ভু শিব, ত্রাসে কাঁপে জড় ও জীব
ভোলো এ ভীষণ তপ গাহিতেছে সঘন॥

বাণী

যা সখি যা তোরা গোকুলে ফিরে।
যে পথে শ্যামরায় চ’লে গেছে মথুরায়
কাঁদিতে দে ল’য়ে সেই পথ ধূলিরে॥
এ তো ধূলি নয়, ধূলি নয়
হরি-চরণ-চিহ্ন-আঁকা এ যে হরি-চন্দন ধূলি নয়, ধূলি নয়
এই ধূলি মাখিয়া,
হ’য়ে পাগলিনী ফিরিব ‘শ্যাম শ্যাম’ ডাকিয়া।
হব যোগিনী এই ধূলি-তিলক-আঁকিয়া॥ (সখি গো)
শুনিয়াছি দূতি মুখে, প্রিয়তম আছে সুখে সেই মম পরম প্রসাদ।
ভুলিয়া এ রাধিকায়, সে যদি সুখ পায় তার সে সুখে সাধিব না বাদ॥
আমার দীরঘ শ্বাসে উৎসব-বাতি তার যদি নিভে যায়।
তাই ওলো ললিতা আমি হব ধূলি-দলিতা যাব না লো তার মথুরায়॥
আমি মথুরায় যাব, না গেলে মথুরাতে মোর শ্যামে আর ফিরে পাব না। (সখি গো)
হারানো মানিক কভু ফিরে লোকে পায়
হারানো হৃদয় ফিরে নাহি পাওয়া যায়॥