বাণী

হেলে দুলে চলে বন-মালা গলে গোঠ-বিহারী বনে বনমালী সাজে।
বঙ্কিম শিখী পাখা শোভিত অলক চন্দন তিলক ললাটে রাজে।।
	পথের ধুলি হরি চরণ পরশে
	হল সুরভিত হরি-চন্দন হরষে,
নিখিল-ভক্ত-প্রাণ চরণে নূপুর হয়ে রুমু ঝুমু বাজে।।
	তৃণ নাহি পরশে উচাটন ধেনু সব
	বংশী-বট-তলে শোনে শ্যাম বেণুরব,
অপরূপ অভিনব প্রেম অনুভব, জাগে ব্রজ-গোপীকার প্রাণের মাঝে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

স্বরলিপি

বাণী

নাচে	সুনীল দরিয়া আজি দিল্-দরিয়া পূর্ণিমা চাঁদেরে পেয়ে।
	কূলে তার ঝুমুর ঝুমুর ঘুঙুর বাজে মিঠে আওয়াজে
				নাচে জল্-পরীর মেয়ে।।
	তার জল-ছলছল্ কূলে কূলে
	ফেনিল যৌবন ওঠে দু’লে,
	চাঁদিনী উজল্ তনু ঝলমল্
		পরানে উছল জাগে জোয়ার —
		আধো ঘুমে আসে তার নয়ন ছেয়ে।।
	জল-বালা মুক্তা-মালা গাঁথে নিরালা চাঁদের তরে,
	কাজল-বরণী তরুণী তটিনী চলেছে ধেয়ে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ ভৈরবী

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

বাণী

পিউ পিউ পিউ বোলে পাপিয়া
বুকে তারি পিয়ারে চাপিয়া।।
বাতাবি নেবুর ফুলেলা কুঞ্জে
মাতাল সমীরণ প্রলাপ গুঞ্জে
ফুলের মহলায় চাঁদিনী শিহরায়
নদীকূলে ঢেউ ওঠে ছাপিয়া।।
এমনি নেবু ফুল এমনি মধুরাতে
পরাতো বঁধু মোর বিনোদ খোঁপাতে,
বাতায়নে পাখি করিত ডাকাডাকি
মনে পড়ে তায় উঠি কাঁপিয়া।।

রাগ ও তাল

রাগঃ দেশ-খাম্বাজ

তালঃ ত্রিতাল / আদ্ধা-কাওয়ালি

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

চৈতী চাঁদের আলো আজ ভাল নাহি লাগে,
তুমি নাই মোর কাছে — সেই কথা শুধু জাগে।।
এই ধরণীর বুকে কত গান কত হাসি,
প্রদীপ নিভায়ে ঘরে আমি আঁখি-নীরে ভাসি,
পরানে বিরহী বাঁশি ঝুরিছে করুণ রাগে।।
এ কী এ বেদনা আজি আমার ভুবন ঘিরে,
ওগো অশান্ত মম, ফিরে এসো, এসো ফিরে।
বুলবুলি এলে বনে বলে যাহা বনলতা —
সাধ যায় কানে কানে আজি বলিব সে কথা,
ভুল বুঝিও না মোরে বলিতে পারিনি আগে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দাদ্‌রা

অডিও

শিল্পীঃ তাপস চৌধুরী

ভিডিও

স্বরলিপি

১.


২.

বাণী

ভোল লাজ ভোল গ্লানি জননী মুক্ত আলোকে জাগো।
কবে সে ঘুমালি মরণ-ঘুমে মা আর তো জাগিলি না গো।।
চরণে কাঁদে মা তেমনি জলধি
বক্ষ আঁকড়ি কাঁদে নদ-নদী,
ত্রিশ কোটি সন্তান নিরবধি — 
			কাঁদে আর ডাকে মা গো।।
যে তিতিক্ষা যে শিক্ষা ল’য়ে
অতীতে ছিলি মা রাজরানী হয়ে,
ল’য়ে সে-মহিমা পুন নির্ভয়ে — 
			বিশ্ব-বুকে-দাঁড়া গো।।
বিশ্বের এই খল কোলহলে
তুই আয় কল্যাণ-দীপ জ্বেলে’,
বিরোধের শেষে তুই শান্তি মা — 
			মৃত্যু শেষে সুধা গো।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

	আমার মা যে গোপাল-সুন্দরী। 
যেন	এক বৃন্তে কৃষ্ণ-কলি অপরাজিতার মঞ্জরি।।
মা	আধেক পুরুষ অর্ধ অঙ্গে নারী
	আধেক কালি আধেক বংশীধারী,
	অর্ধ অঙ্গে পীতাম্বর আর অর্ধ অঙ্গে দিগম্বরী।।
মা	সেই পায়ে প্রেম-কুসুম ফোটায় নূপুর-পরা যে চরণ,
মা'র	সেই পায়ে রয় সর্প-বলয় যে পায়ে প্রলয়- মরণ। 
	মার আধ-ললাটে অগ্নি-তিলক জ্বলে
	চন্দ্রলেখা আধেক ললাট তলে,
	শক্তিতে আর ভক্তিতে মা আছেন যুগল রূপ ধরি'।।

রাগ ও তাল

রাগঃ কৌশিক কানাড়া / মালকোষ

তালঃ তেওড়া

ভিডিও

স্বরলিপি