বাণী

		তোমায় আমায় মিল খেয়েছে ও প্রেয়সী রাজ-যোটক।
		আমি যেন গোদা চরণ তুমি তাহে বিষ্ফোটক।।
		আমি কুম্‌ড়ো তুমি দা, আমি কাঁচকলা তুমি আদা,
		তুমি তেজী, (আর) আমি ম্যাদা,
আমি		সাপ, তুমি বেজি যেন, বাপ! তুমি হস্তিনী আমি ঘোটক।।
		তুমি বঁটী আমি চিচিঙ্গে, আমি চিল, পিছে তুমি ফিঙে
		আমি টিঙ্ টিঙে, (আর) তুমি ডিঙ্ ডিঙে
প্রিয়ে		আমি ভেতো বাঙালিটি, তুমি যেন বর্গী-ঠগ্‌।।
		আমি দাড়ি তুমি ক্ষুর, তুমি সাপ আমি ল্যাজুড়,
		তুমি মাফ, আমি কসুর
		আমি ভাঙা ভোঙা কলার ভেলা তুমি খিদিরপুরের ডক্।।
		তুমি বঁড়্ শি আমি মাছ; আমি মোম্ তুমি আগুন-আঁচ,
		তুমি আমার হাতের পাঁচ
		তুমি আ জনমে স্বামী হয়ো আমায় দিও পদোদক।।

রাগ ও তাল

রাগঃ খাম্বাজ

তালঃ দ্রুত-দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

জ্যোতির্ময়ী মা এসেছে আঁধার আঙিনায়।
ভুবনবাসী ছেলেমেয়ে আয় রে ছুটে আয়॥
আনন্দ আজ লুট হতেছে কে কুড়াবি আয়,
আনন্দিনী দশভূজা দশ হাতে ছড়ায়,
মা অভয় দিতে এলো ভয়ের অসুর’ দ’লে পায়॥
বুকের মাঝে টইটম্বুর ভরা নদীর জল,
ওরে দুলছে টলমল, ওরে করছে ঝলমল।
ঝিলের জলে ফুটল কত রঙের শতদল
	ছুঁতে মায়ের পদতল।
দেব সেনারা বাইচ্ খেলে রে আকাশ গাঙের স্রোতে,
সেই আনন্দে যোগ দিবি কে? আয় রে বাহির পথে,
আর দেব না যেতে মাকে রাখব ধ’রে পায়
মাতৃহারা মা পেলে কি ছাড়তে কভু চায়॥

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দ্রুত-দাদ্‌রা

স্বরলিপি

বাণী

মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা
তুমি বাদ্‌শারও বাদ্‌শাহ্ কম্‌লিওয়ালা।।
পাপে-তাপে পূর্ণ আঁধার দুনিয়া
হ’ল পুণ্য বেহেশ্‌তী নূরে উজালা।।
গুনাহ্‌গার উম্মত লাগি’ তব
আজো চয়ন্‌ নাহি, কাঁদিছ নিরালা।।
কিয়ামতে পিয়াসি উম্মত লাগি’
দাঁড়ায়ে রবে ল’য়ে তহুরার পিয়ালা।।
জ্বলিবে রোজ হাশরে দ্বাদশ রবি
কাঁদিবে নফ্‌সি ব’লে সকল নবী
য়্যা উম্মতী য়্যা উম্মতী, একেলা তুমি
কাঁদিবে খোদার পাক আরশ চুমি’ —
পাপী উম্মত ত্রাণ তব জপমালা ধ্যান
তব গুণ গাহিল খোদ্ আল্লাহতা’লা।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ কাহার্‌বা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

হায় আঙিনায় সখি আজো সেই চাঁপা ফোটে।
হায় আকাশে সখি আজো কি সেই চাঁদ ওঠে।।
	সখি তাহার হাতের হেনা গাছে
	বুঝি প্রথম মুকুল ধরিয়াছে।
হায় যমুনায়, বাঁশি বাজে কি আর ছায়ানটে।।
শিয়রে জানালা খুলে দে বাহিরে চাহিয়া দেখি
আমার বাগানে আবার বসন্ত আসিয়াছে কি?
দেখি সে ডালিম ফুলে হায় আছে কি সে রঙ আগেকার।
ও-বাড়ির ছাদের টবে সই বেলফুল ফুটলো কি আবার?
	আজি আসিবে সে মনে লাগে
	তারি আসার আভাস মনে জাগে
হায় বুঝি তাই, মোর মরণ মধুর হয়ে ওঠে।।

রাগ ও তাল

রাগঃ

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

লক্ষ্মী মা তুই ওঠ্ গো আবার সাগর জলে সিনান করি’।
হাতে ল’য়ে সোনার ঝাঁপি, সুধার পাত্রে সুধা ভরি’।।
আন্ মা আবার আঁচলে তোর নবীন ধানের মঞ্জরি সে,
টুনটুনিতে ধান খেয়েছে, খাজনা মাগো দিব কিসে।
ডুবে গেছে সপ্ত-ডিঙা, রত্ন বোঝাই সোনার তরী।।
ক্ষীরোদ-সাগর-কন্যা যে তুই, খেতে দে ক্ষীর সর মা আবার,
পান্তা লবণ পায় না ছেলে, জননী তোর এ কোন বিচার?
কার কাছে মা নালিশ করি, অনন্ত শয়নে হরি।।
তোরও কি মা ধর্‌ল ঘুমে নারায়ণের ছোঁয়াচ লেগে,
বর্গী এল দেশে মাগো, খোকারা তোর কাঁদে জেগে।
এসে এবার ঘুম পাড়া মা, মাগো ভয়ে ক্ষিদেয় মরি।।
কোন্‌ দুখে তুই রইলি ভুলে বাপের বাড়ি অতল-তুলে,
ব্যথার সিন্ধু মন্থন শেষ, ভ’রল যে দেশ হলাহলে।
অমৃত এনে সন্তানে তোর, বাঁচা মা, তোর পায়ে ধরি।।

রাগ ও তাল

রাগঃ মাঢ়

তালঃ দাদ্‌রা

ভিডিও

স্বরলিপি

বাণী

দক্ষিণ সমীরণ সাথে বাজো বেণুকা।
মধু-মাধবী সুরে চৈত্র-পূর্ণিমা রাতে, বাজো বেণুকা।।
বাজো		শীর্ণা-স্রোত নদী-তীরে
		ঘুম যবে নামে বন ঘিরে’
যবে		ঝরে এলোমেলো বায়ে ধীরে ফুল-রেণুকা।।
		মধু মালতী-বেলা-বনে ঘনাও নেশা
		স্বপন আনো জাগরণে মদিরা মেশা।
			মন যবে রহে না ঘরে
			বিরহ-লোকে সে বিহরে
		যবে নিরাশার বালুচরে ওড়ে বালুকা।।

রাগ ও তাল

রাগঃ মধুমাধবী সারং

তালঃ ত্রিতাল

অডিও

শিল্পীঃ আমিয়া মতিন

ভিডিও

স্বরলিপি